সাইবার অপরাধ দমনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ আইন কোনো মতেই বাতিল করা যায় না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইজিপির সঙ্গে প্রতিনিয়ত মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে আলোচনা হয়। অনেক মামলা আদালতে যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং সেসব মামলার জটিলতা থাকে সেগুলো নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করি। মামলা জট কমানোর জন্য আলাপ-আলোচনা করি। সেই আলোচনার জন্য উনি এসেছিলেন। এতটুকুই হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। এটি বাতিলের দাবি উঠেছে এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা আইন। এ আইনকে কোনো মতেই বাতিল করা যায় না। এ আইনের তো অপব্যবহার হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, সেটা তো আমরা দেখছিই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
বিএনপি ও সমমনা অন্যান্য দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে রাজধানী ও আশপাশের জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ২৩৫ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ রবিবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ রবিবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২৮ প্লাটুনসহ সারা দেশে ২৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্তসংখ্যক বিজিবি প্লাটুন স্ট্যান্ডবাই রয়েছে।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর পাঁচ দফায় ১১ দিন পর্যায়ক্রমে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়, যা শেষ হয় গত ১৭ নভেম্বর ভোরে। এরপর আজ রবিবার থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এ হরতালের ডাক দেওয়া হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
উত্তর কোরিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন। এ নিয়ে দেশটিতে একটি নতুন আইনও পাস করা হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, উত্তর কোরিয়া কখনও তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবে না বলে জানিয়েছেন কিম।
নতুন আইন পাস হওয়া নিয়ে এক বিবৃতিতে কিম বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া কখনই তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবে না, এমনকি যদি তার দেশকে ১০০ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। এছাড়া, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কোনও আলোচনা হতে পারে না।’
নতুন পাস হওয়া আইনটিতে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ং নিজেকে রক্ষা করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার সংরক্ষণ করে। আসন্ন শত্রু শক্তির দ্বারা পারমাণবিক বা অ-পারমাণবিক আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে পড়লেই উত্তর কোরিয়া পারামাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
কিম জং উন তার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা কখনই আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার ছেড়ে দেবো না, যা আমাদের দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করে। জাতীয় পারমাণবিক শক্তি নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত নতুন আইন ও প্রবিধান গ্রহণ একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কারণ আমরা জাতীয় প্রতিরক্ষার উপায় হিসেবে ইতোমধ্যে আইনত যুদ্ধ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছি।’ সূত্র: ইত্তেফাক