জার্মানির ডুসেলডর্ফে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ওই বোমার ওজন প্রায় ৫০০ কিলোগ্রাম।
বোমাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা নিক্ষেপ করেছিল। তবে সে সময় বোমাটি বিস্ফোরণ হয়নি। এতদিন পর সেটিকে উদ্ধার করা হলো। বোমাটি নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা বোমাটি উদ্ধার করেছে।
দমকল বাহিনী বোমাটিকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে। তবে তার আগে প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোনও কারণে বোমাটি বিস্ফোরণ হলে স্থানীয় মানুষের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে ডুসেলডর্ফের প্রশাসন জানিয়েছে।
স্থানীয় মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানোর পাশাপাশি একাধিক রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। বন্ধ করা হয়েছে কয়েকটি ট্রামের রাস্তা। দূরপাল্লার কয়েকটি ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, বোমাটি বিস্ফোরণ হলে এর ভয়াবহতা হবে ব্যাপক। তাই সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জার্মানিতে এর আগেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের বোমা উদ্ধার করা হয়েছি। ২০২০ সালে ফ্রাঙ্কফুর্টে যুক্তরাজ্যের তৈরি একটি বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেখানেও প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। সূত্র: ডয়েচে ভেলে, এএফপি, দ্য লোকাল জার্মানি
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধণ ও প্রতিমন্ত্রী অশ্বিন চৌবেসহ অন্তত ৯ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় রদবদলের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে এ পদত্যাগের ঘোষণা আসে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ বিষয়ে জানায়, বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদলের আগে হেভিওয়েট ওই মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত মার্চের মাঝামাঝি থেকেই ভারতে দৈনিক করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকে। একে পর এক গড়তে থাকে রেকর্ড। এরপর এপ্রিল-মে মাসে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পুরো এপ্রিল-মে থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেশটিতে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লক্ষাধিক মানুষ।
দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ছিল ৪ হাজারেরও বেশি। দেশের স্বাস্থ্যখাতের এমন বেহাল দশায় দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। চলমান এই সমালোচনার মধ্যেই আজ বুধবার পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ও একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিন চৌবে।
সেই সাথে ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক এবং শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাংওয়ারও পদত্যাগ করেছেন। আরও রয়েছেন কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সারবিষয়ক মন্ত্রী সদানন্দ গৌদা, নারী ও শিশু কল্যাণবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধোর্তে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, ভোক্তা কল্যাণবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রাও সাহেব ধানবে পাতিল এবং জলশক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রতন লাল কাটারিয়া।
এ বিষয়ে এনডিটিভি বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে তা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোন সদস্যের ভূমিকা কেমন ছিল সে বিষয়ে সম্প্রতি একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন দেশটির স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। প্রতিবেদনটি এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমাও দিয়েছেন তারা।
এদিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরই সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় রদবদলের ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই বর্তমান মন্ত্রিসভার ৯ সদস্যের পদত্যাগের খবর এলো।
এনডিটিভি আরো জানায়, বুধবার নতুন ৪৩ জন সদস্য ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন।
বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সকল ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। সেই সঙ্গে এসএমসি প্লাস বাজারজাতকারি কোম্পানি একমির কর্ণধার তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার এ নির্দেশ দেন বিচারক আলাউল আকবার।
এর আগে দোষ স্বীকার করে আজ সকালে জামিন চান তিনি। এ সময় তানভীর সিনহা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই কারণ তারা জানতেন না, এটার লাইসেন্স নেই। পরে আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সব এসএমসি প্লাস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক কামরুল হাসান।
গত ১৬ মে অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রির কথা স্বীকার করায় এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামের জামিন মঞ্জুর করে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।
গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।
এর আগে ওই দিন সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।
তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে জরুরীভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সূত্র: যুগান্তর