ফাইল ছবি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সীমিত সম্পদ দিয়েই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ থেকে শুরু করে সকলের জীবনমান উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার (২০ জুন) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৩ হাজার ৩৪০টি আধা-পাকা বাড়ি ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে সাধারণ এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে। এটাই আমাদের লক্ষ্য’ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় রংপুর বিভাগে ১২ হাজার ৪৩৬ টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ হাজার ৫৪৭টি, ঢাকা বিভাগে ৭ হাজার ৬৩০ টি, রাজশাহী বিভাগে ৭ হাজার ১৭২টি, বরিশাল বিভাগে ৭ হাজার ১৫৩ টি, খুলনা বিভাগে ৯১১ টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ হাজার ৫১২ টি এবং সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৯৭৯ টি আধা-পাকা ঘর জমির মালিকানাসহ হস্তান্তর করা হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই সমাজের অতি দরিদ্র শেণির মানুষদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে এবং বর্তমানে এর ফলাফল চোখে পড়ছে। ‘অতি দরিদ্ররা এখন স্বনির্ভর হতে শিখছে, তারা সমাজের সামনের দিকে এগিয়ে আসছে, আমরা এমনটা ই চাই,’ বলেন শেখ হাসিনা।
দেশের গ্রামাঞ্চলগুলোতে শিক্ষা ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তোলাই সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘গ্রামকে উন্নত করাই আওয়ামী লীগের নীতি, আর এটাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের শিখিয়েছেন।’
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর-২০২২’ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুক্রবার এক বাণীতে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর-২০২২ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি।
তিনি শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, প্রকৃতির নিয়মেই যেমন নতুনের আগমনি বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, তেমনি অতীত-ভবিষ্যতের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পুরনো স্মৃতি সম্ভারে হারিয়ে যাওয়ার চিরায়ত স্বভাব কখনো আনন্দ দেয়, আর কখনোবা কৃতকর্মের শিক্ষা নব উদ্যোমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের উদ্যোগে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রাজধানী এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরে বঙ্গবন্ধুর নামে স্মারক ভাস্কর্য স্থাপন, সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হয়েছে। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সৃজনশীল অর্থনীতিতে আন্তজার্তিক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।
গত ১৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যেখানে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত সেখানে করোনাকালেও আমরা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আমরা দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছি। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছি, এখন আমাদের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর। ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি।
পদ্মা সেতু নতুন বছরের মধ্যবর্তী সময়ে খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছি। রাজধানীতে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’- এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১ অর্জন করেছি। দেশকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছি। মুজিববর্ষে আমরা অঙ্গীকার করেছি কেউ গৃহহীন থাকবে না। আমরা শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে দেব।
নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে তিনি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন, ক্রান্তিকাল উত্তরণে ডাক্তার-নার্স-টেকনিশিয়ান নিয়োগ করা হয়েছে। দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ২৮টি প্যাকেজের আওতায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার, সকল সংকট দূরীভূত এবং সকলের জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। সূত্র : বাসস
ফাইল ছবি
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রথম পর্যায়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় প্রথম ধাপে এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ঢুকতে আর নতুন আবেদন করার কোন সুযোগ নেই। তবে যাচাই বাছাই, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও আপিলের সুযোগ আছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শীর্ষে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এ তালিকায় আরও আছেন জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান।
তালিকায় ঢাকা বিভাগে ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ৫৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৫৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ৮৯৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ১৫৮ জন, সিলেট বিভাগে ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিতর্ক হয়েছে। ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হলে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ আবেদন আসে। কিন্তু যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় শেষ পর্যন্ত নতুন তালিকা প্রকাশ স্থগিত করতে হয়।