আরব সাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌযানের নয় ভারতীয় নাবিকের জীবন বাঁচালো পাকিস্তানের নৌবাহিনী।
পাকিস্তান নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডুবে যাওয়া নৌযানটির নাম ‘জামনা সাগর’। তাতে মোট ১০ জন কর্মী ছিলেন। এটি থেকে তারা ‘ডিসট্রেস’ কল দেন। সেই কল শোনার পর পাকিস্তান মেরিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার পাশে থাকা একটি জাহাজকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে বলে। তারাই ডুবে যাওয়া ওই নৌযানের নয়জন ভারতীয় কর্মীকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। তবে পাকিস্তান নৌবাহিনী বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের ওই জাহাজটি দুবাই যাচ্ছিল। তারা ভারতীয় কর্মীদের উদ্ধার করে আবার দুবাই যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে তারা ভারতীয় কর্মীদের নামিয়ে দিয়ে যাবে।
এরপর পাকিস্তানের নৌবাহিনীর জাহাজ ও দু’টি হেলিকপ্টার সেখানে গিয়ে পৌঁছায়। কারণ, তখনও একজন কর্মীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা সেই কর্মীর মৃতদেহ সমুদ্রে ভাসতে দেখে। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে মরদেহটি পাকিস্তান মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সিকে দিয়েছে। সূত্র: ডেইলি টাইমস, বিডি প্রতিদিন
যে কোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে দেশটি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন এই নির্দেশনা জারি করে। খবর- রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ‘রাশিয়ার হামলার ক্রমবর্ধমান হুমকি এবং করোনা মহামারির কারণে ইউক্রেনে এখন কেউ ভ্রমণ করবেন না। আর যারা এখন ইউক্রেনে অবস্থান করছেন তাদের অবিলম্বে বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিগত উপায়ে ইউক্রেন ত্যাগ করা উচিত।’
তিনি বলেন, যেকোনো সময় সতর্কতা ছাড়াই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। সেই সময় ইউক্রেন ত্যাগে মার্কিন নাগরিকদের সহায়তা সহ কনস্যুলার পরিষেবা প্রদান করা মার্কিন দূতাবাসের জন্য কঠিন হতে পারে।
এর আগে জানুয়ারিতে ইউক্রেনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে নিযুক্ত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের দেশটি ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইউক্রেনে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদেরও সেসময় দেশটি ছাড়ার কথা বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছিল ওয়াশিংটন।
সেসময় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে বলে তাদের নিকট তথ্য রয়েছে। ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ‘অনিশ্চিত এবং পূর্বানুমানযোগ্য নয়। আর এ কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতি যে কোনো সময় খারাপ হতে পারে’। সূত্র: যুগান্তর
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে খুতবা পাঠ পৌঁছে দিতে সৌদি আরব সরকার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এবার আরাফার বিস্তৃত প্রাঙ্গণে হাজিদের উদ্দেশ্যে হজের যে খুতবা পাঠ করা হবে সেখানে বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে।
সেখানে দু’টি প্লাটফর্মে সেটি সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন সৌদির পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা বিভাগের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস।
যে সকল ভাষায় সম্প্রচারিত হবে সেগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, ফ্রেন্স, তুর্কি, মালাইউ, চায়নিজ, উর্দু, ফার্সি, রাশিয়ান ও হাউসা। শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস, ইসলামের সুমহান বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম কর্তৃক গৃহীত হারামাইন শরীফাইন ও আরাফা'র খুতবার তাৎক্ষণিক অনুবাদ প্রকল্পের অংশ হিসেবে, মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী পরিচালনা পরিষদ (আর রিয়াসা আল আম্মা) জানিয়েছে, উক্ত খুতবা বিশ্বের এই দশটি ভাষায় সরাসরি (লাইভ) সম্প্রচার করা হবে।
চলতি বছরে আরাফার দিনের খুতবা দেবেন মক্কার মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শেখ ড. বন্দর বিন আবদুল আজিজ বালিলা। রাজকীয় এক ডিক্রির মাধ্যমে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান এই নির্দেশ জারি করেন।
গ্র্যান্ড মসজিদের ইমামের দায়িত্ব ছাড়াও শেখ বন্দর কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সেরও সদস্য। আরাফার দিনে খুতবার দায়িত্ব দেয়ার পর সৌদি বাদশাহ সালমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শেখ বন্দর বালিলা।
করোনাকালে দ্বিতীয় বারের মতো সীমিত সংখ্যক হাজিদের অংশগ্রহণে হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে সৌদির বিভিন্ন স্থান থেকে হাজিরা মক্কার মসজিদুল হারামে এসে তাওয়াফ শুরু করেছেন। এবারের জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফার দিন অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ। সূত্র: দ্যানিউজগ্লোরি।