পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিতে প্রেসিডেন্টকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্ডেকে আটক করে রাখা হয়েছে। এমনকি সরকার ও সংবিধান বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স।
গতকাল রবিবার সারা দিনই গিনির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে প্রেসিডেন্টকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের দাবি করে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্ডেকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। বিধ্বস্ত অবস্থায় থাকা প্রেসিডেন্টের পাশেই বসে আছে সেনাসদস্য।
এদিকে, ক্ষমতা গ্রহণের পর সেনাবাহিনী জানায়, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতেই প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংবিধান বিলুপ্তির পাশাপাশি সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। তাদের ভাষ্য, সরকারের ভয়াবহ দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও দারিদ্র্যের কারণে আমাদের ক্ষমতা গ্রহণ করতে হয়েছে। দেশের নাগরিকের ভবিষ্যৎ উন্নত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা দেশের দারিদ্র্যতা নিরসনে কাজ করব। আগের সংবিধান বাতিল করে নতুন করে সংবিধান লেখব আমরা।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের কাছে একটি রাস্তায় চারটি রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়া লুহানস্ক অঞ্চলের শাচিসতিয়া শহরের কাছে ৫০ রুশ সৈন্যকে তারা হত্যা করেছে। সেই সঙ্গে ষষ্ঠ রাশিয়ান বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। খবর রয়টার্স।
রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের শাচিসতিয়া শহরে হামলা করেছিল। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান টুইটারে বলেছেন, ‘শাচিসতিয়া নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দখলদার ৫০ রাশিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছেন। ক্রামাটোরস্ক জেলায় রাশিয়ার আরও একটি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। এ নিয়ে রাশিয়ার ছয়টি বিমান ভূপাতিত হলো।’
এর আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী–নিয়ন্ত্রিত এলাকার কাছে রাশিয়ার পাঁচটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি করেছিলেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল সেরহিই শাপটাললা।
এদিকে রাশিয়ার দাবি, তারা ইউক্রেনের কয়েকটি বিমানঘাঁটি অচল এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোনো হরতাল করতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের বিষয় খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত আটটায় পুরনো পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে আগামীকাল শনিবার (২৭ মার্চ) বিক্ষোভ ও রোববার (২৮ মার্চ) হরতালের ঘোষণা দেয়। হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এ ঘোষণা দেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতা-কর্মী ও প্রতিবাদী মুসল্লিদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে মূলত এই বিক্ষোভ ও হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়।