আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজ) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু আইসিজের নির্দেশনা অমান্য করে ইসরায়েল রাফায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। এরকম নির্দেশনা অমান্য করলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাও করেছেন ইউরোপের ২৭ দেশের জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এক সাময়িক আদেশে রাফায় ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত বলেছে, ইসরায়েল সেখানে হামলা করলে আশ্রয়রত বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের ঝুঁকি তৈরি হবে। আইসিজের এই রায়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েই তাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রাসেলসে ইইউ-এর পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মার্টিন বলেন, প্রথমবারের মতো ইইউ-এর বৈঠকে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে দেখেছি। সূত্র: ইত্তেফাক
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারি আগামী নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচরনের আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে দেশটির সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। এ নিয়ে নেপালে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট শুরু হলো। খবর রয়টার্সের।
গত বছর ২০ ডিসেম্বর দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি হঠাৎ করে দেশটির নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরের বরাত দিয়ে বলা হয়, দেশটির নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পর দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। আদালত ঘোষণা দেয় এ সিদ্ধান্ত সম্পুর্ণ অসাংবিধানিক।
এরপর প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি গতকাল শুক্রবার রাত ২টার দিকে হঠাৎ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি কিংবা বিরোধী নেতা শের বাহাদুর দেউবা—কেউই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত তাদেরকে সময় দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ১২ নভেম্বর হবে প্রথম ধাপের নির্বাচন এবং দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৯ নভেম্বর। প্রেসিডেন্টের গৃহিত এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে রাজনৈতিক দল কিংবা কোনো নেতা কেউ কোন মন্তব্য করেনি।
বিদ্বেষমূলক প্রচারণা এবং হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করেছে। বারবার অভিযোগ, অনুনয়, বিনয় জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তাই এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি নতুন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম চালু করবেন। বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আর সেই সোশ্যাল মিডিয়ার নাম হবে 'ট্রুথ সোশ্যাল'।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, নতুন এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি সামনের মাসেই চালু করবেন ট্রাম্প। জানা গেছে, এ বছরের নভেম্বর মাসে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য একটি বিটা সংস্করণ পাওয়া যাবে। ২০২২ সালের শুরুর দিকে এটি যুক্তরাষ্ট্রে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন এই প্ল্যাটফর্মটির মালিকানা হবে ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপের (টিএমটিজি)। তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সাবস্ক্রিপশন ভিডিও অন-ডিমান্ড সার্ভিস চালু করতে চায়। তাতে "নন-ওক" বিনোদন প্রোগ্রাম থাকবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটার ও ফেসবুকে নিষিদ্ধ আছেন। এ বছরের ৬ জানুয়ারি তার সমর্থকরা মার্কিন ক্যাপিটাল ভবনে হামলা চালানোর ঘটনায় তাকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক-টুইটার।
ট্রাম্প বলেছেন, আমি বিগ টেকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে 'ট্রুথ সোশ্যাল' এবং টিএমটিজি তৈরি করেছি। টিএমটিজি বলছে, আমাদের লক্ষ হলো- উদার মিডিয়া কনসোর্টিয়ামের প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি করা এবং সিলিকন ভ্যালির বিগ টেক কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করা।
ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, নতুন সোশ্যাল মিডিয়া হবে নিরপেক্ষ। এখানে সবাই নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে।