ফাইজার বায়োএনটেক ও অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়ার দুই থেকে তিন মাস পর থেকে শরীরের অ্যান্টবডির মাত্রা কমে আসতে পারে। এমনকি অ্যান্টিবডির মাত্রা ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সম্প্রতি জনপ্রিয় গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জি নিউজ।
জানা যায়, এ হারে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে যেতে থাকলে টিকার প্রভাব কমে যেতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে কেমন প্রভাব রাখবে তা নিয়েই উদ্বেগ বেশি। কতো দ্রুত এমনটা হবে তা এখনই আন্দাজ করে বলা কঠিন।
গবেষণাটিতে আরও উঠে এসেছে, দুই ডোজ নেওয়ার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তুলনায় ফাইজারের টিকায় মানবদেহে অধিক পরিমাণ অ্যান্টিবডির মাত্রা লক্ষ্য করা গেছে।
১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ৬০০ জন মানুষের থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের বয়স, গুরুতর অসুস্থতা ও লিঙ্গভেদে গবেষণার ফলাফল একই ছিল বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকরা দাবি করছেন, অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে আসা কেমন ভূমিকা রাখতে পারে তা এখনো নিশ্চিত নয়। ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে ২১-৪১ দিনের মধ্যে অ্যাটিবডির মাত্রা প্রতি মিলিলিটারে ৭৫০৬ ইউনিট করে কমতে থাকে, ৭০ দিন বা এর বেশি সময়ের মধ্যে প্রতি মিলিমিটারে ৩৩২০ ইউনিট করে কমে।
অন্যদিকে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকায় প্রথম ২০ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডির মাত্রা প্রতি মিলিলিটারে ১২০১ ইউনিট হ্রাস পায়, ৭০ বা তার বেশি দিনের মধ্যে এ পরিমাণ প্রতি মিলিলিটারে ১৯০ ইউনিট। অর্থাৎ প্রায় ৫ গুণ কমে যায়। সূত্র: ইত্তেফাক
চীনে করোনার যে নতুন প্রজাতির ভাইরাস ভয়ংকরভাবে ছড়াচ্ছে, তা ভারতেও পাওয়া পাওয়া যাচ্ছে। আবার সেই ভাইরাসে আক্রান্ত চার জন। তবে এর মধ্যে দুইজন নভেম্বর মাসে গুজরাটে আক্রান্ত হন। তারা ভালো হয়ে গেছেন। দুইজন ওড়িশায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে জার্মানি সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন ভাইরাসের দুই প্রজাতি বিএফডট৭ ও বিএফডট১২ চীনে ভংকরভাবে ছড়াচ্ছে। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মারাও যাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকতে এবং করোনা যাতে না বাড়ে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছে। সেইমতো প্রতিটি রাজ্যই ব্যবস্থা নিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও করোনা নজরদারি টিম করেছে। এই টিমে স্বাস্থ্যসচিব আছেন। কিছু বিশেষজ্ঞ করোনা চিকিৎসককে রাখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিটিতে ডিএম ও ডিএইচএসরাও থাকবেন।
পশ্চিমবঙ্গে গত শনিবার কেউ করোনায়আক্রান্ত হননি। কিন্তু সোমবার আবার সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন। একজন মারাও গেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রতিটি রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্তদের নমুনা কেন্দ্রের কাছে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে।
কেন্দ্রের অনুরোধ, মানুষ যেন করোনার বিধি মেনে চলেন। দেশে অবশ্য কোথাও এখন করোনার কড়াকড়ি নেই। কোনও রাজ্যেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। তবে রাজ্যগুলি আবার মাস্ক পরার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া জানিয়েছেন, করোনা চলে যায়নি। তাই সব রাজ্যকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, আফগানিস্তানের অস্থিতিশীল অবস্থার অবসানে তিনি তালেবান নেতার সাথে সাক্ষাতে প্রস্তুত রয়েছেন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তুর্কি বিভাগকে দেয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘আফগান জনসাধারণের সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও পরিস্থিতি প্রকৃতপক্ষেই বিপর্যয়কর।’
পরিস্থিতির উন্নতিতে তালেবানের সাথে তুর্কি কর্মকর্তাদের আলোচনার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হয়তো আমিও এমন অবস্থানে যেতে পারি যে তাদের (তালেবান) নেতার সাথে সাক্ষাৎ করবো।’
এরদোগান বলেন. ‘কেননা যদি আমরা এই গুরুতর পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারি, তবে আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’
এদিকে বুধবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সাথে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ফোনালাপ করেন বলে তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্ক-আফগানিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন। এরদোগান আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় তুরস্কের অব্যাহত সমর্থন থাকবে বলে ফোনালাপে জানান।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে তালেবান। ইতোমধ্যেই তারা নয় প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান এর আগে জানিয়েছিলেন, তুরস্ক আফগান রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব অব্যাহত রাখার বিষয়ে আগ্রহী এবং আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় তালেবানের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
গত ছয় বছর কাবুল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পরিচালনায় তুরস্ক নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ