a
সংগৃহীত ছবি
ঢাকায় পৌঁছেছে চীনের বেইজিং থেকে বাণিজ্যিকভাবে ক্রয় করা সিনোফার্মের ২০ লাখ টিকার মধ্যে ১০ লাখ ডোজ টিকা। বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে শুক্রবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে এ টিকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
এদিকে, ‘কোভিক্স’ এর আওতায় মর্ডানার ১২ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা রাত ১১টা ২২ মিনিটে দেশে এসে পৌঁছায়। সবমিলিয়ে আজ দেশে পৌঁছাল সাড়ে ২২ লাখ ডোজ টিকা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ।
ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, এর আগে রাত ১১টা ২২ মিনিটে ‘কোভিক্স’ এর আওতায় মর্ডানার ১২ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছায়। এছাড়া শনিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় মর্ডানার ১২ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকার চালান আসার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান সংবাদমাধ্যমকে জানান, সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ টিকা এখন এসেছে। অবশিষ্ট ১০ লাখ ডোজ সকালে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
ফাইল ছবি । ড. এ কে আব্দুল মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে টিকা উৎপাদনে সহায়তা চেয়েছেন। তিনি এই সহায়তা চান চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে।
এ তথ্য জানায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন করোনা মহামারি প্রতিরোধে সহযোগিতা ও উত্তরণ নিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগেউচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে যোগ দেন। এতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আই সভাপতিত্ব করেন।
চীনা উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেন। সম্মেলনে করোনা মহামারি প্রতিরোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ৫ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশ, যেসব দেশের টিকা উৎপাদনে সক্ষমতা আছে, সেসব দেশকে টিকা উৎপাদনে সহায়তা দিন। করোনা নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান, করোনা প্রতিরোধে যৌথ উদ্যোগ ও সমন্বয়, টিকাকে জনগণের সম্পত্তি ও কোভ্যাক্স উদ্যোগকে আরো শক্তিশালী করতে প্রস্তাব দেন ড. মোমেন।
সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জনগণের স্বার্থে টেকসই উন্নয়নে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ছবি সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় এক যুগ পর রংপুর যাচ্ছেন। তার আগমন ঘিরে রংপুর মহানগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। তাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত রংপুরবাসী।
বুধবার বেলা ৩টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আয়োজকরা বলছেন। ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন।
এদিকে জনসভায় নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। নগরীতে এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশপথগুলোয় সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। ২১টি পয়েন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পুরো নগরী পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। নগরীর বৈদ্যুতিক পিলার, ল্যাম্প পোস্ট, দেয়াল, গাছ-কোথাও ফাঁকা নেই। রাস্তাঘাট, রোড ডিভাইডার ধুয়ে-মুছে চকচক করা হয়েছে। মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় নৌকার আদলে সভামঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পাশে মিডিয়া, মুক্তিযোদ্ধা ও অতিথি কর্নার। জনসভাস্থলে এসএসএফসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন। তারা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর