মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিলেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
এ সময় ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকাকে আবার মহান এবং গৌরবময় করার জন্য, আজ রাতে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির জন্য আমার প্রার্থিতা ঘোষণা করছি।”
এ সময় তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যখন ঘরে এমন ভালবাসা থাকে, তখন জনতার সাথে কথা বলা সত্যিই সহজ।”
“সুতরাং এখন থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচনের দিন পর্যন্ত... আমি এমনভাবে লড়াই করব যা আগে কেউ করেনি। আমরা উগ্র বাম গণতন্ত্রীদের পরাজিত করব, যারা আমাদের দেশকে ভেতর থেকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে,” যুক্ত করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এই ঘোষণাকালে সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প তার পাশেই ছিলেন। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন
আমেরিকা ২০ বছর ধরে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়ে আফগানিস্তান থেকে পালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির একজন কর্মকর্তা।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সারওয়ার দানিশের প্রেস সচিব মোহাম্মদ হেদায়েত শনিবার কাবুলে এক বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন। খবর তাসনিম নিউজের।
আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকা যেসব স্লোগান দিয়ে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করেছিল তার একটিও বাস্তবায়িত করেনি।
মোহাম্মদ হেদায়েত বলেন, আমেরিকা ২০ বছর পর যা রেখে গেছে তা নিশ্চিতভাবে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নয়; বরং এখন আফগানিস্তানে যুদ্ধ ও সহিংসতা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
২০০১ সালের শেষের দিকে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়ে তৎকালীন তালেবান সরকারের পতন ঘটায় এবং দেশটিতে একরকম বিশৃংখলা সৃষ্টি করে।
আমেরিকা ঘোষণা করে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করেছে। কিন্তু ২০ বছরে এসব লক্ষ্যের একটিও অর্জন করতে পারেনি আমেরিকা।
মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছে, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সকল সৈন্য সরিয়ে নেবে।
আফগান থেকে নিজেদের সেনাবাহিনী পুরোপুরি গুটিয়ে নেয়ার জন্য তালেবানের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সমঝোতা অনুযায়ী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বছরের মে মাসের মধ্যে মার্কিনিদের আফগানিস্তান ছাড়ার কথা দিয়েছিলেন।খবর বিবিসির।
কিন্তু নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। বাইডেন এ-সংক্রান্ত নতুন ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। এতে তিনি আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিতে পারেন বলে পেন্টাগন সূত্র জানিয়েছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
‘নাইন–ইলেভেন’ নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ২০ বছর পূর্তির আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। ২০ হাজারের বেশি সেনাসদস্য আহত হয়েছেন।
আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ আফগানিস্তান থেকে অন্যত্রও বিস্তৃত হয়। তবে শুধু আফগানিস্তানেই যুদ্ধ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার। প্রাণহানি, বিপুল ব্যয়—এসবে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ অনেক ক্ষুব্ধ।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে যুদ্ধবিরোধী মিছিল-সমাবেশ পর্যন্ত হয়েছে অনেক বার। তাদের আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠতে দেখা গেছে।
আফগান যুদ্ধ পুরোপুরি গুটিয়ে আনার জন্য তালেবানের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সমঝোতা অনুযায়ী, সব মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। আর তালেবান আবার দেশটি রাজনীতিতে ফিরে আসবে।