বিচারক ইব্রাহিম রাইসি ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (২০ জুন) দখলদার দেশটি বলছে, রাইসির অধীন ইরানে একটি নৃশংস জল্লাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কাজেই বিশ্বশক্তিগুলোর উচিত হবে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনায় যোগ বিশ্বকে না দেওয়া। খবর আল জাজিরা'র।
তিনি জানান, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে রাইসির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।শুক্রবারের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। রাইসিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সচেতন হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন ইরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
এদিকে ইরান সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাইসি। রাইসি বলেন, তিনি পুরো জাতির নেতা হবেন। আগামী অগাস্টে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পোল্যান্ড ইউক্রেনকে আর কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাভিয়েস্কি।
শস্য আমদানি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার পর এই ঘোষণা দিল পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসন মোকাবিলায় কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো। এমনকি প্রতিবেশী পোল্যান্ডও ছিল ইউক্রেনকে অস্ত্র সরকরাহকারীর অন্যতম দেশ।
তবে ইউক্রেনের কট্টর মিত্র বলে পরিচিত এই দেশটি এখন থেকে আর কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ না করার ঘোষণা দিয়েছে। মূলত ইউক্রেনীয় শস্য আমদানি করা বা না করা নিয়ে বিতর্কের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- কিয়েভকে অস্ত্র দেওয়ার পরিবর্তে আরও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করার দিকে মনোনিবেশ করবে তার দেশ।
এর আগে জাতিসংঘে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির করা মন্তব্যের জন্য গত মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল পোল্যান্ড।
কিয়েভ থেকে খাদ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রতিবেশী তিনটি দেশের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে মামলা দায়ের করে ইউক্রেন। ওই তিনটি দেশ হচ্ছে- স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরি।
রুশ আগ্রসনের শিকার কিয়েভের অভিযোগ, ইউক্রেনের ইইউ প্রতিবেশীদের এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন। অন্যদিকে আমদানি বন্ধ রাখা এসব দেশ বলছে, সস্তায় শস্য আমদানির প্রভাব থেকে নিজেদের কৃষকদের রক্ষা করতে এই নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন ছিল।
মূলত গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে কৃষ্ণসাগরে জাহাজ চলাচলের প্রধান লেন বন্ধ হয়ে যায় এবং এর জেরে স্থলপথে বিকল্প রুট খুঁজতে বাধ্য হয় ইউক্রেন। এর ফলে মধ্য ইউরোপে প্রচুর পরিমাণে শস্য ঢুকতে থাকে।
আর এর জেরে সেসব দেশের কৃষকরা তখন থেকেই প্রতিবাদ-সমাবেশ করে আসছেন। তাদের অভিযোগ, ইউক্রেনীয় শস্যের চালান তাদের ক্ষতি করছে এবং স্থানীয় বাজারকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে।
আর সেই চাপের ফলে ২৭-সদস্যের ইইউ ব্লক চলতি বছরের শুরুতে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও সেই সাথে বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়াতে ইউক্রেনের শস্য আমদানির ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
সময়সীমার শেষ হওয়ার দিনে ইইউয়ের নির্বাহী সংস্থা হিসেবে ইউরোপীয় কমিশন এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বুদাপেস্ট, ওয়ারশো এবং ব্রাতিস্লাভার সরকার ইউরোপীয় কমিশনের এই পদক্ষেপ মানতে অস্বীকার করে এবং শস্য আমদানির বিষয়ে তাদের নিজস্ব বিধিনিষেধ ঘোষণা করে।
কারণ এসব দেশের আশঙ্কা, ইউক্রেনীয় শস্য তাদের দেশের কৃষকদের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শস্যের দাম কমিয়ে দিচ্ছে। যদিও ইউরোপীয় কমিশন বারবার বলেছে, ব্লকের মেনে চলা বাণিজ্য নীতির বাইরে ইইউ সদস্যরা পৃথকভাবে কোনও পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন, ডয়েচে ভেলে।
এই ফেসবুক পাতায় বিজ্ঞাপন দিলে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাতে পারতাম। যে সময় নিয়ে বই লিখি তা দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দিলে বা কন্সালটেন্সি করলে কমপক্ষে ১০ গুণ টাকা উপার্জন করতে পারতাম।
কাজেই গল্প-উপন্যাস টাকার জন্য লিখি এটা ভাবার কোন কারণ নেই। লিখি আপনাদের পড়ার জন্য। নিজের সৃষ্টি কে না শেয়ার করতে চায়! আর সেটা করছি নিজেরই পাতায়।
এতে গা জ্বলে কেন কিছু মানুষের?
(ফেসবুক পাতা থেকে)