রাজধানীর ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক এসি। এতে আগুনের সঙ্গে প্রচণ্ড ধোঁয়া তৈরি হয়েছে। বাইরে থেকেও শোনা যাচ্ছে এসি বিস্ফোরণের শব্দ। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার জন্য এখন কোনও ব্যবসায়ীকে মার্কেটের ভেতর প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ২৮টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার জানান, খবর পাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া ব্যবসায়ীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাহায্য করছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউয়ুমের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।
গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকাবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। পরে ফ্লাইটটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন নওশাদ ফ্লাইটটিকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে কাছের নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান। ওইদিনই আরেকটি ফ্লাইটে করে ৮ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। রাতেই প্লেনটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
জরুরি অবতরণের পরপরই এই পাইলটকে স্থানীয় হোপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত রবিবার হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী নিজ দেশে তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে তিনি করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন।
'কোভ-ইরান বারাকাত' নামে ওই ভ্যাকসিন ইরানের তরুণ গবেষক ও বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল। সকল প্রকার ট্রায়াল শেষে অতি সম্প্রতি এই ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমতি মিলেছে।
ভ্যাকসিন গ্রহণের পর সর্বোচ্চ নেতা বলেন, 'প্রথমত আমি বিদেশি কোনো ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক ছিলাম না'। এ কারণেই টিকা নিতে অনেক পীড়াপীড়ির পরও তিনি ইরানি ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করেছেন। তিনি নিজ দেশে ভ্যাকসিন তৈরি ইরানের জাতীয় গর্ব বলে উল্লেখ করেন। ইরানের এই গর্বকে যথাযোগ্য সম্মান জানানো সকল ইরানির উচিত বলে তিনি মনে করেন।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, দেশের ভেতরেই যখন রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে তখন আমরা কেন সেই সুযোগকে কাজে লাগাবো না? তবে প্রয়োজনে বিদেশি ভ্যাকসিন নেওয়ার মধ্যে দোষের কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা।
ইরানি ভ্যাকসিন কোভ-ইরান বারাকাত তৈরির ক্ষেত্রে যেসব তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষক নিজেদের শ্রম ও মেধা দিয়ে জাতিকে সম্মানিত করেছেন এবং যারা এই ভ্যাকসিন উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
কোভ-ইরান বারাকাত ভ্যাকসিন ব্যবহারের লাইসেন্স পাবার মধ্য দিয়ে ইরান করোনার টিকা প্রস্তুতকারী বিশ্বের ছয়টি দেশের মধ্যে নিজেদের স্থান সংযুক্ত করেছে। সূত্র: পার্সটুডে