ভারত জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ ও ভেটো ক্ষমতা লাভের যে চেষ্টা করছে তার বিরোধিতা করেছে ওয়াশিংটন। কোনো মার্কিন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এই বিরোধিতার কথা জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক।
বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদি জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের এই আকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করলেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর বিরোধী।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে দুই বছরের জন্য ভারতের পর্যায়ক্রমিক অস্থায়ী সদস্যপদের মেয়াদ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে ভারত এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করলো।
এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই নিয়ে ভারত অষ্টমবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদের অধিকারী হলো। সূত্র: পার্সটুডে
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামলার বিষয়ে বলেছেন, এটি কেবল শুরু। আমরা তাদের এমনভাবে আঘাত করব, যা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি। নেতানিয়াহু বলেন, আমরা সামরিক অভিযানের মধ্যবর্তী অবস্থায় রয়েছি। হামাস ও ইসলামী জিহাদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অরাজকতা বন্ধ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ইসরায়েলের শহরগুলোতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঠেলে সাজানো হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও নির্মমভাবে ও নৃশংস উপায়ে সমস্ত বাহিনী দিয়ে এই অরাজকতা বন্ধ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, হামাস-ইসরায়েল লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলা চলছে। সোমবার (১০ মে) দিনগত রাত থেকে এ পর্যন্ত ১৪ শিশু ও এক নারীসহ ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে হামাস মুখপাত্র ফাওয়াজ বারহুম বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের নাগরিকদের ওপর জায়নবাদীদের আগ্রাসন বন্ধ না হবে, ততদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা, বিশেষ করে হামাস প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। দখলদার বাহিনী গাজা, জেরুজালেম ও আল-আকসাকে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
এর আগে জেরুসালেমের একটি এলাকায় ইসরায়েলি পুলিশ এবং ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের জেরে এই লড়াইয়ের সূত্রপাত।
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় হেফাজত নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবিরসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্তবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ আহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হেফাজতের কোন নেতাকর্মীকে আটক করতে পরেনি।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির, মোল্লাহাট থানান এসআই ঠাকুর দাস, এএসআই লিয়াকত হোসেন, এএসআই বাহারুল ইসলাম, ডিএসবি’র পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য সোহাগ মিয়া ও পুলিশ সদস্য নাজমুল ফকির। আহত পুলিশ সদস্যদের মোল্লাহাট উপহাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির বলেন, হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা মিছিল নিয়ে হাসপাতাল মোড়ে জড়ো হতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হেফাজত নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের মোল্লাহাট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, মোল্লাহাটে হেফাজত কর্মীরা জড়ো হয়ে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দিলে হেফাজত কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।