বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ইসরায়েলের নজরদারি প্রযুক্তি এনে বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করছে সরকার।
শনিবার (৮ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটি সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি প্রযুক্তি পেগাসাস ব্যবহার করে সরকার বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করা হচ্ছে। বিরোধী দলকে দমনের জন্য এবং বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে তারা (সরকার) এটা
ব্যবহার করে করছে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।
রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ মেটাতে সংলাপের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করে সংলাপে গিয়েছিলাম। কিন্তু বোকা বানিয়ে দিয়েছিল। ফলে এদের সঙ্গে সমঝোতা করা যায় না? সমঝোতা করে লাভ হবে না, এরা আবার প্রতারণা করবে।’
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০১১ সালের ১০ মে বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দিয়েছিল।’
কিন্তু সেখানে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, নিরাপত্তার স্বার্থে এবং বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন করা যেতে পারে। কিন্তু সরকার এ নিয়ে ডাহা মিথ্যাচার করছে। কারণ, তারা দেখেছে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হলে ভোট পাবে না।
ঢাকায় এ আলোচনা সভায় এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানসহ প্রমুখ। সূত্র: ইত্তেফাক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণকে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। অনেকে বলেন, আপনার মুখে হাসি দেখি কেন সব সময়। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, ফ্যাসিস্ট পাথর জনগণের ঘাড় থেকে সরে যাচ্ছে। জনগণ মুক্তি পাচ্ছে একটি ভয়াল থাবা থেকে।’
রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, পরিবর্তন আসছে। জনগণের জয় হবে ইনশাআল্লাহ।
‘খালেদার জিয়ার চিকিৎসা এদেশে আর সম্ভব নয়। ডাক্তারা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা বলছেন, তাকে দেশের বাইরে নেয়া দরকার তাড়াতাড়ি।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি ফিরে আসে তবে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না, এটা আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
আগামী ডিসেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আজকে একটা নির্বাচন আমাদের সামনে। আমাদের ৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। হোপফুলি নির্বাচন কমিশনের আভাস অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা।’
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভার সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) এক বছর ধরে প্রকাশ্যে মাঠে আসছে, বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে, তারা অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। আমরা সন্ত্রাসের আশঙ্কায় শান্তি সমাবেশ করছি। যতক্ষণ বিএনপি আন্দোলন করবে আমরা শান্তি সমাবেশ করব। তারা নয়াপল্টনে করে আমরা উত্তরাতে, ১০ ডিসেম্বর তারা রাজধানীতে করেছে আমরা সাভারে করেছি।’
আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে আমরা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনের দিকে অভিযাত্রা শুরু করেছি। আমরা কোনো কর্মসূচি দিলে কিছু সংবাদমাধ্যম বিএনপির কথাটিকে বলে। বিএনপি বলছে পাল্টাপাল্টি। আমরা তো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করছি না।’
সূত্র:ইত্তেফাক