বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভিসানীতি থেকে বাঁচতে সরকার ফল ও খাবার খাওয়ানোর নাটক করেছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আগামী সোমবার (৩১ জুলাই) সারাদেশে বিএনপির জনসমাবেশের কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিনা উসকানিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। বহু নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। সরকার নিজেদের রক্ষার জন্য আমান উল্লাহ আমানকে ফল ও বাবু গয়েশ্বরকে দুপুরে খাওয়ানোর নাটক করেছে।
বিএনপি এগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সরকার ভিসানীতি থেকে বাঁচতে বিএনপি নেতাদের ফল ও খাবার খাওয়ানো এবং আটকের নাটক সাজিয়েছে।
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে আমরা জানতে পেরেছি, তিন যুবক মোটরসাইকেলে এসে বাসে আগুন দিয়ে চলে যায়। পুলিশও আশপাশে ছিল। কারা এ কাজ করছে তা সবাই জানে। অথচ বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপির অনেক নেতা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
‘আমার স্বপ্ন আমার দেশ’ নামে দুই খণ্ডের বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। জানা গেছে, বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যের সংকলন আকারে বই দু’টি প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের কয়েকটি লেখাও বইয়ে থাকছে। এর প্রকাশনা উৎসব হওয়ার কথা রয়েছে আগামী নভেম্বরে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থা থেকে দুই খণ্ডের বইটি প্রকাশিত হচ্ছে। বইয়ের প্রকাশক হলেন জহির মো. দীপ্তি। আর বইয়ের ভূমিকা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই লিখেছেন। আর মুখবন্ধ লিখেছেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ। দুই খণ্ডের এই বইয়ের মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার টাকা। তবে ২৫ শতাংশ ছাড়ে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।
শায়রুল কবির আরও জানান, প্রথম খণ্ডে ১ থেকে ২৯টি অধ্যায় রয়েছে, পরের খণ্ডে ২৯ থেকে ২১০টি অধ্যায় রয়েছে। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা না দিয়ে সরকার মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, আমাদের লক্ষ্য গুণগত পরিবর্তন ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা, আমাদের আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, এই সংকট বিএনপির একার নয় দেশের সবার ও গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার করে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরেয়ে আনতে হবে এবং মেগা প্রজেক্ট নামে হরিলুট চলছে- শিরোনামে একাধিক বক্তব্যের সংকলন রয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলওয়ে স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের ভেতরসহ রেল স্থাপনায় ধূমপান ও তামাকমুক্ত এলাকা হিসেবে থাকবে। কেউ এসব আইন অমান্য করে ধূমপান বা তামাক গ্রহণ করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আজ বুধবার রেল ভবনে ‘ইনিশিয়েটিভ টু মেক বাংলাদেশ রেলওয়ে টোব্যাকো ফ্রি’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু আইন বা প্রচারণা বাড়িয়ে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়, যদি তামাকের উৎস বন্ধ করা না যায়। রেলওয়েতে প্রকাশ্যে ধূমপান করা নিষেধ। ট্রেনে যাত্রী যাতে তামাকজাতীয় দ্রব্য নিয়ে ভ্রমণ করতে না পারে সেজন্য উদ্যোগ নিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এটি কার্যকর করা হবে।’
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ইউনিয়নের অর্থায়নে রেলপথ মন্ত্রণালয় উল্লিখিত প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর উদ্দেশ্য হলো- শিশু, নারী, অসুস্থ ব্যক্তিসহ অধূমপায়ী যাত্রীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা প্রদান। পানের পিকমুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতে রেলস্টেশন ও ট্রেনের ভেতর পান-জর্দা বা সাদাপাতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানষ) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদক অনুবিভাগ) ইসরাত চৌধুরী প্রমুখ।
প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিসোর্সপারসন হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি প্রকল্প পরিচালক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক। সূত্র: বিডি প্রতিদিন