a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের নাম বদলে দিচ্ছে তালেবান। দেশটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে ‘ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তান’। শিগগিরই দখল করে নেওয়া কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে এই ঘোষণা দেবেন তালেবান নেতারা।
এদিকে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তালেবানকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
রাজধানী কাবুল ‘পতনের’ মুখে তিনি পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নেন। এতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন আশরাফ গনি। অবশ্য, তিনি দাবি করেছেন, রক্তবন্যা এড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে গনি লেখেন, ‘রক্তবন্যা এড়ানোর জন্য দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই ভালো বলে মনে হয়েছিল।’
এদিকে, আফগান রাষ্ট্রপতি দেশ ছেড়ে পালানোর পরই কাবুলে ঢুকে পড়ে তালেবান। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির দুই শীর্ষ কমান্ডার দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের দখল নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী, মধ্যরাতের কাছাকাছি যে আল-জাজিরা নিউজ নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে যে ফুটেজ দেখানো হয়েছে, তাতে দেখা গেছে যে কাবুলে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে ভিড় করে আছে অসংখ্য তালেবান নেতা।
একটি সংবাদসংস্থা তালেবানদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, শিগগিরেই রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ থেকে ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’-এর ঘোষণা করা হবে।
ফাইল ছবি
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সংকট মেটাতে মার্কিন কৌশলগত জরুরি তেলের রিজার্ভ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। রিয়াদ বলেছে, তেলের বাজারে ‘কারসাজি করতে’ এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে জরুরি রিজার্ভ হারালে অদূর ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হতে পারে বলেও আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি তেলমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান মঙ্গলবার রিয়াদে বলেন, “লোকজন বাজারে কারসাজি করার উদ্দেশ্যে তাদের জরুরি রিজার্ভ কমিয়ে ফেলছে। অথচ এই রিজার্ভ গড়ে তোলা হয়েছিল কখনও বাজারে ঘাটতি তৈরি হলে তা পূরণ করার জন্য।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জরুরি স্টক কমিয়ে ফেললে আগামী মাসগুলোতে দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে। সৌদি মন্ত্রী সরাসরি আমেরিকার নাম উচ্চারণ না করলেও তার বক্তব্যে যে মার্কিন তেলের রিজার্ভ ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তা স্পষ্ট।
গত সপ্তাহে আমেরিকার কৌশলগত রিজার্ভ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ব্যারেল তেল ছাড়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তার কয়েক দিন আগে ওপেকপ্লাস তেলের উৎপাদন দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর কথা ঘোষণা করার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বাইডেন।
ওপেকপ্লাসের সিদ্ধান্তে সৌদি আরব ও রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারনে বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন তেলের খনি থেকে দেশটির সরকারি-বেসরকারি কোনও সংস্থারই তেল উত্তোলনের অনুমতি নেই। এ সম্পর্কে দেশটিতে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। সেই আইনে আমেরিকার বিভিন্ন খনিতে মজুত তেলকে ‘কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশের কোনও খনি থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন করা যাবে না।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর বিশ্বে জ্বালানি তেলের অন্যতম যোগানদাতা দেশ রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। এরপরই বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকে। এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে গত মে মাসে ‘কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ’ থেকে ১৮ কোটি ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সূত্র: রয়টার্স, বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ফটো: বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাঁচ থেকে ছয় লাখ নারী অসম্মানিত, লাঞ্ছিত, ধর্ষিত, বিধবা বা নানাভাবে হয়রানি ও অপমানের শিকার হয়েছেন।
আর এসব লাঞ্ছণাকারী রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের ১৯৭৫ সালের পর এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানো হয়েছে, তাদের গাড়িতে পতাকা ওড়ানো হয়েছে। তারা ক্ষমতায় বসে দেশকে জঙ্গিবাদে পরিণত করেছে। নারীর অবমাননাকারীরা পূনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে এলে দেশে আবারও জঙ্গিবাদ ফিরে আসবে।
সোমবার ( ৮ মার্চ ) জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, প্রেস ক্লাবের প্রবীণ নারী সদস্য মাহমুদা চৌধুরী এবং নারী নেত্রী কাজী সুফিয়া আখতার।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, ধর্ষক বিচারের রায়ে শাস্তি পায়। আর যে নারী ধর্ষণের শিকার হন তার জন্য প্রতিদিনই মৃত্যুদণ্ড। সারাটা জীবন তাকে অস্পৃশ্য ভাবা হয়। এটা পুরোপুরি মানসিকতার ব্যাপার। আমরা ভাষা দিয়ে কীভাবে একজন নারীকে দাবিয়ে রাখি। যখন কেউ ধর্ষণের শিকার হয় আমরা বলি সম্ভ্রমহানি হয়েছে। আমাকে কুকুর কামড় দিলে তো সম্ভ্রমহানি হয় না। একটা পুরুষ ধর্ষণ করলে একটা নারীর কীভাবে সম্ভ্রমহানি হয়? সম্ভ্রমহানি তো সেই পুরুষের হওয়ার কথা। আমরা কেন ধর্ষককে সম্ভ্রমহারা পুরুষ বলি না?’
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বীরাঙ্গনাদের অনেকেই অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়। তাই সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি পাঠ্যসূচিতে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি নারী মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি নির্মাণের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।