ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অংশগ্রহণকারী সেই নওমুসলিমের রহস্যজনক মৃত্যু


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১, ০৬:১০
বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অংশগ্রহণকারী সেই নওমুসলিমের রহস্যজনক মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি

ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারী সাবেক করসেবক মোহাম্মদ আমেরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার তেলেঙ্গানা প্রদেশের হায়দরাবাদ শহরে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

খবরে বলা হয়, হায়দরাবাদের পুরনো শহরে হাফিজ বাবা নগর মহল্লায় মোহাম্মদ আমেরের বাড়ি থেকে বাজে গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কাছাকাছি থাকা কাঞ্চনবাগ পুলিশ স্টেশন থেকে একটি দল এসে বাড়িতে ঢুকে তার লাশ উদ্ধার করে।

কাঞ্চনবাগ পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর জে ভেঙ্কট রেড্ডি বলেন, ‘মৃত্যুর কারণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। যদি আমরা তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহ করে কোনো অভিযোগ পাই, পুলিশ তখন ময়নাতদন্ত করবে এবং মামলা লিপিবদ্ধ করবে।’

পূর্বে বলবির সিং নামে পরিচিত মোহাম্মদ আমের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) কর্মী ছিলেন। আরএসএসের সক্রিয় কর্মী হিসেবে ১৯৯২ সালে তিনি বাবরি মসজিদের ধ্বংসে অংশ নিয়েছিলেন।

কিন্তু তার উদারপন্থী পরিবার তার কাজকে প্রত্যাখ্যান করলে তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করতে থাকেন। মানসিক শান্তির জন্য তিনি উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের মাওলানা কলিম সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করেন। পরে ১৯৯৩ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং বলবির সিং থেকে নিজের নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আমের রাখেন।
 
ইসলাম গ্রহণের পর থেকে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে নিজের অংশগ্রহণের বদলায় ১০০ মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন মোহাম্মদ আমের। এই লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে হরিয়ানায় ‘মসজিদে মদীনা’ নামে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি।

গত ২৭ বছরে মোট ৯১টি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মোহাম্মদ আমের। এছাড়া আরো ৫৯টি মসজিদ বর্তমানে নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে। সূত্র : সিয়াসত ডেইলি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদা এই প্রথম জনসম্মুখে আসলেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৫২
তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদা এই প্রথম জনসম্মুখে আসলেন

ফাইল ছবি

প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেল তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে। রোববার তালেবান কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কান্দাহারে জনসম্মুখে ভাষণও দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।

পাঁচ বছর আগে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাকে কখনই জনসমক্ষে দেখা যায়নি। গত আগস্ট মাসে তালেবান আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করার পরও তিনি আড়ালেই থেকে যান। এর ফলে তালেবান সরকারে তার কী ভূমিকা হতে পারে তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়। এমনকি তিনি বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়েও গুজব রটেছিল।

কান্দাহারের দারুল উলুম হিকমাহ্ মাদ্রাসায় শনিবার তিনি যে ভাষণ দিয়েছেন তার কোন ছবি বা ভিডিও পাওয়া না পাওয়া গেলেও ১০ মিনিটের ভাষণের একটি অিডও সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া যায়।

এই ভাষণে, তার মতে অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যারা ২০ বছর ধরে লড়াই করেছেন তাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।

২০১৬ সালে তালেবানের তৎকালীন প্রধান মুল্লাহ্ আখতার মনসুর যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর হায়বাতুল্লাহ্ আখুনজাদা শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হন। তার নির্বাচনটি আল কায়দা নেতা আইমান আল জোয়াহিরিরও সমর্থন দেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জাতিসংঘ তদন্ত কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি: প্রসঙ্গ খাশোগি হত্যাকান্ড


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১০:২৯
জাতিসংঘ তদন্ত কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি: প্রসঙ্গ খাশোগি হত্যাকান্ড

ফাইল ছবি

সৌদি আরবের খ্যাতিমান সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে নিযুক্ত জাতিসংঘের একজন তদন্তকারী নারী কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন সৌদি আরবের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। 

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনা তদন্তে নিযুক্ত বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা অ্যাগনেস ক্ল্যামার্দকে সৌদি কর্মকর্তা হত্যার হুমকি দেন। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর পরই তাকে এই ধরণের হুমকি প্রদান করা হয়। 

অ্যাগনেস ক্ল্যামার্দ হচ্ছেন ফ্রান্সের একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ। তিনি চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব পদে যোগ দিতে যাচ্ছেন। 

তিনি ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে জাতিসংঘের এক সহকর্মী তাকে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হত্যার হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেন। 

জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা বলেছিলেন, সৌদি আরবের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা দুইবার ক্ল্যামার্দকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। ওই সৌদি কর্মকর্তা আরও বলেন, “জাতিসংঘ যদি তার লাগাম টেনে না ধরে তাহলে তারাই তার বিষয়টি দেখবেন।” সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক