ঢাকা মঙ্গলবার, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ২২ অক্টোবর, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনা অন্তবর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার গভীর চক্রান্ত: বিএনপি মহাসচিব


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:৪৯
পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনা অন্তবর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার গভীর চক্রান্ত: বিএনপি মহাসচিব

ফাইল ছবি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক অস্থিরতার ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনাকে আমি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত আছে। একদিকে শূন্যতার সুযোগ নেয়া, অন্যদিকে জিও পলিটিক্সে যে পরিবর্তন ঘটছে মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে আশ-পাশের অঞ্চলে, ওইদিকে ভারতবর্ষের মনিপুরে যে বিদ্রোহ, এসবগুলোকে যদি আপনি আনেন, জিওপলিটিক্সের এই ঘটনাগুলো ভেরি সিগনিফিকেন্ট বলে আমি মনে করি। যেহেতু এখন কমেন্ট করাটা ঠিক হবে না।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, একটা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়াকে শুরু করার চেষ্টা করা। অন্যদিকে শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে যে সমস্ত কথা বলছেন, সেগুলো কতটুকু সত্য-মিথ্যা আমি জানি না। তবে সেই কথাগুলো এখানে বড় ইম্প্যাক্ট তৈরি করছে। বলা যায় যে, উদ্বিগ্ন হবার কারণ আছে। আর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সচিবালয়ে আনসার বাহিনীর ঘেরাও, বিভিন্ন সংগঠনের নানা দাবি-দাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মব লিঞ্চিং’, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার বিভিন্ন ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ উল্লেখ করে সরকারকে অস্থিতিশীল করতেই করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিরতার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, যেমন শুক্রবার মেইন ঘটনাটা ঘটছে। আমাদের দলে যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন দীপেন দেওয়ান, উনি আগে এমপি প্রার্থী ছিলেন, তিনি আমাকে ফোন করে বললেন যে, স্যার ইমিডিয়েটলি কারফিউ দিতে বলেন, কারফিউ ছাড়া একে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তখন আমি জানার পরে যাদেরকে চিনি, তাদেরকে জানানোর পরে কারফিউ হয়নি, ১৪৪ ধারা দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। ঠিক এফেক্টিভ কন্ট্রোল তারা করতে পারেনি, এর মধ্যে এটা (ঘটনা) বিস্তারলাভ করেছে। এই যে দেরি হচ্ছে, এই দেরিটা কিন্তু ক্ষতির ব্যাপার হচ্ছে। এটাতে আমি তাদেরকে (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) দোষারোপ করছি না। যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারকে সঠিকভাবে পরামর্শ দেয়া, এটা করা উচিত। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, এক্ষেত্রে অনেকটা গ্যাপ আছে। সমস্যাটা ওই জায়গায়।

তিনি বলেন, এই সরকার খুবই সিরিয়াস, তারা করতে চান, তারা সব কিছু করতে পারেন। আমার কথা হচ্ছে, আমরা সহযোগিতা করি। ইতিমধ্যে তারা অনেক বড় বড় কাজে হাত দিয়েছেন- সেগুলো আমরা দেখি। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বিএনপির পরামর্শ কি জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমাদের পরামর্শ হচ্ছে,  প্রধান প্রধান দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামে তো আমাদের চুক্তি আছে, এতো দিন কোনো সমস্যা হয়নি। এখানে শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা তা নয়, সামাজিক সমস্যা আছে। দীর্ঘকাল ধরে এসব সমস্যা সমাধান করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার এতো কথা বলেছে, চুক্তি করেছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেনি। এসব কাজ একদিনে হবে না, ওদের সঙ্গে বসতে হবে, কথা বলতে হবে, বিষয়গুলোকে আলাপ-আলোচনা করেই সমস্যা সমাধান করতে হবে। সূত্র: মানবজমিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায় করলো বঙ্গবন্ধু সেতু


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০২১, ০২:১২
রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায় করলো বঙ্গবন্ধু সেতু

ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায় হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রায় ৫২ হাজার যানবাহন অতিক্রম করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। যা পূর্বের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (১২ মে) ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত এ টোল আদায় হয়। 

সেতু কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, পণ্যপরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ট্রাক, পিকআপভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল সেতু দিয়ে পার হয়েছে তাদের থেকে আদায়ক আদায়কৃত টোলের পরিমান প্রায়  দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা যা বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর সর্বোচ্চ আদায়কৃত টোল।

অপরদিকে, আজ বৃহস্পতিবার মহাসড়কে ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি কিছু কিছু দূরপাল্লার বাস চলাচল করতেও দেখা যায়। বিগত কয়েকদিন তুলনায় এখন মানুষের চাপ অনেকটাই কম। রাস্তা প্রায়ই ফাকা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্যাংক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩, ১২:২২
যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্যাংক

ফাইল ছবি

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যে বন্ধ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ব্যাংক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ব্যাংক বন্ধের ঘটনার দিক থেকে এটি তৃতীয় বৃহত্তম নজির।

যথারীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি) সিগনেচার ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছে। রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, সিগনেচার ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৩৬ কোটি ডলার এবং তাদের আমানত আছে ৮ হাজার ৮৫০ কোটি ডলার।

তবে এই ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের ঘাড়ে কোনো নতুন চাপ আসবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ। অর্থাৎ এসভিবি বা সিগনেচার ব্যাংককে বেইল আউট করা হবে না। আমানতকারীদের স্বার্থও রক্ষা করা হবে জানিয়েছে তারা।

এসভিবির মতো সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা অনেকটা আকস্মিকভাবেই আসে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও গতকাল রোববার সিগনেচার ব্যাংকের ম্যানহাটনের প্রধান কার্যালয়ে এক বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। এমনকি ইতালীয় রেস্তোরাঁ কারমিন থেকে দুপুরের খাবারের অর্ডারও দিয়েছিলেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল স্টারবাকসের কফি। কিন্তু ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা এক এক করে প্রধান কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন।

এই ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ ও ফেডারেল রিজার্ভের যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, মার্কিন অর্থনীতি সুরক্ষিত এবং মানুষের আস্থা ধরে রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এফডিআইসি সিগনেচার ব্যাংকের সব হিসাব ফিফথ থার্ড ব্যাংক করপোরেশনে স্থানান্তর করেছে। আজ সোমবার থেকেই গ্রাহক করে তাঁর হিসাব ব্যবহার করতে পারবেন।

যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, শেয়ারহোল্ডার ও কিছু অরক্ষিত ঋণগ্রহীতা সুরক্ষার আওতায় আসবে না। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অরক্ষিত আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে এফডিআইসির যদি কোনো ক্ষতি হয়, তা সিগনেচার ব্যাংকের বিশেষ মূল্যায়নের মাধ্যমে পুষিয়ে নেওয়া হবে। আইনি ব্যাখ্যার আওতায় তা করা হবে।

যৌথ ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, দুটি ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাত শক্তি ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মূলত, ০০৮ সালের আর্থিক সংকটে পর যেসব সংস্কার করা হয়েছিল, সেগুলোই আজ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক খাতের সুরক্ষা দিচ্ছে। তৎকালীন সংস্কার কর্মসূচির সঙ্গে বর্তমান কর্মসূচির সমন্বয়ের মাধ্যমে আমানতকারীরা সুরক্ষিত আছেন। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - জাতীয়