করোনার সংক্রমণ রোধ করতে ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কিছু প্রতিষ্ঠান এবং সেই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিরা লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরো পড়ুন: সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
এ বিষয়ে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে |
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, লকডাউনের সময় সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়াও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব জরুরি সেবা ছাড়া এ সময়ে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি তার উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব এই তথ্য জানান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ নং ওয়ার্ডে বেরাইদ এলাকায় বিএনপি মহানগর উত্তরের উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আল্লাহর রহমতে কোভিডের যে আক্রমণ সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর তার চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম তার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং তার একটা পুরনো অসুখ যেটা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়- আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। এই সবগুলো মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ভালনারেবল আছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা বলেন, উনার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছে, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হোক। এই সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। সরকারকে আহ্বান জানাব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে এই মহান নেত্রীকে যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে সেই নেত্রীকে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক, তাকে মুক্তি দেয়া হোক। তাকে অন্যায় ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে।
এসময় দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাছিত আনজুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম নকির পরিচালনায় এতে অংশ নেন বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)কে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র আঁকা সেই সুইডিশ কার্টুনিস্ট লার্স ভিকস সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। সিভিলিয়ান পুলিশের একটি গাড়িতে সফর করার সময় সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মার্কারিড শহরের কাছে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দু’জন পুলিশ অফিসারও নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ট্রাকচালক। খবর বিবিসি অনলাইনের।
রবিবারের ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে ডাগেন্স নাইহেটার খবরের কাগজ জানিয়েছে, লার্স ভিকসের পার্টনার তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এতে কেউ ইচ্ছাকৃত জড়িত নয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে সে মহানবী (স.)-এর যে ব্যাঙ্গবিত্র এঁকেছিল, তা এক বছর পর ডেনমার্কের একটি খবরের কাগজ প্রকাশ করে।
মহানবী (স.)-এর ব্যাঙ্গচিত্র আঁকার পর সারা বিশ্ব থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানান মুসলিম উম্মাহ। তখন থেকেই পুলিশি নিরাপত্তায় চলাচল করতো ৭৫ বছর বয়সী লার্স ভিকস।