পর্নো তারকাকে অর্থ প্রদানের জন্য নিউইয়র্কের তদন্তে অভিযুক্ত হলে ‘সম্ভাব্য মৃত্যু এবং ধ্বংসযজ্ঞ’ সম্পর্কে হুশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের একটি আদালত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে দেওয়া অর্থের মামলায় ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প শুক্রবার এ মন্তব্য করেন। খবর আল জাজিরার।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, পর্নো তারকা স্টার্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে অবৈধ অর্থ লেনদেনের মামলায় যদি তাকে অভিযুক্ত ও আটক করা হয় তাহলে তা মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনবে।
ট্রাম্প বলেন, যখন সবাই জানে যে, কোনো অপরাধ হয়নি, তখন আমেরিকার একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে অপরাধের দায়ে কোন ধরনের ব্যক্তি অভিযুক্ত করতে পারেন?
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন।
ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগকে লক্ষ্য করে দৃশ্যত ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব কথাবার্তা বলেছেন। যদিও ট্রাম্প তার পোস্টে সরাসরি কারো নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেছেন, মিথ্যা অভিযোগ গঠন করলে তা আমাদের দেশে হত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনবে।
গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শিগগিরি গ্রেফতার হবেন বলে আশঙ্কা করছেন। নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস তাকে গ্রেফতার করতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন তার মুখ বন্ধ করার জন্য। এই বিষয়টি পরে প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং নির্বাচনের আগে এভাবে ঘুস দিয়ে অপরাধী তার বিরুদ্ধে তদন্ত এবং সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। সূত্র: যুগান্তর
এ যেন এক হরর কাহিনী বাস্তবে ধরা দিল মানুষের সামনে। গতকাল সোমবার ভারতের বিহার রাজ্যে গঙ্গা নদীতে আকস্মিকভাবে ভেসে উঠেছে ৪০টির বেশি লাশ,কিন্তু স্থানীয়দের দাবি এ সংখ্যা ১৫০ থেকেও বেশি। এই লাশগুলো করোনাভাইরাস আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল ১০মে সোমবার এই খবর প্রকাশ করে এনডিটিভি বলছে, করোনাভাইরাস ভারতে কী প্রভাব ফেলেছে, তারই যেন প্রকাশ ঘটল নদীতে লাশের এই বহরে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বিহার রাজ্যের বক্সারে গতকাল সোমবার সকালে গঙ্গা নদীতে লাশগুলো পাওয়া গেছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্থানীয় ব্যক্তিরা নদীতে এসব লাশ দেখতে পান। লাশগুলো পচেগলে ফুলে গেছে। সেখানে তখন ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা, লাশগুলো উত্তর প্রদেশ থেকে নদীর স্রোতে ভেসে এসেছে। মৃত লাশগুলো করোনা রোগীদের মরদেহ দাহ বা দাফনের জন্য জায়গা না পেয়ে সেগুলো নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে থাকতে পারেন স্বজনেরা।
বিহারের চৌসা জেলা কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন, ‘৪০ থেকে ৪৫টি লাশ ভাসতে দেখা গেছে।’ চৌসার মহাদেবা ঘাট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। সেখানে দাঁড়িয়েই কথা বলছিলেন অশোক কুমার। তিনি বলেন, লাশগুলো নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।কারও কারও মতে, লাশের সংখ্যা ১৫০–এর কাছাকাছি। স্থানীয় প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা কে কে উপাধ্যায় বলেন, ‘লাশগুলো ফুলে গেছে। লাশের অবস্থা দেখে বুঝা যাচ্ছে সম্ভবত পাঁচ থেকে সাত দিন ধরে সেগুলো পানিতে নিমজ্জমান ছিল এখন ফুলে যাওয়াতে ভেসে উঠছে। প্রশাসন লাশগুলোকে সৎকারের ব্যবস্থা উদ্যোগ নিচ্ছে।
এক ব্যক্তি একই নারীকে পর পর তিনবার ডিভোর্স দেন এবং চারবার বিয়ে করেন। পুরো ব্যাপারটি ঘটে ৩৭ দিনের মধ্যে। জানা যায়, ওই ব্যাংকার ব্যক্তি একটু দীর্ঘ ছুটি চেয়েছিলেন। অফিস ছুটি দিতে অস্বীকার করে। তখনই তিনি বিয়ের সংখ্যা বাড়ানোর কৌশল আটেন। কারণ বিয়ে করলে ছুটি দিতে বাধ্য প্রতিষ্ঠানটি।
পেশায় ব্যাংককর্মী এই ব্যক্তি বিয়ের জন্য সবেতন ছুটির আবেদন করেন। ছুটি মঞ্জুর হয় ৮ দিন, এরপর বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু ৮ দিনের মাথায় তিনি বউকে ডিভোর্স দিয়ে বসেন আবারও বিয়ের দিন ধার্য করে ব্যাংকে আবার ছুটির আবেদন করেন। আবার ছুটি মঞ্জুর হয় এবং তিনি ৭ দিনের সাবেক বউকেই বিয়ে করেন এবং পরের ছুটির শেষ হওয়ার আগেই তিনি একই কাজ করেন। এরকম তিনবার একই ঘটনা ঘটার পরে পরের বার ওই কর্মী আবার বিয়ের ছুটির আবেদন করলে ব্যাংক তাকে সেই ছুটি দিতে অস্বীকার করে। শুধু তাই নয়, ওই কর্মীকে তারা সবেতন ছুটি শুধু তার প্রথম বিয়ের জন্য দেবে বলে জানায়।
এরপর ওই ব্যক্তি অফিসের এই সিদ্ধান্তে ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সব শুনে বিয়ের ছুটি না দেওয়ার অপরাধে সেই ব্যাংকেই জরিমানা করা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন, ওই ব্যক্তি অন্যায্য কাজ করেছেন। কিন্তু সেটা জেনেও আদালত জানিয়ে দেন, লোকটির আচরণ অযৌক্তিক, কিন্তু শ্রম আইনে এমন কোনও অনুচ্ছেদ নেই যাতে বলা রয়েছে, ছুটির জন্য কোনও ব্যক্তি একই নারীকে একাধিকবার বিয়ে করতে পারবে না।