করোনা মোকাবেলায় কঠোর বিধি-নিষেধ শেষে আজ বুধবার থেকে মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে গণপরিবহন। পাশাপাশি অফিস-আদালত এবং দোকান-পাট ও শপিংমলও খুলে দেওয়া হচ্ছে।
তবে সবকিছু উন্মুক্ত হলেও সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধান ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি নিশ্চিত করতে কঠোর হবে সরকার।
আজ বুধবার সব সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট ও শপিংমল এবং গণপরিবহন চালু রাখার অনুমতি দিয়ে গত রবিবার (৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১১ আগস্ট থেকে অফিস-আদালাত ও দোকান-পাট চালুর পাশাপাশি নির্দিষ্ট রুটে অর্ধেক গণপরিবহন চলবে। তবে আসনের সমপরিমাণ যাত্রী বহন করতে পারবে সড়ক পথের গণপরিবহন তথা বাস। কিন্তু অর্ধেক বাস চলা নিয়ে নানা সমালোচনারও তৈরি হয়েছে।
বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলেও সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ার কথা জানানো হয়।
যেসব শর্ত মানতে হবে:
১. সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে।
২. সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩. সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
৪. শপিংমল, মার্কেট, দোকান-পাটসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।
৫. সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।
৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাতে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আতঙ্ক বিরাজ করে নগরবাসীর মাঝে। তবে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সমাধান হয়েছে লাইনের সমস্যাও। গ্রাহকরা এখন চুলা ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তিতাসের জিএম (অপারেশন) সেলিম মিয়া জানান বলেন, গ্যাস লিকেজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এখন গ্রাহকরা চুলা জ্বালাতে পারবেন। লাইনে যে সমস্যা হয়েছিলো তার সমাধান করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্যাসের চুলা না জ্বালানো এবং দেশলাই না জ্বালানোর অনুরোধ জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকা থেকে আমরা ফোনকল পেয়েছি। তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছি।
তিনি আরও জানান, আমাদের টিম প্রাথমিকভাবে জানতে পারে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে বিভিন্ন জায়গায় লিকেজ হচ্ছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঢাকা শহরের ফায়ার সার্ভিসের সবগুলো ইউনিট।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস আরও জানায়, ঈদে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায়, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে। তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাসের লাইনে লিকেজের ঘটনা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১ টায় প্রতিমন্ত্রীর নিজস্ব ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। সূত্র: ইত্তেফাক
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, ‘আমাদের আন্দোলন জনগণের মানবাধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, ন্যায়বিচারের অধিকার এবং সর্বোপরি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য। আমরা মানুষকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি দিতে চেষ্টা করছি। দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির জন্য, দেশকে প্রকৃত অর্থে স্বৈরাচারমুক্ত করার জন্য অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছি।’
শুক্রবার বাদ জুমা এলডিপি কার্যালয়ে ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত যেসব নেতাকর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন এবং আন্দোলনরত যেসব গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হয়েছেন তাদের জন্য দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, ‘বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে। ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারকে নির্বাসিত করেছে। জনগণকে জানোয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। দেশের অর্থনীতিকে ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, গায়েবি মামলা দিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত দিচ্ছে’।
এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম তালুকদার, ডক্টর নেয়ামূল বশির, ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এসএম মোরশেদ, অধ্যক্ষ সাকলায়েন, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন প্রমুখ।