a সূর্যের রঙ আসলে কোনটি? সাদা, লাল, নাকি হলুদ?
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সূর্যের রঙ আসলে কোনটি? সাদা, লাল, নাকি হলুদ?


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৩
সূর্যের রঙ আসলে কোনটি? সাদা, লাল, নাকি হলুদ?

ফাইল ছবি

খুব সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি, তখন আমরা সবাই দেখে থাকি যে সূর্যের রঙ হলুদ বর্ণের। ধীরে ধীরে যখন বেলা বাড়তে থাকলে সূর্যের রঙ পরিবর্তন হয়ে কমলা রং ধারণ করে। আর দিনের শেষসময়ে সূর্য হয়ে উঠে একদম টাটকা লাল।

সূর্যের এ রঙ বদলানো নিয়ে আমরা কি চিন্তা করেছি কখনো? কেন এমনটা হয়? সূর্য আসলে কোন রঙের- লাল, হলুদ নাকি কমলা, নাকি অন্য কোনো রঙের! আমরা জানি সূর্য একটা নক্ষত্র, আর সব নক্ষত্রেরই কোনো না কোনো রঙ আছে। রঙগুলো হলো রেড জায়ান্ট, রেড ডোয়ার্ফ, ব্লু জায়ান্ট, সুপার জায়ান্ট ইত্যাদি।

নক্ষত্রের রঙ কেমন হবে তা সাধারণত তার তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে থাকে। একটি নক্ষত্রের ভেতর থেকে ফোটন বের হয়ে তা মহাশূন্যে হারিয়ে যায়, ফলে ফোটন থেকে বের হওয়া শক্তির পরিমান আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। এসব কারণে দেখা যায় একটি নক্ষত্র ইনফ্রারেড, আল্ট্রাভায়োলেট, লাল অথবা নীল রঙের আলোকরশ্মির বিকিরণ ঘটাচ্ছে একই সময়ে। এমনকি সেখানে বিদ্যমান থাকতে পারে এক্স ও গামা রশ্মিও।

নক্ষত্রের রঙের বিভিন্ন পরিবর্তন এর জন্য বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে,একটি নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি হয় সাড়ে পঁয়ত্রিশ হাজার কেলভিনের কম হয় তবে তার রঙ হবে লাল। আবার কোনো নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি দশ হাজার কেলভিনের উপরে হয় তবে তা  নীল রঙের হবে। সূর্যের তাপমাত্রার পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার কেলভিনের মতো। এ তাপমাত্রার নক্ষত্রগুলো সাধারণত হয়ে থাকে সাদা রঙের। সেক্ষেত্রে সূর্যের আসল রঙ হলো সাদা।

কি অবাক হচ্ছেন?  হ্যাঁ, সূর্যের রং আসলেই সাদা রঙের। আসলে মহাশূন্যে গিয়ে যদি আমরা সূর্যকে স্বচক্ষে দেখে আসতে সক্ষম হতাম, তবে ১০০ ভাগ নিশ্চিত হোমার  যে সূর্যের রঙ আসলে একেবারে সাদা। সূর্য ও সূর্যলোকের রঙ সাদা। তাহলে প্রশ্ন হলো সূর্যকে বিভিন্ন সময় লাল, হলুদ বা কমলারঙে দেখি কেনো? এর পিছনে বিশেষ কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে সূর্যরশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটে। ছোট ছোট তরঙ্গদৈর্ঘের নীল ও বেগুনি আলোকরশ্মি অপসারিত হয়ে যায়। সূর্য থেকে আসা আলোক বর্ণালির এ দুটো রঙ সরে গেলে  তা অনেকটা হলুদের মতো হয়ে যায়। সূর্যকে আমরা তখন হলুদ দেখি। অন্যান্য রঙের বেলায়ও এ ঘটনা ঘটে। 

এভাবে সূর্যের আলো যখন বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে পৃথিবীতে আসে তখন তার রঙ বদলে হলুদ, কমলা বা ম্যাজেন্টা রঙ ধারণ করে। তবে আরেকটি প্রশ্ন হলো সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যের রঙ লাল হয়ে যায় কেন? সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় ভাসমান ধূলিকণা ও বাতাসের অন্যান্য উপাদান সূর্যরশ্মির নীল প্রান্তের কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে বেশি বিক্ষিপ্ত করে ও লাল প্রান্তের বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে কম বিক্ষিপ্ত করে। ফলে সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করে থাকে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

এশিয়ার শীর্ষ ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় ৩ বাংলাদেশী নারী


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৭
এশিয়ার শীর্ষ ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় ৩ বাংলাদেশী নারী

ফাইল ছবি

এশিয়ার শীর্ষ ১০০ জন বিজ্ঞানীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’।  সেই তালিকায় নাম এসেছে তিন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর। তারা হলেন যথাক্রমে  সালমা সুলতানা, ফেরদৌসী কাদরী ও সায়মা সাবরিনা। এক সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞান ও গবেষণায় পূর্বেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন এই তিন নারী বিজ্ঞানী। 

গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) ‘দ্য এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ১০০’ শিরোনামে ষষ্ঠবারের মত এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে কোভিড–১৯ এর মতো এ বছরের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখা গবেষক ও উদ্ভাবকরা এ বছর এ তালিকায় মনোনিত হয়েছেন। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞানীদের পরিচয় ও ছবি এবং তাদের গবেষণার বিষয় সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা  হয়েছে। 

সেই তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, জাপান, হংকং, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীদের নাম এসেছে।  তালিকায় যায়গা করে নেয়া বিজ্ঞানীরা বর্তমান সংকটময় সময়ে মলিকুলার ইমেজিং থেকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

তিন বিজ্ঞানীর পরিচয় জেনে নেয়া যাক:
ড.ফেরদৌসী কাদরী,তিনি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের মধ্যে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তার প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে প্রশংসনীয়। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কলেরা মহামারি থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের টিকা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এমন কয়েকজন মানুষের মধ্যে তিনি অন্যতম। 

বিজ্ঞানী সায়মা সাবরিনা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। ন্যানোম্যাটেরিয়্যালের ব্যবহার নিয়ে গবেষণার জন্য ২০২০ সালে তিনি ওডব্লিউএসডি-এলসেভিয়ের ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর আর্লি ক্যারিয়ার ওমেন সায়েন্টিস্ট ইন দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড পেয়েছিলেন।

আরেক বিজ্ঞানী সালমা সুলতানা হলেন মডেল লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এমএএলএফ) চেয়ারম্যান। বাংলাদেশে পশুচিকিৎসাবিষয়ক শিক্ষাবিস্তারে তার ভূমিকা রয়েছে। তিনি পশুর রোগ নির্ণয়ের জন্য ল্যাবরেটরিসহ একটি ভেটেরিনারি হাসপাতালও গড়ে তুলেছেন। যা গবাদিপশুর আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সহজ করতে সক্ষম হয়েছে।এদিকে তাদের এমন অভূতপূর্ব সাফল্যে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশ এই অর্জন যেমন তাদের তেমনি বাংলাদেশের।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

গত ১ মাসে সেনাবাহিনীর দেড় হাজার সদস্য নিহতের খবর


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৩৫
গত ১ মাসে সেনাবাহিনীর দেড় হাজার সদস্য নিহতের খবর

ফাইল ছবি

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই তুলনামূলকভাবে বেড়েই চলেছে। ভারতের এএনআই নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসে সেনাবাহিনীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) বাহিনীর ১৩২টি লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

বিদ্রোহী পক্ষের বরাতে রেডিও ফ্রি এশিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের মধ্যে প্রাণহানী বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে জান্তা ১২০টি টাওয়ার থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। শুধুমাত্র গত মাসেই দেশটির সেনাবাহিনীর ১ হাজার ৫৬০ জন সেনা নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৫৫২ জন।

তবে জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তু জাতীয় ঐক্যের সরকারের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি এত সংখ্যক সেনা সদস্য নিহত হতো, তাহলে দেশ পরিচালনার মতো কেউ থাকতো না।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উত্খাত করে দেশটির জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী। এরপর অভ্যুত্থানবিরোধী এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ১৬ এপ্রিল সু চিকে স্টেট কাউন্সেলর করে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করেন। এই সরকার মূলত দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় এবং নির্বাসিত থেকে কাজ করছে।

গত ৮ মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ৭ হাজার ১৬৪ জন বিদ্রোহীকে আটক করাসহ ১ হাজার ১১৬ বিদ্রোহীকে গুলি করে হত্যা করেছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজারের বেশি মানুষ। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ