a
ফাইল ছবি: ড. হাছান মাহমুদ
কোনো বক্তি বা গোষ্ঠীর রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হতে মাদ্রাসা শিক্ষক-ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব পালনে সরকার যে কোনো নৈরাজ্য দমনে বদ্ধপরিকর।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন না করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে অজুহাত বানিয়ে দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পত্তির ওপর আক্রমণ ও আগুন দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার পেছনে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।
ড. হাছান বলেন, কোমলমতি শিশু-কিশোরদেরকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা, রাজনৈতিক হাঙ্গামার মধ্যে ঠেলে তাদের দিয়ে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেয়া অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং দুষ্কৃতিকারি মনোবৃত্তি।
মন্ত্রী বলেন, আমি কওমী মাদ্রাসার সাথে যুক্ত সকলকে অনুরোধ জানাবো, যেসব ব্যক্তি তাদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে আপনাদের ব্যবহারের অপচেষ্টা করছে, ব্যবহার করছে, তাদেরকে বর্জন করুন, তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না এবং শিশু-কিশোরদেরকে ব্যবহার করবেন না।
কওমী মাদ্রাসার কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বহু কাজ করেছে এবং ইসলামের খেদমতে তিনি যে সমস্ত কাজ করেছেন অতীতে তা কেউ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এই কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
প্রায় ১ লাখ মসজিদে স্থাপিত মক্তবের আলেমদের প্রতিমাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে ভাতাও তিনি চালু করেছেন। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পও তিনি বাস্তবায়ন করে চলেছেন এবং শুধু কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষান্ত হননি বরং সেখান থেকে পাস করা অনেককে সরকারি চাকুরিও দিয়েছেন। এর আগে পঁচাত্তরের পরের অন্য সরকারগুলো তাদের পাশে বসিয়ে মুরগির কল্লা-মাছের মাথাই খাইয়েছেন, স্বীকৃতি দেননি। সূত্র:বাসস
ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় এ আহ্বান জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বুধবার দিল্লিতে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কারণ এটা (পদ্মা সেতু) হওয়ায় শুধু বাংলাদেশ নয়; এই অঞ্চলের সব দেশই কমবেশি উপকৃত হবে।’
ভারত সফরসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দেশটির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও।
২৫ জুন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন মাওয়া প্রান্তে টোল দিয়ে সেতু অতিক্রম করেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ইসরাইলের উগ্র ইহুদিপন্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আয়লেত শাকেদ বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পলাতক এক লাখ ইউক্রেনীয়কে তাৎক্ষণিকভাবে নাগরিকত্ব দিতে প্রস্তুত। তবে ইউক্রেনীয় ই্হুদি নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। রোববার ইসরাইলের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে এমন সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
টাইমস অব ইসরাইল জানায়, ইসরাইলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আয়লেত শাকেদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড দেশটিতে দীর্ঘ মেয়াদী বসবাস ও কাজের অনুমোদন দিয়ে একটি আইন করতে যাচ্ছে। এ আইনের আওতায় ইউক্রেনীয় (ই্হুদি) নাগরিকদের ইসরাইলে বসবাসের অনুমতি দেয়া হবে।
শুক্রবার ইসরাইলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আয়লেত শাকেদ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হলে এক হাজার ৫৫৫ ইউক্রেনীয় নাগরিক ইসরাইলে আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে ১৫০ জন (ই্হুদি) ইসরাইলের ‘ফিরে আসার ভিত্তিতে নাগরিকত্ব’ আইন অনুসারে নাগরিকত্ব পাবেন।
ইসরাইলের ‘ফিরে আসার ভিত্তিতে নাগরিকত্ব’ আইন অনুসারে, যেকোনো ই্হুদি তাদের পবিত্র ভূমি ইসরাইলে ফিরে এলে তারা দেশটির নাগরিকত্ব পাবেন। ওই ই্হুদি ব্যক্তি বিশ্বে যে কোনো দেশ থেকে আসলেও তিনি ইসরাইলের নাগরিকত্ব পাবেন।
অপরদিকে কোনো ফিলিস্তিনি শরণার্থী অন্য দেশ থেকে এলে তাকে নাগরিকত্ব দেয়া হয় না। অনেকের ধারণা ফিলিস্তিনিদের চেয়ে ই্হুদিদের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইসরাইল এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে ইসরাইলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আয়লেত শাকেদ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণ শুরু হওয়ার পর যে সকল ইউক্রেনীয় ইসরাইলে আসবে তাদের মধ্যে এক লাখ ব্যক্তিকে দেশটির নাগরিকত্ব দেয়া হবে। তবে এসব ইউক্রেনীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা ইহুদি তাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে দ্রুত নাগরিকত্ব দেয়া হবে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর