ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

প্রযুক্তি বিশ্বের অনন্য স্বপ্নদ্রষ্টা ইলন মাস্ক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:২৭
প্রযুক্তি বিশ্বের অনন্য স্বপ্নদ্রষ্টা ইলন মাস্ক

ফাইল ছবি

বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে ইলন মাস্কের নামের সাথে পরচিত নন এমন মানুষ বোধহয় একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। দুই হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পদের মালিক বিলিয়িনিয়ার ব্যবসায়ী, যাকে নিউইয়র্ক  টাইমস “ধাতব স্যুটবহিীন আয়রনম্যান” বলে ঘোষণা করছে সেই ইলন মাস্ক এর সাফল্য, ব্যর্থতা ও স্বপ্নের কাহিনি কেমন তাই তুলে ধরা হচ্ছে

বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ তরুণই উদ্যোক্তাই স্বপ্ন দেখে ইলন মাস্ক হয়ে ওঠার। তাঁকে আদর্শ মেনে অনেকেই উন্নতির পথে এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখছে। আজকের বিশ্ববিখ্যাত পে-পাল, স্পেস এক্স, টেসলা তাঁরই অবদান। 

ইলন মাস্কের জন্ম:
ইলন মাস্ক জন্মগ্রহণ করেন দক্ষিন আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। মার্কিন এই উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক এর পুরো নাম ইলন ‘রীভ’ মাস্ক। তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৮শে জুন। সারাবিশ্বে তুমুল জনপ্রিয় পে-পাল, স্পেস এক্স ও টেসলা মটরস প্রতিষ্ঠাতা এই ব্যক্তি নিজেই। ২০০২ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। মাস্ক তাঁর জীবনের দ্বিতীয় দশকের শেষ দিকে কমপ্যাক্ট কম্পিউটার্সের একটি শাখার কাছে তাঁর প্রথম কোম্পানী “জিপ টু” বিক্রি করে প্রথমবারের মত মাল্টিমিলিয়নেয়ারের খাতায় নাম লেখান। ২০১২ সালের মে মাসে তিনি শিরোনামে উঠে আসেন যখন তাঁর কোম্পানী স্পেস এক্স প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অর্থের বিনিময়ে ভ্রমনেচ্ছুক যাত্রী প্রেরণ করে।

সম্পদ: বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ২০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (ফেব্রুয়ারী ২০২১), গত এক বছরে হু হু করে বেড়েছিল মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ৷ ২০২১ এর শুরুতে তিনি জেফ বেজোসকে পিছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির শিরোপা পান। তবে এবার বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়লেন তিনি। ২০০২ সালে পে পাল বিক্রি করার মধ্য দিয়ে তিনি প্রথমবারের মত বিলিয়ন ডলার আয় করেন। তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এর মোট সম্পদের পরিমান তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের থেকেও বেশি।

শিক্ষা:
১৯৮৯ সালে সতের বছর বয়সে মাস্ক কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি এবং বাধ্যতামূলক সামরিক দায়িত্ব এড়ানোর জন্য দক্ষিন আফ্রিকা থেকে কানাডায় পাড়ি জমান।

১৯৯২ সালে কানাডা ত্যাগ করে আমেরিকায় পাড়ি জমান পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা ও পদার্থ বিজ্ঞান অধ্যয়ন করার উদ্দেশ্যে। তিনি অর্থনীতিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করার পর পদার্থ বিজ্ঞানে আরেকটি ব্যাচেলর অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যায়ে থেকে যান।

পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে জ্বালানী পদার্থ বিদ্যায় পিএইচডি করার উদ্দেশ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেই সময়েই ইন্টারনেট বিপ্লবের সূচনা হয় এবং এই বিপ্লবের অংশ হওয়ার জন্য মাস্ক মাত্র দুইদিন পিএইচডি প্রোগ্রামে কাজ করার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বেচ্ছায় বের হয়ে যান।

ইলন মাস্ক ও পে-পাল:
১৯৯৯ সালে মাস্ক তাঁর ভাইয়ের সাথে মিলে অনলাইন আর্থিক লেনদেন সেবাদাতা সাইট এক্স ডট কম সহপ্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী বছর নতুন কিছু বিষয় যোগ হওয়ার মাধ্যমে এক্স ডট কম আজকের পে-পালে পরিনত হয়। ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে ১.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের স্টকের মাধ্যমে ইবে পে পালকে কিনে নেয়।

স্পেস এক্স প্রতিষ্ঠা:
২০০২ সালে মাস্ক বাণিজ্যিক মহাকাশ ভ্রমণ সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে মহাকাশযান তৈরী করার জন্য স্পেস এক্স কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি রকেটের সম্পর্কে এর আগে তেমন কিছু জানতেন না। কিন্তু অল্পকিছুদিনের মধ্যেই তিনি নিজেকে রীতিমত একজন রকেট বিজ্ঞানীতে পরিনত করেন। তিনি এটা কিভাবে সম্ভব করলেন জানতে চাইলে তাঁর উত্তর ছিল “আমি (এই বিষয়ে) অনেকগুলো বই পড়েছি।” ২০০৮ সালের ভেতরেই স্পেস এক্স একটি সুপ্রতিষ্ঠিত মহাকাশযান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয় এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে মালামাল পৌঁছানোর চুক্তি স্বাক্ষর করে – যার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নাসার নিজস্ব মহাকাশযানের বদলে স্পেস এক্স এর যানে মহাকাশচারী আনা নেয়ার বিষয়ও ছিল!

ফ্যালকন ৯ রকেট:
২০১২ সালের ২২শে মে মাস্ক এবং তাঁর কোম্পানী একটি নামহীন ক্যাপসুলসহ ফ্যালকন ৯ রকেট উড্ডয়ন করে। মহাকাশযানটিতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত মহাকাশচারীদের জন্য ১০০০ পাউন্ড ওজনের রসদ ছিল। 

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে স্পেস এক্স আরও একটি মাইলফলক অতিক্রম করে ফ্যালকন ৯ এর মাধ্যমে একটি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়ে। স্যাটেলাইটটি এতটা দূরত্বে পাঠানো হয় যাতে করে পৃথিবীর নিজের কক্ষপথ ও গতিকে অনুসরণ করে চলতে পারে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

গৃহস্থালীর বর্জ্য থেকে তেল গ্যাস উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিষ্কার


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শনিবার, ০১ মে, ২০২১, ১০:২৮
গৃহস্থালীর বর্জ্য থেকে তেল গ্যাস উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিষ্কার

ফাইল ছবি

গৃহস্থালীর বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল ও গ্যাস উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও ক্যামিকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। তরুণ এই দুই গবেষক হলেন এইচএম রঞ্জু ও পীযুষ দত্ত। গত ২৭ মার্চ থেকে তাদের যন্ত্রটি তেল ও গ্যাস উৎপাদন শুরু করে। এতে লাভের পরিমাণ খরচের ২৫ শতাংশ বলে জানিয়েছেন তারা। রাজধানীর মাতুয়াইলে তুষারধারা এলাকায় প্রায় সাত কাঠা জমির ওপর বানানো প্ল্যান্টটি থেকে পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস ও জ্বালানি তেল।

এ ছাড়াও এতে আরও সাত প্রকারের দ্রব্য উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানান তারা। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকরণ যুক্ত করে যন্ত্রটির মাধ্যমে বিদ্যুৎও উৎপাদন করা যাবে। এতে প্রতি ইউনিটের খরচ পড়বে সাড়ে ৫ টাকা থেকে পৌনে ৬ টাকা।

গতবছরের ১৪ নভেম্বর প্ল্যান্টটি স্থাপনের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় চলতি বছরের ১৭ মার্চ। উৎপাদন শুরু হয় ২৭ মার্চ। এতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

বর্জ্য থেকে তেল ও গ্যাস উৎপাদনের জন্য দুই তরুণ বিজ্ঞানী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত গবেষণা পরিচালনা করেন। তাদের গবেষণার সার্বিক তদারকি করেছেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তসলিম-উর-রশিদ, প্রভাষক সাজিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ অ্যাডভান্স রোবটিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিমি মজুমদার।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

প্রতিশ্রুতি 


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১, ০২:০৪
প্রতিশ্রুতি 

ছবি: মার্জেনা চৌধুরী

      - মার্জেনা চৌধুরী

কষ্টের দেয়াল ভেঙে যাই
প্রহরের খণ্ডিড নিকষ অন্ধকারে,
অশ্রুর সাগরে ভেসে যাই
খুঁজে যাই নিরর্থক এই আমিটারে !
পরাণে পেরেক ঠুকে
বিলুপ্ত ধূসর খুঁজি  চয়নিকা দুপুরে,
অবশ পায়ে নোঙর বাঁধি
খুঁজে যাই আমার জোনাকিটারে !
পাষাণের প্রগতি ধরি
পথিক আমি গন্তব্য নেই আমার,
অনুযায়ী  বর্ণাঢ্য হিম বায়ে
আমি যে পদচিহ্ন খুঁজি তাহার !
উড়াল পাখির মতো পরাণ
হিসেবেই গরমিল নিভৃতের মায়ায়,
আমি তো পাইনি তারে
মিনতি জড়ায়ে প্রতিশ্রুতি হারায় !


---- ফেসবুক পাতা থেকে

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook