a গোপনে রুবলে গ্যাস কিনছে ইউরোপের ১০টি দেশ
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১১ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

গোপনে রুবলে গ্যাস কিনছে ইউরোপের ১০টি দেশ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৪ মে, ২০২২, ০৬:১৬
গোপনে রুবলে গ্যাস কিনছে ইউরোপের ১০টি দেশ

ফাইল ছবি

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশের নেতারা প্রকাশ্যে রুবলে গ্যাস কিনবেন না বললেও তারা গোপনে গোপনে রাশিয়ার মুদ্রাতেই গ্যাস কিনছেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফ গার্জেলি গুলিয়াস রোববার এক রেডিও অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর ব্লুমবার্গ ও পার্সটুডের।

তিনি বলেন, ইউরোপের যে সব দেশ রুবলের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনছে সেসব দেশের নেতারা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করছেন না শুধুমাত্র ভালো ইউরোপীয় হওয়ার জন্য। গুলিয়াস জানান, রাশিয়ার গজপ্রম ব্যাংকে তার দেশ একটি ইউরোর অ্যাকাউন্ট খুলেছে, এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তারা রাশিয়াকে রুবলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করবেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোকে গ্যাসের দাম পরিশোধের জন্য রুবেল ব্যবহার করতে হবে বলে যে ডিক্রি জারি করেছেন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তা পূরণ করা সহজ।

হাঙ্গেরির ওই কর্মকর্তা বলেন, তারা যে পদ্ধতিতে রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করছেন, একই সিস্টেমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নয়টি দেশ মূল্য পরিশোধ করছে। এ ব্যাপারে কারো মনে কোনো রকমের সন্দেহ থাকার কারণ নেই। কিন্তু তারা কেউ এ কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করবে না শুধুমাত্র ভালো ইউরোপীয় সাজতে।

তিনি কোন কোন দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে রুবলের বিনিময়ে গ্যাস কিনছে তার নাম উল্লেখ করেননি। এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ দেশ রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য রুবলের মাধ্যমে পরিশোধ করার জন্য গজপ্রম ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে এবং এরইমধ্যে চারটি দেশ রুবলের এর মাধ্যমে রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করা শুরুও করেছে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মুসলিম-আমেরিকানরা হোয়াইট হাউজের ঈদ উৎসব বর্জন করেছেন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৬ মে, ২০২১, ০৯:৪১
মুসলিম-আমেরিকানরা হোয়াইট হাউজের ঈদ উৎসব বর্জন করেছেন

ফাইল ছবি

 

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বরোচিত বোমা-হামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্লিপ্ততার প্রতিবাদে ‘দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স’ (কেয়ার) হোয়াইট হাউজের ঈদের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। 

১৬ মে রবিবার ঈদ-উৎসবের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউজ। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কর্মরত আরো দুটি সংগঠন এসব অনুষ্ঠানের বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। 

মুসলিম-আমেরিকানদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত ‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন’ কেয়ারের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টরর নিহাদ আওয়াজ শনিবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা জেনেশুনে বাইডেন প্রশাসনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারি না, যখন গাজায় ইসরাইলি দুর্বৃত্তপনাকে আক্ষরিক অর্থে সহায়তা-সমর্থন দেয়া হচ্ছে, নিরীহ পুরুষ-নারীসহ শিশুদের নির্বিচারে বোমা হামলায় হত্যা করা হচ্ছে, সে সময় বাইডেনের নিরবতাকে আমরা মানতে পারছি না। এটা বিবেকের দংশন হবে-যদি বাইডেনের সাথে ঈদ-উৎসবে আমরা অংশ নেই। আমরা সর্বান্তকরণেই মনে করছি যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এহেন অন্যায়-অবিচার বন্ধ করা অথবা দমন করার ক্ষমতা ও নৈতিক কর্তৃত্ব রয়েছে। আমরা তাকে আহ্বান জানাচ্ছি ভিকটিমদের পক্ষে দাঁড়ানোর, হায়েনাদের পক্ষে নয়।’

‘ইসরাইলিদের বোমা হামলা বন্ধে বাইডেন প্রশাসন যদি কার্যকর অর্থে কোন পদক্ষেপ না নেন, এরফলে আরো অনেক শিশুর প্রাণহানী ঘটবে, এরমধ্য দিয়ে মূলত: মুসলিম-আমেরিকানদের সাথে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিদ্যমান সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। শুধু তাই নয়, যারা সত্যিকার অর্থে নাগরিক ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন, তাদের সাথেও বাইডেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটবে’-মন্তব্য নিহাদ আওয়াজের। 

প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোয়াইট হাউজের ঈদ-উৎসব প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জিল এবং আমি অধীর আগ্রহে রয়েছি রবিবারের ঈদ উৎসবে সকলকে স্বাগত জানাতে। সারাবিশ্বে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই। তবে আনন্দে পরিপূর্ণতা পায়নি মুসলিম সমাজের পবিত্র ভূমিতে হানাহানির কারণে। যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানেরাও ব্যথিত এবং উদ্বিগ্ন ঐ একই কারণে।’

উল্লেখ্য, ইসরাইলের আগ্রাসী তৎপরতায় বাইডেন প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে কংগ্রেসে প্রগতিশীল এবং উদারচিত্তের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সমালোচনা করেছেন।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা 


মীম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিনিধি
শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২৭
দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রধান উপদেষ্টা

ছবি সংগৃহীত: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

 

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‌‘যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা তাঁর সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের জনগণকে আশ্বস্ত করেছি যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব।’

শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণদানকালে প্রধান উপদেষ্টা একথা বলেন।

বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘১৯৭১ সালে লাখ লাখ সাধারণ নারী-পুরুষ, শিশু ও যুবক একটি নৃশংস সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসব্যাপী গণহত্যায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিল।’

বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের জনগণ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও স্বাধীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে।’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, গত পনেরো বছরে আমাদের জনগণ বিশেষ করে যুবসমাজ, ক্রমাগত তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা সংকুচিত হতে দেখেছে। তারা রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয় ও নাগরিক অধিকারের অবমাননা প্রত্যক্ষ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ জনগণ একটি নৃশংস স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই তরুণ এবং ১১৮ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাঁর ইতিহাসে এক নবজাগরণ প্রত্যক্ষ করেছে। যেসব ছাত্রনেতা এই গণজাগরণে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করেছে, তারা তাকে অনুরোধ করেছিল এই সংকটময় মুহূর্তে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের জনগণের স্বার্থে এই দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে তাঁরা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বলিষ্ঠ ও সুদূরপ্রসারী সংস্কার গ্রহণ করবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা সুশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিষয়গুলোই আমাদের পরিকল্পিত সংস্কারের মূল লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংবিধান সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, যাতে জনগণের মালিকানা, জবাবদিহিতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়।’

প্রধান উপদেষ্টা জানান, ‘এই কমিশনগুলো ইতিমধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে, যা বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করেছি। আমি নিজেই যার নেতৃত্ব দিচ্ছি এবং এতে ছয়টি কমিশনের প্রধানরা রয়েছেন। এই কমিশনগুলো যে সুপারিশগুলো জমা দিয়েছে, তা পর্যালোচনা এবং গ্রহণ করার জন্য এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।’

সরকার প্রধান আরও জানান, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি আরো চারটি কমিশন গঠন করেছে, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম এবং নারী অধিকার সংক্রান্ত নীতিগত সুপারিশ দেওয়ার লক্ষ্যে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করছি, তখন আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে অবিচলভাবে কাজ চালিয়ে যাব, তারা নারী হোক কিংবা জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু হোক।’

অনুষ্ঠানে থাই প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মেলনের চেয়ারপার্সন পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা, বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মনি পান্ডে এবং বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। -বাসস

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক