পাকিস্তান এখন আর যুদ্ধবিমান ক্রয় করছে না; বরং বিক্রির দিকেই ঝুঁকছে। ইসলামাবাদ থেকে ১২টি জেএফ-১৭ থান্ডার জঙ্গিবিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে আর্জেন্টিনা।
পাকিস্তানের কাছ থেকে এসব জঙ্গিবিমান কেনার জন্য আর্জেন্টিনা ২০২২ সালের খসড়া বাজেটে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। খবর দ্য ডনের।
জেএফ-১৭ থান্ডার বিমান চীন ও পাকিস্তানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি এক ইঞ্জিনের মাল্টি রোল যুদ্ধবিমান।
ইতিমধ্যে এ বাজেট দেশটির জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি, তবে দেশটি পাকিস্তান থেকে জঙ্গিবিমান কিনতে চায়— সেটি পরিষ্কার।
গত কয়েক বছর ধরে আর্জেন্টিনা বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে জঙ্গিবিমান কেনার চেষ্টা করে আসছিল, কিন্তু অর্থের ঘাটতি এবং ব্রিটেনের আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
সর্বশেষ গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে জঙ্গিবিমান কেনার প্রচেষ্টাও আটকে দিয়েছিল ব্রিটেন। আর্জেন্টিনার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিটিশ এ পদক্ষেপকে ‘সাম্রাজ্যবাদী অহংকার’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ড্রোন হামলা হয়েছে। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, ড্রোন হামলায় হালকা ক্ষতি হয়েছে। তবে কোনো হতাহত হয়নি।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সবিনিন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভোরে ড্রোন হামলায় কয়েকটি ভবনের হালকা ক্ষতি হয়েছে। শহরের সকল জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ গুরুতর আহত হয়নি।’ আল জাজিরার খবরে এই ড্রোন হামলাকে ‘বিরল ঘটনা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। মস্কো শহর ইউক্রেন থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া দূরপাল্লার ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে ইউক্রেন। মস্কো অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রেই ভরোবিয়ভ জানিয়েছেন, মস্কোর পথে আসার সময় বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে এধরণের হামলা অব্যাহত থাকলে রাশিয়া হাত গুটিয়ে বসে থাকবেনা। রাশিয়ার ইউক্রেনের হামলার প্রতিশোধের পাশাপাশি হামলার বস্তুর উৎস কোন দেশ থেকে সাপ্লাই হয়, তা চিহ্ণিত করবে এবং বেছে বেছে তা নির্মুলের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শক্তি প্রয়োগ করতে কার্পণ্য করবেনা।
চলতি মাসের প্রথম দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা হয়। ক্রেমলিন কর্তৃপক্ষ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রোনের মতো দেখতে একটি বস্তু ভূমি থেকে ৫০ ফুটের মতো উচ্চতায় বিস্ফোরিত হচ্ছে। এই ঘটনার পর ইউক্রেনকে দায়ী করে মস্কো আগের তুলনায় হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ইউক্রেনের রাজধানীতেও একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি দেশ আমেরিকার ব্যাংক বীমা মাঝে মধ্যেই দেওলিয়া হতে যায় যায়। ফলে চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও অধুনা আরব দেশগুলো ও তাদের মিত্র দেশগুলোর সহিত আমেরিকার ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়লে মুখ থুবড়ে পড়বে আমেরিকার অর্থনীতি। এতে ন্যাটো ও ইইউ'র দেশগুলোতে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়লে সুযোগ বুঝে চীন-রাশিয়া দেশগুলোকে পর্যদুস্ত করবেনা তা হলফ করে বলা যায়না।
আগের ম্যাচে ইতালিকে হারিয়ে অর্জন করেছিলেন ফাইনালিসিমা। এবার ইউরোপের আরেক দল এস্তোনিয়ার বিপক্ষে একাই পাঁচ গোল করে দলকে এনে দিলেন ৫-০ গোলের বিরাট জয়।
আর তাতেই মেসি ক্যারিয়ারে ভূরি ভূরি রেকর্ড জমা করলেন। এদিন ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক হ্যাটট্রিক গড়লেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় দলের জার্সিতে এবারই প্রথম কোনো ম্যাচে তিনের বেশি গোল করলেন আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক।
এখানেই শেষ নয়; আরও বেশ কয়েকটি কীর্তি অর্জন করেছেন মেসি। জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার ৫ গোল করলেন তিনি। বিশ্বের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ফুটবলার মেসি, যিনি ক্লাব ও জাতীয় উভয় দলের হয়েই এক ম্যাচে ৫ গোল করার রেকর্ড গড়েছেন।
এর আগে বার্সেলোনার হয়ে ২০১২ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে ৫ গোল করেন মেসি। রোববার রাতের ম্যাচে ৫ গোল করার পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মেসির গোল সংখ্যা বেড়ে হলো ৮৬টি।
এরই সঙ্গে হাঙ্গেরির কিংবদন্তি ফুটবলার ফেরেঙ্ক পুসকাসকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন চতুর্থ সর্বাধিক গোলদাতা মেসি। পুসকাসের গোল সংখ্যা ৮৪টি। মেসির সামনে রয়েছেন মালয়েশিয়ার মুখতার দাহারি, ইরানের আলি দাই ও পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
এখানেই শেষ নয়; আরও একটি অনন্য কীর্তি যোগ হলো আর্জেন্টাইন অধিনায়কের রেকর্ডে। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে এই ৫ গোল করার মাধ্যমে জাতীয় দলের জার্সিতে ভিন্ন ৩০টি দেশের বিপক্ষে গোলের কীর্তি গড়েছেন মেসি।
উল্লেখ্য, রোববারের ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে এমন বিধ্বংসী মেসিকে আগে কখনো দেখা যায়নি। অষ্টম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলের সূচনা করেন মেসি। ৪৫তম মিনিটে দ্বিতীয়বার বল জালে পাঠান তিনি। বিরতির মাঠে নেমেই ৪৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। ৭১ ও ৭৬ মিনিটে করেন আরও ২ গোল। সূত্র: যুগান্তর