চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদের জন্য সমর্থন প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার বাকি জীবন ক্ষমতায় থাকার পথে থাকার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলেন।
চীনা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের প্রায় তিন হাজার সদস্য সর্বসম্মতভাবে শিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত করেছে। সংবিধানে পাঁচ বছর করে দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকার বিধানটি প্রত্যাহার করার প্রেক্ষাপটে এবারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না বলে জানা গেছে। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নিযুক্ত এনপিসির ২,৯৫২ জন সদস্য ঘণ্টাখানেকের মধ্যে শিকে ভোট দেন। কেউ তার বিরুদ্ধে ভোট দেননি। শি এছাড়াও দেশের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেই তৃতীয় মেয়াদে সমর্থন লাভ করেন।
৬৯ বছর বয়স্ক শি ২০১২ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। মাও সেতুংয়ের পর তিনিই চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি যে কোনো সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জারকে সরিয়ে দিয়ে তার সমর্থদকের দিয়ে দল ভারী করেন বলে বলা হয়ে থাকে।
তিনি অক্টোবরে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমর্থন আদায় করেন।
এনপিসি নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে হ্যান ঝেং এবং নতুন পার্লামেন্ট চেয়ার হিসেবে ঝাও লেইজিকে নির্বাচিত করা হয়েছে। উভয়েই শির আনুকূল্যপ্রাপ্ত হিসেবে পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ছিলেন। সূত্র : আল জাজিরা
জার্মানির হামবুর্গে বন্দুকধারীর গুলিতে ৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। খবর বিবিসির।
গ্রোস বোর্স্টেল জেলার ডিলবোজ রাস্তার একটি গির্জায় গুলি চালানো হয়েছে বলে জানায় হামবুর্গ পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহতদের সেবার জন্য ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে এবং জার্মান পুলিশ হামলাকারীদের খোঁজ করছে। পুলিশ সন্দেহজনকভাবে একজনকে আটক করলেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
টুইটারে এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে গুজব না ছড়ানোর জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানায় পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, শহরের উত্তর অ্যালস্টারডর্ফ এলাকায় একটি বড় আকারের অভিযান চলছে। সূত্র: বিডিপ্রতিদিন
অনলাইন গেম ফ্রি ফায়ার ও পাবজি তরুন সমাজ বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এসব গেম বিপজ্জনক হয়ে যাচ্ছে দিন দিন তাই অনলাইন এই গেম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফ্রি ফায়ার পাবজির মতো তরুন সমাজকে বিপদগামী করা টিকটক, ভিগো লাইভ ও লাইকির মতো সব ধরনের অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গত ২৪ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে গেম এবং অ্যাপগুলোর ক্ষতিকারক দিক তুলে জনস্বার্থে একটি রিটটি করেন সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাউছার। গত ১ জুলাই এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আদেশের জন্য কঠোর লকডাউনের পর পরবর্তী শুনানি হয় গত সোমবার সেখানে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে ফ্রি ফায়ার ও পাবজির আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এটি বন্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে সুপারিশ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারও আগে পাবজি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলেও পরে আবার চালু করা হয়েছিল।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ওই সময় জানিয়েছিল, ওই দুটি গেম কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধ করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। তাই ধীরে সুস্থে বিকল্প পদ্ধতিতে গেম দুটি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বন্ধ করলেও তরুণরা ভিপিএন দিয়ে গেমটি খেলবে এমন প্রশ্নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিলেন, যারা এ ধরনের গেমে আসক্ত তারা ভিপিএনসহ নানা বিকল্প উপায়ে গেমটি খেলতে পারে। আমরা সেসবও বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করব। সম্প্রতি নেপালে পাবজি নিষিদ্ধ করে দেশটির আদালত। একই কারণে ভারতের গুজরাটেও এ গেম খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি গেমটি খেলার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার গেম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ব্লু হোয়েলের অনলাইন ভিডিও ২০১৭ সালে চালু হয়। এরপর থেকে এই গেমটি দ্রুত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালে অ্যাঙ্গরি বার্ড, টেম্পল রান, ক্যান্ডি ক্রাশের মতো গেমগুলোকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন গেমের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নেয় পাবজি। অন্যদিকে চায়না প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে তৈরি করা যুদ্ধ গেম ফ্রি ফায়ার একইভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে করোনা মহামারির ফলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা এসব গেমে আসক্ত হচ্ছে।