a ওয়াশিংটনকে দিল্লির বার্তা: শেখ হাসিনাকে দুর্বল করলে ক্ষতি সবার
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১১ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ওয়াশিংটনকে দিল্লির বার্তা: শেখ হাসিনাকে দুর্বল করলে ক্ষতি সবার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৮ আগষ্ট, ২০২৩, ০৯:৩৪
ওয়াশিংটনকে দিল্লির বার্তা: শেখ হাসিনাকে দুর্বল করলে ক্ষতি সবার

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকার দুর্বল হলে তা ভারত ও আমেরিকা কারও পক্ষেই সুখকর হবে না বলে মনে করে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত যে খুশি নয়, ওয়াশিংটনকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সেই বার্তাও। একাধিক স্তরের বৈঠকে বাইডেন প্রশাসনকে এ কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

নয়াদিল্লির নানা কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হোক এটা ওয়াশিংটনের মতো ভারতও চায়। কিন্তু যেভাবে হাসিনা সরকারকে অস্থির করার জন্য আমেরিকার তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে, তা প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর তিন সপ্তাহ পরেই নয়াদিল্লিতে এক মঞ্চে বসবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে ভারতের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

কূটনৈতিক মহলের বরাতে আনন্দবাজার আরও বলছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে কাবুলের পাশাপাশি ভারতের অন্য প্রতিবেশী সম্পর্কে আমেরিকার নীতিও নয়াদিল্লির জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। ভারতের সঙ্গে দীর্ঘতম স্থলসীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে বাংলাদেশের যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি ভারতেও প্রভাব ফেলে।

সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার বলছে, নয়াদিল্লি এ কথাই বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছে যে জামায়াতকে আস্কারা দিলে একদিকে যেমন ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বাড়তে পারে, তেমনই চিনের প্রভাব বাংলাদেশে অনেকটাই বেড়ে যাবে, যা কাঙ্ক্ষিত নয় ওয়াশিংটনেরও।

মনে হচ্ছে, আমেরিকা জামাতকে বরাবর রাজনৈতিক ইসলামিক সংগঠন হিসাবেই দেখানোর চেষ্টা করে। মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে তাকে তুলনা করে আমেরিকা।

বাংলাদেশের জন্য পৃথক একটি ভিসানীতি ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন। সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার উল্লেখ করেছে, বিষয়টি উচিত বলে মনে করছে না নয়াদিল্লি। এই ভিসানীতির ফলে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন যারা বানচাল করার চেষ্টা করবে, তারা আমেরিকায় প্রবেশের অধিকার পাবে না। ভারতের কূটনৈতিক শিবির মনে করছে, আমেরিকার প্রশাসন সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাতেই নিজের দেশের আইন প্রয়োগ করে বাংলাদেশের জন্য পৃথক ভিসানীতি গ্রহণ করলো।

অনন্দবাজারের প্রতিবেদন আরও বলছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লি গিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব তথা দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। সেখানে তারাও বার্তা দিয়েছেন, আঞ্চলিক স্থিতি বজায় রাখার প্রশ্নে বিএনপি ও জামায়াত বিপজ্জনক। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কাবুল বিমানবন্দরে হামলার জেরে জো বাইডেনের পদত্যাগ চাইছে মার্কিন জনতা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৯ আগষ্ট, ২০২১, ০৮:৪৩
কাবুল বিমানবন্দরে হামলার জেরে জো বাইডেনের পদত্যাগ চাইছে মার্কিন জনতা

ফাইল ছবি

কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১০০ জনের ওপর মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পদত‌্যাগের দাবি জোরাল হল। 

জাতিসংঘে আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ‌্যালি টুইট করে বলেন, "বাইডেন কি এবার পদত‌্যাগ করবেন, নাকি তাকে সরানো হবে? তবে বাইডেন সরে গেলে যদি কমলা হ‌্যারিস প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তা দশগুণ খারাপ হবে। স্রষ্টা আমাদের রক্ষা করুন।"
 
নিক্কির এই টুইটের পরে রিপাবলিকান পার্টির একাধিক কংগ্রেস ম্যান টুইট করে বাইডেনের পদত‌্যাগ দাবি করতে থাকেন। বাইডেনের সঙ্গে সঙ্গে তারা কমলা হ‌্যারিস ও বিদেশ সচিব অ‌্যান্টনি ব্লিঙ্কেনেরও পদত‌্যাগ দাবি করেন। রিপাবলিকান সাংসদরা বলতে থাকেন, যদি একটা ফোনের জন‌্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হয়ে থাকে, তাহলে কেন বাইডেনের ইমপিচমেন্ট হবে না।

আফগানিস্তান থেকে যেভাবে মার্কিন সেনা প্রত‌্যাহার করা হয়েছে, তা বাইডেনের চরম গাফিলতি বলে রিপাবলিকান দলের নেতারা জানাতে থাকেন। বস্তুত, আফগানিস্তান ইস্যুতে বাইডেনের ব‌্যর্থতার জন‌্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পদত‌্যাগ চেয়েছিলেন। রিপাবলিকান কংগ্রেস ম‌্যানরা অবিলম্বে মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশন দাবি করলেও স্পিকার ন‌্যান্সি পেলোসি তা উড়িয়ে দিয়েছেন।

আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার মৃত্যু শেষবার হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তার কয়েক সপ্তাহ বাদেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করেন, যাতে মার্কিন বাহিনীর উপর তারা কোনও হামলা না করে। ফলে গত বৃহস্পতিবার কাবুলের বিস্ফোরণে ১৩ মার্কিন সেনার মৃত্যু বাইডেনকে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে।

তালেবান যেভাবে আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নিয়েছে, তাতে গোটা বিশ্বের সঙ্গে মার্কিন জনতারও একটি বড় অংশ বাইডেনের উপর ক্ষুব্ধ। কাবুলের বিস্ফোরণ সেই ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

সূত্র- ফক্স নিউজ, দ্যা নিউজ এন্ড অবজারভার।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ঘোষণা


হানিফ,মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
রবিবার, ১৬ মে, ২০২১, ০৮:৩৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ঘোষণা

ফাইল ছবি

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলির পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেওয়া শুরু করেছে সাধারণ জনগন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক টুইটারে সকলেই পণ্য বয়কটের আন্দোলন শামিল হচ্ছে। ইসরায়েল রাষ্ট্র একের পর একে ফিলিস্তিনি নিরীহ মানুষের উপর হামলা করছে। যুগে যুগে যখন মুসলমানদের উপর বিভিন্ন অত্যাচার হচ্ছে সেখানে অত্যাচারিত জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে সকল মুসলিম দেশ। এছাড়া মুসলিম না হয়েও অনেকে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। ইহুদিরা বর্তমানে মুসলমানদের পবিত্র আল আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে নিরীহ মানুষের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের জমি ও বাড়িঘর ধ্বংস করে দিচ্ছে। এমতাবচ্ছায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে, যারা দখলদারদের পণ্য ক্রয় করে বা বাজারজাত করে তারা একই অপরাধে পাপী হিসেবে স্বীকৃত।

টানা ষষ্ঠ দিনের মত ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এছাড়া আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। পাশাপাশি বহু ফিলিস্তিনি নরনারীদের গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল বাহিনী। যতই দিন যাচ্ছে ততই ভয়ংকরভাবে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতেছে ইহুদি এ রাষ্ট্রটি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের দেশের পণ্য বয়কট করে বিকল্প পণ্য ব্যবহারে ঘোষণা দিচ্ছে অনেকে। অনেকে মনে করেন পণ্য বয়কট একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। এক্ষেত্রে ইসরায়েল রাষ্ট্র কিছুটা হলেও অর্থনৈতিকভাবে বেকায়দা পড়েবে।

বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ইসরাইলি পণ্যের মধ্যে আছে কোমল পানীয় পেপসি, সেভেন আপ, স্প্রাইট, মিরিন্ডা, মাউন্টেড ডিউ, ফান্টা, একুয়াফিনা। এছাড়া আছে তাজা চা পাতা, ট্যাং,নাইকি, নেস্টলে লেভিসসহ বহুজাতিক পণ্য যা আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক