ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণ জানালেন মোদিকে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:৩৭
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণ জানালেন মোদিকে

ফাইল ছবি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় এ আহ্বান জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বুধবার দিল্লিতে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কারণ এটা (পদ্মা সেতু) হওয়ায় শুধু বাংলাদেশ নয়; এই অঞ্চলের সব দেশই কমবেশি উপকৃত হবে।’

ভারত সফরসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দেশটির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও।

২৫ জুন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন মাওয়া প্রান্তে টোল দিয়ে সেতু অতিক্রম করেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

শিথিল করা হচ্ছে বিধিনিষেধ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ০৮ আগষ্ট, ২০২১, ০৫:১৩
শিথিল করা হচ্ছে বিধিনিষেধ

সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

রোববার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। সড়কপথে মোট যানবাহনের অর্ধেক চলাচল করবে। হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে।

দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ১০ আগস্টের পর সবকিছু ধাপে ধাপে খুলবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিধি-নিষেধ আগামী ১০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। ১১ তারিখ থেকে যেটি চিন্তাভাবনা চলছে সেটি হলো- ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে শিথিল করা।

আমাদের করোনা শনাক্তের হার একটু কমছে, কিন্তু মৃত্যুর হার ২০০ এর ওপরে আছে। তাই এসব বিষয়ে অবশ্যই আমাদের নজর রাখতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জিয়াকে নিয়ে শিশু কনক চাঁপার এক অন্যরকম অনুভূতি!


ফেসবুক ডেস্ক:
রবিবার, ৩০ মে, ২০২১, ১১:৫৫
জিয়াকে নিয়ে শিশু কনক চাঁপার এক অন্যরকম অনুভূতি

ফাইল ছবি। জিয়াউর রহমান

 

খুব ছোট বেলার কথা। ৭৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক প্রবর্তিত বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত শিশুদের সুকুমার বৃত্তির প্রতিযোগিতা নতুন কুঁড়ির প্রতিযোগী এবং পুরস্কার বিজয়ী ছিলাম। তখনও আমি আমাদের প্রেসিডেন্টকে সরাসরি দেখিনি। এরপর বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত একটি মঞ্চানুষ্ঠান হয়। রেডিওতে তো শুধু গান হয়,দেখা যায়না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সাহেব আদেশ দিলেন ঢাকার শাহবাগের রেডিও বাংলাদেশের হোম সার্ভিস এর ভেতরে পেছন দিকের উন্মুক্ত বাগানে  একটা মঞ্চানুষ্ঠান করার জন্য। যেখানে উনি উপস্থিত থেকে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন।
 
আমরা যারা নিয়মিত রেডিও কলকাকলীতে অংশগ্রহণ করতাম তারাই সে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলাম।প্রায় এক মাস ধরে রিহার্সাল হলো। গ্রামবাংলার মানুষের জীবন যাত্রা নিয়ে একটি নৃত্যনাট্য। অনেক কোরাস ভয়েজ ছিল, বলাই বাহুল্য সেখানে বড় বড় একক  গান আমার ভাগে পড়লো এবং অনুষ্ঠানের শুরুতেই  নৃত্যনাট্যের অংশ হিসেবে, যেন কেবল ভোর হলো এটা বোঝানোর জন্য ছিল ফজরের আজান।সেই আজান আমাকে দেয়া হলো। আজানের পরেই নাটকের ভেতরে বিবেক এসে গাইতে থাকে "মনরে পথে পথে পথ বাঁধিতে একতারা বাজাই"।সবই আমাকে গাইতে হয়েছে। এরপর পুরো একটা গ্রামীণ গল্প নাচেগানে উপস্থাপিত হলো।
 
আমাকে অনুষ্ঠানের বড় কেউ একজন  ডেকে নিয়ে গিয়ে একদম প্রেসিডেন্ট সাহেব এর সামনে দাঁড় করালেন। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করা উচিত। উনি আমাকে এক হাতে টেনে নিয়ে একদম কাছে দাঁড় করিয়ে সেই বিখ্যাত সুমিষ্ট হাসি দিয়ে বললেন তোমার নাম? এতো সুন্দর নাম কে রাখলেন?  তারপর বললেন এতো সুন্দর করে আজান কিভাবে দিলে তুমি! তারপর অনেক দোয়া করলেন। আমার বাবা-মা পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন, উনি তাঁদের দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে  বললেন বাচ্চার যত্ন নেবেন। ও একটা রত্ন। যাইহোক। 

এরপর একসময় আমাদের "মাদারটেক আব্দুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়" এ তিনি  এলেন স্কুল পরিদর্শনে। তখনকার দিনেই তিনি আমাদের স্কুলে অনুদান সহ পুরো স্কুলে যাতে এক জায়গা থেকে ক্লাসে ক্লাসে ঘোষণা বা লেকচার শোনা যায় এমন সাউন্ড সিস্টেম মাইক্রোফোন সেট কিনে দিলেন। উনি আসার সাথে সাথে  আমার রিহার্সাল করা গান "প্রথম বাংলা আমার শেষ বাংলাদেশ" গাচ্ছিলাম।উনি আমাদের সামনে দিয়ে সহাস্যে ধীরে ধীরে যাচ্ছিলেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং শিক্ষকদের সাথে শেইকহ্যান্ড করতে করতে। আমার দিকে চোখ পড়তেই উনি চেনা একটা হাসি দিলেন, মানে উনি আমাকে দেখেই চিনেছেন এই মেয়েটিই সেই কনকচাঁপা এবং আমাদের প্রধান শিক্ষক কে জিজ্ঞেস করলেন যে কনকচাঁপা আপনার স্কুলে পড়ে? ভাবা যায়! একজন দেশের প্রেসিডেন্ট! তাঁর এতো তুচ্ছ বিষয় মনে রাখার ব্যাপারটা আজও  বিস্মিত করে আমাকে। ওনার নির্দেশে "পেন পলস" ক্লাব নামক একটি এনজিও শুধু বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতো। সেখানেও আমি জিয়া শিশু পুরস্কার কয়েকবার পেয়েছি।

পেনপলস ক্লাবের পুরস্কার গুলো অপূর্ব ছিলো। নানান গুনীজনের জীবনীগ্রন্থ  শিশুতোষ ভাষায় লেখা বই,একশোটা কাঠপেন্সিল, বিশ দিস্তা কাগজ! এগুলো পুরস্কার এর আইডিয়া ওনারই ছিলো। ওনার নামে "জিয়া পরিষদ" এর নানা কর্মকাণ্ডেও  আমি অংশগ্রহণ করেছি।
সোজা কথায় তিনি ছিলেন অসম্ভব শিশুপ্রিয় মানুষ। শিশু-কিশোররা ঠিক ঠাক গড়ে ওঠে কিনা এনিয়ে তাঁর কঠিন নজরদারি ছিল। বিটিভিতে আমাদের অনেক শিল্পীর সাথে জনাব  তারেক রহমান ও কোকো রহমান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সাহেবের  কড়া নির্দেশ ছিলো তাঁর সন্তানদের যেন বিশেষ দৃষ্টিতে না দেখা হয়! তাদের বেশভুষা, তাদের যাতায়াতের যানবাহন খুবই সাধারণ ছিল। তারা দুই ভাই কোন প্রোটোকল ছাড়া বিটিভির গাড়িতে রিহার্সাল এ যাতায়াত করতো।

এই ছিলেন আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট সমুখভাগের মুক্তিযোদ্ধা শ্রদ্ধার ও ভালোবাসার জিয়াউর রহমান।

মনে পড়ে তাঁর মৃত্যুতে অনেক কেঁদেছিলাম। টিভিতে লাখো মানুষের ঢল আর হৃদয়বিদারক করুণ ধারাবিবরণীতে কেঁদে কেঁদে অস্থির হয়ে গেছিলাম এই কিশোরী আমি! 
আমার সেই অনুভূতি আজও তেমনি আছে,থাকবে।

স্রষ্টা, তুমি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান সাহেবকে জান্নাতুল ফেরদৌসের স্থায়ী বাসিন্দা করে নেয়ার অনুগ্রহ করো।

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত.../কন্ঠশিল্পী: কনক চাঁপা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - জাতীয়