a
ফাইল ছবি
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড করা হয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে দেশটির তিন রাজ্যের প্রায় ৫০০ মাইল এলাকাজুড়ে এই বজ্রপাতটি হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, একটিমাত্র বজ্রপাত টেক্সাস, লুইজিয়ানা ও মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের ৪৭৭ দশমিক ২ মাইল এলাকায় হয়েছিল। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ বজ্রপাতের রেকর্ড এটি। আবার একই বছর উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার উত্তরাঞ্চলে ১৭ দশমিক ১ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল একটি বজ্রপাত।
অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির র্যান্ডাল সিরভানি জানান, সাধারণত বজ্রপাত ১০ মাইলের চেয়ে বেশি অঞ্চল ছড়িয়ে পড়ে না এবং এটি এক সেকেন্ডেরও কম সময় স্থায়ী হয়। এই দুটি বজ্রপাতের রেকর্ড একেবারেই ভিন্ন। উভয়টিই মেঘ থেকে মেঘ, মাটি থেকে কয়েক হাজার ফুট উপরে শেষ হয়েছিল, তাই কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। সূত্র: বিবিসি/বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারী সাবেক করসেবক মোহাম্মদ আমেরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার তেলেঙ্গানা প্রদেশের হায়দরাবাদ শহরে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
খবরে বলা হয়, হায়দরাবাদের পুরনো শহরে হাফিজ বাবা নগর মহল্লায় মোহাম্মদ আমেরের বাড়ি থেকে বাজে গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কাছাকাছি থাকা কাঞ্চনবাগ পুলিশ স্টেশন থেকে একটি দল এসে বাড়িতে ঢুকে তার লাশ উদ্ধার করে।
কাঞ্চনবাগ পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর জে ভেঙ্কট রেড্ডি বলেন, ‘মৃত্যুর কারণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। যদি আমরা তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহ করে কোনো অভিযোগ পাই, পুলিশ তখন ময়নাতদন্ত করবে এবং মামলা লিপিবদ্ধ করবে।’
পূর্বে বলবির সিং নামে পরিচিত মোহাম্মদ আমের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) কর্মী ছিলেন। আরএসএসের সক্রিয় কর্মী হিসেবে ১৯৯২ সালে তিনি বাবরি মসজিদের ধ্বংসে অংশ নিয়েছিলেন।
কিন্তু তার উদারপন্থী পরিবার তার কাজকে প্রত্যাখ্যান করলে তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করতে থাকেন। মানসিক শান্তির জন্য তিনি উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের মাওলানা কলিম সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করেন। পরে ১৯৯৩ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং বলবির সিং থেকে নিজের নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আমের রাখেন।
ইসলাম গ্রহণের পর থেকে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে নিজের অংশগ্রহণের বদলায় ১০০ মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন মোহাম্মদ আমের। এই লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে হরিয়ানায় ‘মসজিদে মদীনা’ নামে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি।
গত ২৭ বছরে মোট ৯১টি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মোহাম্মদ আমের। এছাড়া আরো ৫৯টি মসজিদ বর্তমানে নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে। সূত্র : সিয়াসত ডেইলি
ফাইল ছবি
খুব সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি, তখন আমরা সবাই দেখে থাকি যে সূর্যের রঙ হলুদ বর্ণের। ধীরে ধীরে যখন বেলা বাড়তে থাকলে সূর্যের রঙ পরিবর্তন হয়ে কমলা রং ধারণ করে। আর দিনের শেষসময়ে সূর্য হয়ে উঠে একদম টাটকা লাল।
সূর্যের এ রঙ বদলানো নিয়ে আমরা কি চিন্তা করেছি কখনো? কেন এমনটা হয়? সূর্য আসলে কোন রঙের- লাল, হলুদ নাকি কমলা, নাকি অন্য কোনো রঙের! আমরা জানি সূর্য একটা নক্ষত্র, আর সব নক্ষত্রেরই কোনো না কোনো রঙ আছে। রঙগুলো হলো রেড জায়ান্ট, রেড ডোয়ার্ফ, ব্লু জায়ান্ট, সুপার জায়ান্ট ইত্যাদি।
নক্ষত্রের রঙ কেমন হবে তা সাধারণত তার তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে থাকে। একটি নক্ষত্রের ভেতর থেকে ফোটন বের হয়ে তা মহাশূন্যে হারিয়ে যায়, ফলে ফোটন থেকে বের হওয়া শক্তির পরিমান আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। এসব কারণে দেখা যায় একটি নক্ষত্র ইনফ্রারেড, আল্ট্রাভায়োলেট, লাল অথবা নীল রঙের আলোকরশ্মির বিকিরণ ঘটাচ্ছে একই সময়ে। এমনকি সেখানে বিদ্যমান থাকতে পারে এক্স ও গামা রশ্মিও।
নক্ষত্রের রঙের বিভিন্ন পরিবর্তন এর জন্য বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে,একটি নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি হয় সাড়ে পঁয়ত্রিশ হাজার কেলভিনের কম হয় তবে তার রঙ হবে লাল। আবার কোনো নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি দশ হাজার কেলভিনের উপরে হয় তবে তা নীল রঙের হবে। সূর্যের তাপমাত্রার পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার কেলভিনের মতো। এ তাপমাত্রার নক্ষত্রগুলো সাধারণত হয়ে থাকে সাদা রঙের। সেক্ষেত্রে সূর্যের আসল রঙ হলো সাদা।
কি অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, সূর্যের রং আসলেই সাদা রঙের। আসলে মহাশূন্যে গিয়ে যদি আমরা সূর্যকে স্বচক্ষে দেখে আসতে সক্ষম হতাম, তবে ১০০ ভাগ নিশ্চিত হোমার যে সূর্যের রঙ আসলে একেবারে সাদা। সূর্য ও সূর্যলোকের রঙ সাদা। তাহলে প্রশ্ন হলো সূর্যকে বিভিন্ন সময় লাল, হলুদ বা কমলারঙে দেখি কেনো? এর পিছনে বিশেষ কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে সূর্যরশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটে। ছোট ছোট তরঙ্গদৈর্ঘের নীল ও বেগুনি আলোকরশ্মি অপসারিত হয়ে যায়। সূর্য থেকে আসা আলোক বর্ণালির এ দুটো রঙ সরে গেলে তা অনেকটা হলুদের মতো হয়ে যায়। সূর্যকে আমরা তখন হলুদ দেখি। অন্যান্য রঙের বেলায়ও এ ঘটনা ঘটে।
এভাবে সূর্যের আলো যখন বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে পৃথিবীতে আসে তখন তার রঙ বদলে হলুদ, কমলা বা ম্যাজেন্টা রঙ ধারণ করে। তবে আরেকটি প্রশ্ন হলো সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যের রঙ লাল হয়ে যায় কেন? সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় ভাসমান ধূলিকণা ও বাতাসের অন্যান্য উপাদান সূর্যরশ্মির নীল প্রান্তের কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে বেশি বিক্ষিপ্ত করে ও লাল প্রান্তের বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে কম বিক্ষিপ্ত করে। ফলে সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করে থাকে।