বহুল আলোচিত সমালোচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৫ নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং কমিশনের বাকি চার সদস্য হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না ইসি বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিসুর রহমান। সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভ মিছিল করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভকারীরা সদ্য পদত্যাগ করা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন ও তাদের দূর্নীতির বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে রয়েছে নানা বিতর্ক।
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পেয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। পাঁচ বছরের জন্য তারা নিয়োগ পেলেও পুরো মেয়াদ শেষ করার সম্ভব হলোনা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ মুজিব একটি দেশ, একটি জাতি-রাষ্ট্রের স্রষ্টা। কাজেই তার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা একযোগে উদযাপন করছি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামের সেই মহাপুরুষের জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। তার জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা নিজস্ব দেশ, ভাষা-সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ২৪ বছরের নিরন্তর রাজনৈতিক সংগ্রামের ফসল। আর এই সংগ্রামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
গণঅধিকার পরিষদ থেকে সদস্যসচিব, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর ও ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খাঁনকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন দলের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। এর আগে, রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করেন নূর ও তার অনুসারীরা। এবার রেজা কিবরিয়াকে মাতাল বলে অভিহিত করলেন নূর।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে এমন প্রতিক্রিয়া জানান ডাকসুর সাবেক এই ভিপি।
স্ট্যাটাসে নুর লেখেন, রেজা কিবরিয়া গণঅধিকার পরিষদের ১২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির ২১ জনকেও ভালোভাবে চেনেন না, নামও বলতে পারবেন না। ৫৪ জেলা কমিটির ১০ জনকেও চেনেন কিনা সন্দেহ!
গত পৌনে ২ বছরে রেজা কিবরিয়া সংগঠনে পৌনে ২ লাখ টাকাও খরচ করেননি, ২০টা প্রোগ্রামেও ছিলেন না। গণঅধিকার পরিষদ কিংবা গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গ সংগঠন/ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদ, প্রবাসী অধিকার পরিষদ, পেশাজীবী অধিকার পরিষদ গঠনে রেজা কিবরিয়ার কোনো ভূমিকাও নাই। সবকিছু গুছিয়ে আমরাই তাকে একটা গোছানো প্ল্যাটফর্মে এনেছিলাম। তিনি সে সম্মান ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। সুতরাং গণঅধিকার পরিষদের সংগঠকদের কাউকে বহিষ্কার করা বা গণঅধিকার পরিষদকে বিভক্ত করার যোগ্যতা রেজা কিবরিয়া রাখেন না।
নুরুল হক নুর আরও লেখেন, বিদেশে বসে ‘মাতাল’ হয়ে তিনি কি প্রেস রিলিজ দিলেন, তাতে আমাদের কিচ্ছু যায়-আসে না। আমরা কেন্দ্রীয় মিটিং ডেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করেছি। সূত্র: ইত্তেফাক