সম্পদের সঠিক ব্যবহারের জন্য প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের ধর্মে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, হারাম খেলে নামাজ হবে না। শুধু তাই নয়, হারাম টাকায় কেনা কোনো পোশাক যদি অন্য পোশাক স্পর্শ করে তবে নাপাক হয়ে যাবে।
প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়ান। সারা দিন কী কাজ করলেন, নিজেকে প্রশ্ন করুন। আমি যতদূর জানি, এলজিইডি প্রকল্পে আইন-কানুন মেনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। তারপরও আইনের মধ্যে থেকে অনেক কিছু করা হয়, আমি খবর রাখি। এখন আরও সঠিকভাবে খোঁজ-খবর রাখব, কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে রেহায় নেই। আপনারা প্রকৌশলী, আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম, আমিও হাফ প্রকৌশলী। সরকার আমাদের বেতন অনেক বাড়িয়েছে। তারপরও যদি কেউ চুরি করে, ধরা পড়লে সরাসরি অ্যাকশন নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নবিষয়ক মতবিনিময় সভায় শনিবার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ভবনে এই সভা হয়। সভায় এলজিইডি’র ৭৬ জন প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আপনাদের কারণে স্যারকে (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম) প্রধানমন্ত্রীর কাছে অপদস্ত হচ্ছেন। স্যারতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না। প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন আপনারা। এখন পর্যন্ত এলজিইডি একটা মাস্টারপ্ল্যান করতে পারল না। এলজিইডিকে অবশ্যই একটা মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। এলজিইডি’র কাজ নিয়ে অনেক আপত্তি আছে। কাজের মধ্যে অবশ্যই স্বচ্ছতা আনতে হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিইডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেশের কোথাও দেখা যায়নি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদ হচ্ছে না।১৪ মে শুক্রবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ১২ মে বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনায় বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৭টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সভাপতিত্ব করেন ।
ভোক্তা-গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে চটকদার, লোভনীয় ও অসত্য বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এ ধরনের বিজ্ঞাপন দাতাদের বিরুদ্ধে কেনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হোসেন তালকুদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন তামজিদ হাসান পাপুল ও রবিউল আলম।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব, সংস্কৃতি সচিব এবং ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর লোভনীয় বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ রিট দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।