a
ফাইল ছবি। ভ্লাদিমি পুতিন
সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়ার ওপর 'আস্থা' রাখার জন্য রুশ জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার পুতিন রুশ জনগণকে ধন্যবাদ জানান। খবর রয়টার্সের
রোববার সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধানের সঙ্গে টেলিভাইজড বৈঠক করেন পুতিন। নির্বাচন কমিশনের প্রধানের সঙ্গে বৈঠককালে পুতিন বলেন, ‘আমি রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতার কথা বলতে চাই। প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের আস্থার জন্য ধন্যবাদ।’
রাশিয়ায় সংসদ নির্বাচনে পুতিনের ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া জয় পেয়েছে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে দলটি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
ইউনাইটেড রাশিয়া ২০১৬ সালের সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ভাল ফলাফল করতে পারেনি। কারণ, গত নির্বাচনে দলটি ৫৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল।
এবারের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফাইল ছবি
ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে কথা বলেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
এরদোয়ান বলেছেন, ‘আপনি আপনার রক্তাক্ত হাতে ইতিহাস লিখছেন। এ কথা বলতে আপনি আমাদের বাধ্য করেছেন। কারণ, আমরা এ নিয়ে আর চুপ থাকতে পারি না। আজ আমরা দেখলাম, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে সই করেছেন আপনি।’
তুরস্কের টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে বাইডেন সম্পর্কে এরদোয়ান বাইডেনকে এসব মন্তব্য করেন।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক সন্ত্রাসী হামলার মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে এবং প্রায় ৭৩.৫ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এছাড়া গাজায় হামলায় শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে আসছে জো-বাইডেন। এ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, ‘ইসরায়েলের নিজেকে সুরক্ষার অধিকার রয়েছে।’
এছাড়া, গত রোববার এই সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বানসংবলিত বিবৃতি আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে নিরাপত্তা পরিষদের রোববারের বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি।
ছবি: মুক্তা দাশ
মরণঘাতী সময়
মু্ক্তা দাশ
একটা সময় ছিল
কোনটা সুখ আর কোনটা অসুখ ঠিকঠাক মতই হয়তো বুঝতাম ।
দিনে দিনে বয়স বেড়েছে , অনেকগুলো বছরের সীমানা পেরিয়ে এসেছি
এখন বেলা প্রায় শেষ !
সূর্য অস্ত যাবার প্রস্তুতি চলছে দেহের প্রতিটি কোষে কোষে ।
নীড়ের পাখি নীড়হারা হওয়ার ভয়ে মুখ থুবড়ে জবুথবু ,
তবুও কি আকাশে ডানা মেলে না !? মেলে তো ।
উড়ে যায়, উড়ে উড়ে যায় নীলিমায়!
দিনশেষে ঘরে ফিরতেই হয়,, ফিরে আসে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় ! ফিরতে তাকে হয় ই ।
পরিনত সময়ের নিয়মে এখন বুঝে উঠতে খুব কষ্ট হয়
কোনটা সুখ আর কোনটা অসুখ !?
ঝাপসা চোখে সুখে অসুখ খুঁজে পাই , আর
অসুখে কেবলি সুখ হাতড়ে বেড়াই ।
যোগ বিয়োগের নিয়মগুলো বেমালুম পাল্টে গেছে !
শরৎবাবু বেঁচে থাকলে , দেবদাস আর পার্বতীকে
সময়ের ছাঁচে নতুন ভার্চুয়াল রূপে সাজাতো।
নতুন আয়নায় আমি কেবলি সেকেলে আমাকে দেখি ,
লালন করি সময় অনুপযোগী অনুভব!
অনুভূতিগুলো কেমন ভোঁতা হয়ে গেছে ,
পোড় খেতে খেতে পুড়তেই ভালোবাসে, স্বেচ্ছায় ।
পোড়া মনে পুড়তেও যে সুখ আছে ..!
মরণঘাতী অসুখে ই চরম সুখ ।
ক'জন ই বা পায় এমন সুখ ।।