চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানায়, আফগানিস্তান থেকে ৯০ শতাংশেরও বেশি মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাইডেন সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।
আজ বুধবার এক সাক্ষাৎকারে তালেবান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি দাবি করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের কারণে কট্টরপন্থী তালেবান গোষ্ঠীর হত্যাকাণ্ডের মুখে পড়তে হবে আফগানিস্তানের নিরীহ মানুষদের।
ডয়চে ভেলেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে বুশ আরও বলেন, আফগানিস্তানের নারী ও শিশুরা অবর্ণনীয় কষ্টের মুখে পড়তে যাচ্ছে। সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভুল। নীরিহ আফগানিদের কট্টরপন্থী তালেবান গোষ্ঠীর শিকার হওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়া হলো। এ সিদ্ধান্ত আমার মন ভেঙে যাচ্ছে। সূত্র: এনডিটিভি ও ডয়চে ভেলে।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট এশিয়ার দেশ জাপানের হিরোশিমা শহরে প্রথম পরমাণু বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় হিরোশিমা শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়। এতে নিহত হয় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। এর তিনদিন পর জাপানের নাগাসাকি শহরে দ্বিতীয় পরমাণু বোমা হামলা চালায় আমেরিকা। দ্বিতীয় বোমা হামলায় আরও ৭০ হাজার মানুষ জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
হিরোশিমা শহরের পরমাণু বোমায় ১৫ হাজার এনটিএন ছিল। ওই বোমা বিস্ফোরণের সময় ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল ৪ হাজার ডিগ্রি। ওই দুই শহরে বোমা হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া জাপানিরা বেশিরভাগই থাইরয়েড, ফুসফুস ক্যান্সারসহ আরও বিভিন্ন রকমের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
মানবতাবিরোধী এই হামলার জন্য ওয়াশিংটন ক্ষম চাইবে না বলে জানিয়েছে আমেরিকা।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১৯ থেকে ২১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় জি-সেভেনের বৈঠকে অংশ নিতে জাপান সফরে যাবেন। তবে তিনি হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে বোমা হামলার জন্য টোকিওর কাছে ক্ষমা চাইবেন না।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও বলেন, হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল পার্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার বিষয়ে বাইডেন কোনও বিবৃতিও দেবেন না বলে জানা গেছে।
জাপান এ বছর জি-সেভেন সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবে। সূত্র: ডেইলি মেইল, ফক্স নিউজ, তাস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেখি বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজ ছিল না, পার্কিং ছিল না। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। আমরা এদেশের মানুষকে সব দিয়েছি।
শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে আমি যখন সরকারে আসি তখন আমাদের বিমানবন্দরের কোনো বোডিং ছিল না, পার্কিং লোড ছিল না, কিছুই ছিল না। আমরা সরকারে এসেই বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম এবং সিলেট এই দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সেই সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নের প্রকল্পের কাজ গ্রহণ করি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মানুষের যোগাযোগ ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতি উন্নতির জন্য একান্ত অপরিহার্য। আধুনিক যুগের নৌপথ সড়ক পথ রেলপথের সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পথ সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহন করে। বিশেষ করে, এদের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ সেই যোগাযোগের মূল বাহন হচ্ছে বিমান। অর্থাৎ আকাশ যাত্রাটা হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেটাকে গুরুত্ব দেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিমানবন্দর আরও পর্যাপ্ত আধুনিক, সুযোগ-সুবিধা যাতে সৃষ্টি হয়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ, আমাদের দেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা বসবাস করে। তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে। আমাদের রেমিট্যান্স পাঠায়। তারাও যাতায়াত করে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন