ইহুদি বিরোধী পোস্ট শেয়ার করার অপরাধে গুগলের ‘বৈচিত্র্য বিভাগের’ প্রধানকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
কামাউ বব নামের ব্যক্তির ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ইহুদিদের ‘যুদ্ধ এবং হত্যার’ ক্ষুধা রয়েছে। ২০০৭ সালে ব্লগে শেয়ার করা এই মন্তব্যটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতাকে কেন্দ্র করে বিগত সপ্তাহে আবারও সামনে চলে আসে, যা ইতিমধ্যে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গুগলের এক মুখপাত্র বলেন, আগামী দিনগুলোতে কামাউ বব আমাদের বৈচিত্র্য বিভাগের সঙ্গে আর থাকছেন না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বৈচিত্র্য বিভাগের এক সদস্যের লেখা এমন পোস্টের তীব্র নিন্দা জানাই। যা ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষদের মনে ব্যাথার সৃষ্টি করেছে।
গুগলের এই কর্মকর্তা বলেন, লেখাটি সন্দেহাতীতভাবে বেদনাদায়ক। ইতিমধ্যে বব নিজ অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়, সে আমাদের বৈচিত্র্য বিভাগের সঙ্গে আর থাকছেন না।
সমাজে ইহুদি বিরোধীদের কোনো জায়গা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি এমন সময়ে প্রচার করা হয়েছে, যখন চারদিকে ইহুদিবিরোধী বিদ্বেষ ও হামলা ক্রমশ বাড়ছে। আমরা ইহুদি সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াচ্ছি এবং এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
ইসরায়েলের ১১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ইহুদিদের সংগঠন জিউশ অ্যাজেন্সির চেয়ারম্যান আইজ্যাক হারজগ। ইসরায়েলের আইনসভা নেসেটে এক গোপন ভোটাভুটিতে আইজ্যাক ৮৭ ভোট পান এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী শিক্ষাবিদ মিরিয়াম পেরেজ পান ২৭ ভোট। পেরেজ জয়ী হতে পারলে তিনি হতেন ইসরায়েলের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটের হিসাব অনুযায়ী আইজ্যাক হারজগ সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেলেন।
নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আইজ্যাকের বাবা চেইম হারজগ ছিলেন ইসরায়েলের ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। আইজ্যাক হারজগ ৯ জুলাই বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
নিজের দেশে তালেবান সৈন্যদের হাতে ইতোমধ্যে চলে গেছে। আফগানিস্তানের তারকা ক্রিকেটার নিজের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। এই কঠিন সময়ে দফায় দফায় রশিদের টুইটে স্পষ্ট তার দুর্ভাবনার কথা। আজ রবিবার (১৫ আগস্ট) এক টুইট বার্তায় রশিদ লিখেছেন, ‘শান্তি।’ সেই টুইটে তিনি যে ইমুজি ব্যবহার করেছেন, তা বোঝাচ্ছে আফগানিস্তানের শান্তির জন্য প্রার্থনার আহ্বান।
এর পূর্বে গত ১০ আগস্ট জোড়া টুইট করে বিশ্ব নেতাদেত দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন ক্রিকেটার রশিদ খান। আফগানিস্তানে চলমান পরিস্থিতিকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসে নিজের নামে গড়া রশিদ খান ফাউন্ডেশনে অনুদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিনই আরেক টুইটে তিনি বিশ্বনেতাদের আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানান। রশিদ লিখেন, ‘প্রিয় বিশ্ব নেতারা, আমার দেশে যুদ্ধ চলছে। নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার নিরীহ মানুষ প্রতিদিন শহীদ হচ্ছেন। বাড়িঘর সব ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। হাজারো পরিবার হয়ে পড়েছে গৃহহীন। আমাদের মারবেন না, ধ্বংস করবেন না। আমরা শান্তি চাই।’
রশিদ খানের এ টুইট বার্তায় অনেকেই দ্বিমত পোষণ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতেছেন যখন আফগানিস্তান আমেরিকা সেনাদের দ্বারা বিপর্যস্ত হচ্ছিলো তখন তার ভিতর এই প্রেম কই ছিলো? এখন দেশে শতভাগ ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে তালেবানরা যা তার কাছে যুদ্ধ মনে হয়েছে!