আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দু’জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করলে সার্বিক অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এর প্রেক্ষিতে গত ৮ জুলাই ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে সংস্থাটি
গত ৮ জুলাই গ্রাহক ও মার্চেন্টের ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস না থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। সংস্থাটির দুই কর্মকর্তাকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, গ্রাহক ও মার্চেন্টের টাকাগুলো আত্মসাৎ অথবা পাচার হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সম্প্রতি ক্ষমতা দখল করা আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের আহ্বানে যারা হিজরত করতে দেশ ছেড়েছেন তাদের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে গোয়েন্দারা। বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলেই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যদি কারও সন্তান কিংবা ছাত্র হঠাৎ করে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যায় তাহলে তার বিষয়ে দ্রুত পুলিশকে জানানো উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে কতজন আফগানিস্তানে গেছে কিংবা সেখানে কতজন অবস্থান করছে এসব তথ্য আমাদের দেশের গোয়েন্দাদের থেকেই পাওয়া যায়। রাষ্ট্রীয়ভাবে আফগানিস্তান থেকে আমাদের বলা হয়নি এতজন বাংলাদেশি তাদের দেশ থেকে পালিয়ে গেছে কিংবা আটক হয়ে কারাগারে। এসব নিয়ে দেশে যারা কাজ করে তারা সতর্ক রয়েছে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নারায়নগঞ্জের একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই মামলায় মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।
এছাড়াও গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তাতে ইন্ধনদাতা, নির্দেশদাতা ও সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান।
মাহবুবুর রাহমান বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম জেলার ২৩টি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। আমাদের তদন্তের ভালো একটি সেটাপ রয়েছে। আমাদের সাইবার এক্সপার্ট, ডিএনএ, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ রয়েছে। তারা ভিডিও ফুটেজগুলো দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে যে কারা কারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত।
এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। রবিবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। সোমবার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।