চীনের বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশের অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নৌবাহিনীর দাবি, দক্ষিণ চীন সাগরের অন্তত তিনটি দ্বীপকে পুরোপুরি সামরিকায়ন করেছে বেইজিং। তাই ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে চীনের সঙ্গে প্রয়োজনে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন নৌবাহিনীর ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমান্ডার জন সি অ্যাকুইলিনো।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের শত্রুতা বেশ পুরাতন। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পারস্পরিক হুঁশিয়ারির মধ্যেই বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে সামরিক সমাবেশের অভিযোগ আনছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমান্ডার জন সি অ্যাকুইলিনোর দাবি, দক্ষিণ চীন সাগরের অন্তত তিনটি দ্বীপ পুরোপুরি সামরিকায়ন করেছে চীন। জাহাজ ও বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান, লেজারসহ অত্যাধুনিক সব অস্ত্র মোতায়েন করেছে। এমন পদক্ষেপকে চীনের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে অ্যাকুইলিনো বলেন, বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতার কারণে অঞ্চলটির সব দেশ হুমকিতে পড়েছে।
মার্কিন এই কমান্ডারের মতে, গত ২০ বছর ধরে চীনকে আমরা ব্যাপক সামরিক শক্তি প্রদর্শন করতে দেখেছি। তারা তাদের সব ধরনের সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলেছে। বেইজিংয়ের অত্যাধুনিক সব অস্ত্র প্রদর্শন পুরো অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা করছে।
অ্যাকুইলিনো আরও অভিযোগ করেন, চীনের সামরিক তৎপরতা বাড়ানোর অন্যতম লক্ষ্য নিজেদের সীমানা ছাড়িয়ে অন্যান্য অঞ্চলেও সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা। বিতর্কিত জলসীমার ওপর দিয়ে চলা যে কোনো সামরিক ও বেসামরিক বিমানের ওপর চীন সহজেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মার্কিন নৌবাহিনী আরও বলেন, অঞ্চলটিতে যে কোনো ধরনের যুদ্ধ প্রতিরোধ করাই তাদের লক্ষ্য। তবে দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাকুইলিনো। সূত্র: সময় নিউজ
রাশিয়া দাবি করেছে, গত রাতে তারা দুইটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হত্যা করতে ইউক্রেন এ হামলা করেছিল বলে মস্কো দাবি করে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইলেক্ট্রনিক রাডার ব্যবহার করে স্পেশাল সার্ভিস ড্রোন দুইটি প্রতিহত করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থায় বলেন, এ সময় পুতিন ক্রেমলিনে ছিলেন না।
এতে বস্তুগত কোনো জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। এদিকে ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না।
রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওতে কেন্দ্রীয় মস্কোতে বুধবার ভোরের দিকে কিছু ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। তবে এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলংকা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন এক এমপিসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮৯ জন।
সোমবার মাহিন্দা রাজাপাকসেসহ দেশটির মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতাদের বাসভবনে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ক্ষমতাসীন এক এমপি ও এক বিক্ষোভকারীও রয়েছেন। এছাড়া আহতদের দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানান, কলম্বোর সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অন্তত ১৩৮ জনকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংঘর্ষ চলাকালে কলম্বোর নিতাম্বুওয়া এলাকায় বিক্ষোভকারীরা সরকারী দলের এক এমপির গাড়ি ঘিরে ধরেন। এসময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান এমপি। এতে দুই বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হন। পরে আহত দুইজনের মধ্যে একজন মারা যান।
সংবাদমাধ্যম এএফপিকে শ্রীলংকা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই এমপি। পরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ওই ভবনটি ঘিরে ফেললে এমপি নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেকে গুলি করেন।
এদিকে সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের কুরুনেগালাস্থ বাসভবনসহ রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতাদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেছেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে দেশে চলমান আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে সরকারি সূত্র বলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার পদত্যাগপত্র প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠিয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর