ঢাকা বুধবার, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ফকির আলমগীর আর নেই


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৩
ফকির আলমগীর আর নেই

ফাইল ছবি

ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ফকির আলমগীর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তার মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

কয়েক দিন ধরে ফকির আলমগীর জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর পর তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তখন থেকেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর তাকে গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
ফকির আলমগীরের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। যে কারণে জটিলতা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে ভর্তির পর দুই ব্যাগ প্লাজমা দেয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর।

তার ছেলে মাশুক আলমগীর জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫-এ নেমে আসে। ওই দিন থেকে চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়ার পরামর্শ দেন। ভেন্টিলেশনে নেয়ার পর থেকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ পর্যন্ত উন্নীত হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এক সময় রক্তে ও ফুসফুসে ইনফেকশন পাওয়া যায়। রক্তচাপ খুবই নেমে যায়। রক্তে ইনফেকশনের জন্য প্রায় প্রতিদিনই সকালে জ্বর আসতো। শুক্রবার নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে রাতে আবারো অবস্থার অবনতি হয়। এরপর গণসংগীতের এই শিল্পীকে মৃত্যু ঘোষণা দেয়া হয়।
 
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মো: হাচেন উদ্দিন ফকির, মা বেগম হাবিবুন্নেসা। শিল্পী কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে সংগীতচর্চা করেছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাঁশীবাদক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তার গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন ফকির আলমগীর। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে ও ’৬৯-এর গণ–অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। গণ–অভ্যুত্থান, ’৭১–এর মুক্তিযুদ্ধ ও ৯০–এর সামরিক শাসনবিরোধী গণ–আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন তার গান দিয়ে।
 
জনপ্রিয় গান:
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেছেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয়পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে তার।

সম্মাননা ও পদক:
সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ পর্যন্ত পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় ‘একুশে পদক’, ‘শেরেবাংলা পদক’, ‘ভাসানী পদক’, ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার’, ‘তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক’, ‘জসীমউদ্‌দীন স্বর্ণপদক’, ‘কান্তকবি পদক’, ‘গণনাট্য পুরস্কার’, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননা’, ‘ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার’, ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র’, ‘জনসংযোগ সমিতি বিশেষ সম্মাননা’, ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিশেষ সম্মাননা’ ও ‘বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ’।

শোক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বরেণ্য শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে রাতে সরকারি সংবাদ সংস্থা- বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আর্জেন্টিনা আবারও দূতাবাস খুলবে বাংলাদেশে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ০১:২৮
আর্জেন্টিনা আবারও দূতাবাস খুলবে বাংলাদেশে

ফাইল ছবি

চার দশক পর বাংলাদেশে আবারও দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এ ঘোষণা দিয়েছেন।

ক্যাফিয়েরো জানান, ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর তিনি বিস্তারিত চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সফর করবেন।

কাতারে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবলে মেসির দলের প্রতি বাংলাদেশিদের সমর্থনের বিষয়টি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যরকম ভূমিকা রাখছে বলে জানা যায়।

বাংলাদেশে বরাবরই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের একনিষ্ঠ ভক্ত-সমর্থক ছিল। তবে কাতার বিশ্বকাপে দলটির প্রতি বাংলাদেশিদের অপরিসীম আবেগ-অনুরাগ বিশ্ববাসীর মনোযোগ কেড়েছে।

কাতার বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে মেসির গোলের পর উল্লাসরত বাংলাদেশি সমর্থকদের একটি ভিডিও ফিফার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার পর তা বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে।

ভিডিওটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়।

পরে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে টুইট করে বলা হয়, 'আমাদের দলকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ! ওরা (বাংলাদেশিরা) আমাদের মতোই পাগল!'

এর পরিপ্রেক্ষিতে আর্জেন্টিনার সাধারণ নাগরিকরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশিদের অকুণ্ঠ ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য একটি আর্জেন্টাইন ফ্যান গ্রুপও তৈরি করা হয়।

পরে গত শনিবার এক টুইটবার্তায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো বাংলাদেশে পুনরায় দূতাবাস চালু করার পরিকল্পনার কথা জানান। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মোল্লা ওমরের কবর ৯ বছর পর খোঁজ পাওয়া গেল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৮:১৪
মোল্লা ওমরের কবর ৯ বছর পর খোঁজ পাওয়া গেল

মৃত্যুর ৯ বছর পর খোঁজ পাওয়া গেল তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের কবর। তার মৃত্যু এবং কোথায় কবরস্থ করা হয়েছে তা এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল।

১৯৯৬-২০০০ মেয়াদে আফগানিস্তানের সরকার গঠন করে তালেবান। সেই সরকারের প্রধান ছিলেন মোল্লা ওমর। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনে ক্ষমতাচ্যুত হন মোল্লা ওমর। আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে তালাবানকে উৎখাত করা হয়।

এ ঘটনার পর মোল্লা ওমরের অবস্থান নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছিল না। ২০১৫ সালে তালেবান স্বীকার করে দুই বছর আগে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কোথায় তার কবর সে সম্পর্কে মুখ খোলেনি তখন।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করে বলেন, মোল্লা ওমরের কবর জাবুল প্রদেশের সুরি জেলার ওমরজোর গ্রামে। শত্রুরা যাতে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য বিষয়টি গোপন ছিল।

মুজাহিদ বলেন, শুধু পরিবারের সদস্যরা মোল্লা ওমরের কবরের ব্যাপারে জানতেন। এখন আমরা সমাধিস্থলটি উন্মুক্ত করেছি, কারণ এখন আর শত্রুর ভয় নেই।

মোল্লা ওমার ৫৫ বছর বয়সে মারা যান। সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান দখলের পর ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় নিজে তালেবান সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মোল্লা ওমর। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ