ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহী বি. চৌধুরী তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। নিজ বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মজিদপুর দয়াহাটায়। তার বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
বি. চৌধুরী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনকালে ১৯৭৮ সালে রাজনীতিতে আসেন। তিনি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ও পরে সংসদ উপনেতা হন। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একই বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২০০২ সালের ২১ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের আগের দামই বহাল রেখেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ফলে অপরিবর্তিতই থাকল বিদ্যুতের পাইকারি দাম। আজ বৃহস্পতিবার বিইআরসি অনলাইনে এক সভায় এ কথা জানা যায়।
এর আগে ৬৬ শতাংশ দাম বাড়াতে আবেদন করেছিল পিডিবি । সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি বিইআরসি।
গত এক যুগে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৯ বার। এ সময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। সর্বশেষ দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যা ওই বছরের মার্চে কার্যকর হয়।
গত জুন মাসেও গড়ে ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয় গ্যাসের দাম। ৬ আগস্ট থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে সাড়ে ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ। এরপর এক মাসের মাথায় লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। সূত্র: প্রথম আলো
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিম লিংকন গ্রামবাসীর হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাটাপোল গ্রামে মাটিকাটা ট্রাক্টরের চাপায় ওহিদুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয় এবং তার ছেলে ইয়াসিন আলী (৭) গুরুতর আহত হওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিম লিংকন এলাকায় জনরোষের মুখে পড়েন। এরপর তার ওপর হামলা চালালে মাথায় আঘাত পান।
এলাকাবাসী তথ্য মতে, বারবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবৈধভাবে ফসলের জমি নষ্ট করে মাটিকাটা বন্ধ করার জন্য লিখিত আবেদন করলেও কোনো কর্ণপাত করেননি। পরবর্তীতে এ দুর্ঘটনা ঘটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তিনি জনরোষের মুখে পড়েন ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকনের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি। জীবননগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, এখন এলাকার পরিবেশ শান্ত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজ বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসার ভাল আছেন।