মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই আত্মগোপনে গেছেন দেশটির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। এবার আত্মগোপনে থেকে তারা দেশটির বৈধ সরকার হিসেবে ঘোষণা করেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি রবিবার (১৪ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করে, অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে থাকা এসব রাজনীতিবিদরা ঘোষণা করেন, সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তারা সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
প্রবাসী সরকারের ন্যায় কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ) নামে গঠন করা হয়েছে এই গোপন সরকার। এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহন উইন খিয়াং থান। ফেসবুক বার্তায় সে জানায়, ‘এটা এমন একটা সময় যখন অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিকদের লড়াই করার ক্ষমতার পরীক্ষা হচ্ছে। অতীতে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকলেও এখন অবশ্যই আমাদের হাতে হাত ধরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
সিআরপিএইচকে একটি অবৈধ গ্রুপ বলে জানিয়েছে জান্তা সরকার। তারা সতর্ক করেছে, এই কমিটিকে যারা সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে। মিয়ানমারে গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী দাবি করলেও তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। পর্যবেক্ষকগণ জানান, ওই নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়নি।
গত সপ্তাহেই অং সান সু চির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ছয় লাখ ডলার আর ১১ কেজি স্বর্ণ গ্রহণের অভিযোগ আনলেও এর পক্ষে কোন প্রমাণ হাজির করা হয়নি। এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে এনএলডি আইন প্রণেতারা। এদিকে মিয়ানমারে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত আরও ১২ জন নিহত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়েছে
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ভয়াবহ রকমের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসি। আজ বুধবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। খবর পার্সটুডে।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি আরও বলেন, হত্যা, নির্যাতন, দখলদারিত্ব এবং ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আফগানিস্তানের বহু সংখ্যক নারী ও শিশু মর্মবেদনা বয়ে বেড়াচ্ছেন।
গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে যা কিছু ঘটেছে তা একান্তই মার্কিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নমুনা।
তিনি বলেন, আমরা যদি শুধুমাত্র আফগানিস্তানের নারী ও শিশুদের হত্যা, আহত হওয়া কিংবা পঙ্গু হওয়ার ঘটনাকে বিবেচনায় নিই তাহলে দেখব যে, এই দেশটিতে মার্কিন বাহিনী কি ধরনের তান্ডব চালিয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নষ্ট করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে লাগবে ২০২৫ সাল (দশম শ্রেণি পর্যন্ত)। ২০২৬ সালে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া শুরু করবে’।
সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। তবে এর বিভিন্ন দিক বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভ্যস্ত হতেও কিছুটা সময় লাগবে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পুরোটাই মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন ধরনের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে, মানে পরীক্ষার ভিত্তিতে। সূত্র: ইত্তেফাক