a
ফাইল ছবি
ইসরায়েল সরকারের কাছে অস্ত্রের চালান সরবরাহে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইতালির বন্দর শ্রমিকরা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনারা বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদে অস্ত্র চালান সরবরাহে ইতালির শ্রমিকরা সহযোগিতা করবেনা বলে জানিয়েছে।
অস্ত্রের একটি চালান ইসরায়েলে যাচ্ছে এমন তথ্য পাওয়ার পর ইতালির লিভোরনো শহরের বন্দর শ্রমিকরা এই সিদ্ধান্ত নেয়। ইতালির অনলাইন পত্রিকা কন্ট্রোপিয়ানো এ খবর প্রকাশ করে।
অস্ত্র ভর্তি কয়েকটি কন্টেইনার জাহাজে তুলে দেয়ার জন্য বন্দর শ্রমিকদের নির্দেশ দেয়ার পর শ্রমিকরা জানতে পারে যে, এসব কন্টেইনার ইসরায়েলের বন্দরনগরী আশদোদে যাবে। আর এসব কন্টেইনারে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল।
পত্রিকাটি লিখেছে, অস্ত্র ও বিস্ফোরক ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যার জন্য ব্যবহৃত হবে। আর ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনিদের ওপর এইরমধ্যে ইসরায়েল মারাত্মক হামলা চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলি এসব আগ্রাসনে দেড়শ’র বেশি সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছেন। সূত্র: আরব নিউজ, পার্সটুডে
ফাইল ছবি
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সেনাদের প্রত্যাহার শুরুর পর হামলা বাড়িয়েছে স্বশস্ত্র সংগঠন তালেবান। এমন পরিস্থিতিতে আজ শনিবার (১৭ জুলাই) তালেবান ও আফগানিস্তান সরকারের প্রতিনিধিরা কাতারের রাজধানীর দোহায় বৈঠকে বসছেন।
জানা যায়, বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যে কাতার গেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, সরকারের সাবেক প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। এছাড়া আফগানিস্তান সরকারের ওই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন নাজিয়া আনওয়ারি। প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
নাজিয়া আনওয়ারি জানান, কাতারে দুই পক্ষের আলোচনা হবে। আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করাই মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি, খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে এর মধ্য দিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি আসবে। দুই পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে।
ফাইল ছবি
শরীরে অগ্ন্যাশয় যথাযথভাবে ইনসুলিন তৈরি করতে না পারলে অথবা শরীরে ইনসুলিনের সঠিক কাজ ব্যাহত হলে সেখানেই ডায়াবেটিস সৃষ্টি হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়; অধিক তৃষ্ণা অনুভব করেন এবং বারবার মুখ শুকিয়ে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা দুর্বলতা অনুভব করেন, সার্বক্ষণিক ক্ষুধা, স্বল্পসময়ে দেহের ওজন হ্রাস, চোখে ঝাপসা দেখাসহ নানারকম সমস্যায় ভোগেন। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক কয়েকটি খাবার নীচে উল্লেখ করা হলো-
সবুজ চাঃ সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে; ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এটি অন্যরকম সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
ওয়াইল্ড স্যামনঃ ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অন্যতম একটি ঔষধী খাদ্য ওয়াইল্ড স্যামন। এতে উচ্চমাত্রায় ওমেগা-৩ রয়েছে। ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি বড় উৎস এটি। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁঁকিও কমায় ওয়াইল্ড স্যামন।
মাছঃ গবেষণায় দেখা যায় মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এতে চর্বিহীন প্রোটিন রয়েছে।
টক দইঃ টক দই একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে। এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
ডিমের সাদা অংশঃ ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। এতে উচ্চমানের প্রোটিন রয়েছে। ডিমের সাদা অংশে উচ্চমানের চর্বিহীন প্রোটিন ও কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা ২ ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
লেবুঃ লেবু ও লেবুজাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন সি'র অভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে। তবে লেবুজাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি'র অভাব অনেকটা পূরণ হয়। জাম্বুরা, কমলা ও লেবু এসব ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের মতো কাজ করে।
সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজি ২ ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। পালং শাক, পাতাকপি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। গবেষণায় দেখা যায়, সবুজ শাকসবজি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে। সূত্র:বিডি প্রতিদিন