ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা উদ্বোধন করলেন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৭ আগষ্ট, ২০২৩, ১২:২৯
প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা উদ্বোধন করলেন

ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের ভবিষ্যত জীবনের কথা বিবেচনা করে বহুল আলোচিত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশনের চারটি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। কর্মসূচিগুলো হচ্ছে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা।

অর্থ বিভাগের সূত্রানুযায়ী, আজ থেকেই ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও বিশেষ বিবেচনায় পেনশনভুক্ত হতে পারবেন। তবে এর জন্য তাকে টানা ১০ বছর চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। এরপর তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন, সেই বয়স থেকে পেনশন শুরু হবে।

বাকিদের ক্ষেত্রে পেনশন দেওয়া শুরু হবে ৬০ বছর বয়সের পর। এরপর তিনি যত দিন বেঁচে থাকবেন, তত দিন মাসে মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের পেনশন পাবেন। তবে চাঁদাদাতা মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। অর্থাৎ কোনো চাঁদাদাতা যদি ৬০ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে তার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ বছর তার নমিনি পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী এ নিয়মই অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিধিমালা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা। বিধিমালায় আজীবন পেনশনের ব্যাপারে অবশ্য স্পষ্ট কিছু বলা নেই।

কারা এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন

অর্থ বিভাগের বিধিমালা অনুযায়ী, ১৮ বছরের বা তদূর্ধ্ব বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সব বাংলাদেশি নাগরিক এতে অংশ নিতে পারবেন। ৫০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সের নাগরিকগণও স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে স্কিমে অংশ নেওয়ার তারিখ থেকে ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন। প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা পাসপোর্টের ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করে এর অনুলিপি কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিগণ তাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে অংশ নিতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, স্কিমে অংশগ্রহণ করার আগে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে। দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্ধারিত ফরম অনলাইনে পূরণ করে আবেদন করা যাবে। এর বিপরীতে একটি ইউনিক আইডি নম্বর প্রদান করা হবে। মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং বা ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চাঁদা পরিশোধ করা যাবে।

চার ধরনের স্কিম:
‘প্রবাস’ কর্মসূচিটি শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। তারা বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা দেবেন, তবে মেয়াদ পূর্তিতে তারা দেশীয় মুদ্রায় পেনশন পাবেন।

‘প্রগতি’ কর্মসূচিটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য। এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ৫০ শতাংশ চাঁদা চাকরিজীবীরা নিজে ও মালিকপক্ষ ৫০ শতাংশ হারে বহন করবে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মসূচি বা স্কিমে অংশ নিতে না চাইলে ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নিজ উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

‘সুরক্ষা’ কর্মসূচিটি হচ্ছে রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য। আর ‘সমতা’ কর্মসূচিটি হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য, যাদের বার্ষিক আয় ৬০ হাজার টাকার কম।

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। আপাতত অর্থ বিভাগের আওতাধীন সংস্থা হবে এটি। এ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে গত মাসে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খান।

নমিনি না উত্তরাধিকারী: বিধিমালায় বলা হয়েছে, মারা গেলে অর্থ কে পাবেন, সেজন্য চাঁদাদাতা এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন। যে কোনো সময় একজন বা সব নমিনিই পরিবর্তন করে নতুন নমিনি মনোনয়নের সুযোগ থাকবে। চাঁদাদাতা বা পেনশনধারী মারা গেলে এবং তার মৃত্যুর পর নমিনি মনোনয়ন কার্যকর থাকলে পেনশনের অর্থ নমিনি পাবেন। তবে নমিনি নাবালক হলে পেনশনধারীর মৃত্যুর পর নমিনি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত নমিনির পক্ষে অর্থ তুলতে পারবেন চাঁদাদাতার মনোনয়ন বা নিয়োগ দেওয়া যে কোনো ব্যক্তি। তিনিই হবেন নাবালক নমিনির আইনসম্মত অভিভাবক। নমিনি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি নাবালক নমিনির প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য হবেন।

কোনো স্কিমের চাঁদাদাতা মাসিক পেনশন পাওয়ার উপযুক্ত হওয়ার আগেই মারা গেলে তার নমিনি বা নমিনিরা অথবা নমিনির অবর্তমানে উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীরা মুনাফাসহ জমা করা অর্থ ফেরত পাবেন। নমিনির অবর্তমানে উত্তরাধিকারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকারের সনদ বিবেচনায় নেবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অর্থসচিব বরাবর আপিল করার সুযোগ পাবেন। আপিল কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

মানসিক ভারসাম্যহীন হলে কী হবে:
বিধিমালায় বলা হয়েছে, পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে কোনো চাঁদাদাতা যদি চাঁদা দেওয়ার জন্য অসমর্থ হয়ে পড়েন, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ঐ ব্যক্তির নমিনি বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারীর ওপর কর্মসূচির স্বত্ব ন্যস্ত করতে পারবে। তারা কর্মসূচিটি চালিয়ে নিতে পারবেন এবং মেয়াদ শেষে পেনশন ভোগ করতে পারবেন। চাঁদাদাতা নিখোঁজ হয়ে গেলে নমিনি বা উত্তরাধিকারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পেনশন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং কর্মসূচি চালিয়ে নিতে পারবেন। নিখোঁজ হওয়ার সাত বছর পার হওয়ার মধ্যে চাঁদাদাতা ফিরে না এলে তার কর্মসূচিটি স্থগিত করা হবে।

বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, চাঁদাদাতা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসমর্থ হয়ে গেলে এবং অসমর্থের কারণে কর্মহীন ও উপার্জনে অক্ষম হয়ে পড়লে চাঁদাদাতাকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করতে হবে। তখন তাকে অসচ্ছল চাঁদাদাতা হিসেবে ঘোষণা দেবে পেনশন কর্তৃপক্ষ। চাঁদাদাতার অসচ্ছলতা নির্ণয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠিত হবে এবং অসচ্ছল হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর এক বছর পর্যন্ত চাঁদা না দিলেও পেনশন হিসাব স্থগিত হবে না।

চাঁদার হার: চার ধরনের পেনশন কর্মসূচির মধ্যে প্রবাস কর্মসূচিতে ১৮ বছর বয়সী একজন প্রবাসী যদি মাসে ১০ হাজার টাকা করে জমা দেন, তবে ৪২ বছর পর তিনি মাসে পাবেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ টাকা করে। আবার ১৮ বছর বয়সী বেসরকারি কোনো চাকরিজীবী যদি মাসে ৫ হাজার টাকা করে জমা দেন, তাহলে তিনি ৪২ বছর পর মাসে পাবেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে। সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায়ও ১৮ বছর বয়সীরা কেউ যদি ৫ হাজার টাকা করে মাসে জমা দিয়ে পেনশনে যুক্ত হন, তাহলে ৪২ বছর শেষে তিনিও মাসে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে পাবেন।

সুরক্ষা স্কিমে ১, ২, ৩ ও ৫ হাজার টাকা করে মাসিক চাঁদা দেওয়া যাবে। আর প্রগতি স্কিমে ২, ৩ ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া যাবে। প্রবাসী স্কিমে ৫, সাড়ে ৭ ও ১০ হাজার টাকার স্কিম গ্রহণ করা যাবে। ১০ হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধে ১০ বছর পর পেনশন পাওয়া যাবে ১৫ হাজার ৩০২ টাকা। আর ৫ হাজার মাসিক চাঁদায় ১০ বছর পর পেনশন পাওয়া যাবে ৭ হাজার ৬৫১ টাকা।

তবে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্ধারিত সমতা পেনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের মাসিক চাঁদার অর্ধেক দেবে সরকার। সমতা কর্মসূচিতে একজন অংশগ্রহণকারীকে মাসে দিতে হবে ৫০০ টাকা, এর বিপরীতে সরকার দেবে আরও ৫০০ টাকা। এভাবে কেউ যদি ৪২ বছর ১ হাজার টাকা করে জমা দেন, তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি মাসে পেনশন পাবেন ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা করে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাঁদা দিতে না পারলে পরের এক মাসের মধ্যে জরিমানা ছাড়া চাঁদা দেওয়া যাবে। এক মাস পার হলে পরের প্রতিদিনের জন্য ১ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে হিসাব সচল করা যাবে। মাসের নাম উল্লেখ করে অগ্রিম চাঁদা দেওয়ারও সুযোগ রাখা হয়েছে। চাঁদা মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে দেওয়ারও সুযোগ থাকবে। চাঁদাদাতা নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, গৃহনির্মাণ, গৃহ মেরামত এবং সন্তানের বিয়ের ব্যয় মেটাতে তার জমা করা অর্থের ৫০ শতাংশ ঋণ নিতে পারবেন, যা শোধ করতে হবে ২৪ কিস্তিতে। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আজ আসছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:৪১
আজ আসছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ

ফাইল ছবি

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এক ঝটিকা সফরে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছেন। কোনো রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। প্রায় ২২ ঘণ্টার এই সফরে সের্গেই ল্যাভরভ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করবেন।

তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন।

সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা অনুষ্ঠিত আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন ও পূর্ব এশিয়া সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বিকাল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। এরপর সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প, জ্বালানি, বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

আগামীকাল শুক্রবার সকালে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি সৌজন্য সাক্ষাত করবেন। শুক্রবার দুপুরেই ভারতের নয়াদিল্লির উদ্দেশ্য তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পরিবর্তে এবারের সম্মেলনে রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন সের্গেই ল্যাভরভ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দেশে পৃথক ফ্লাইটে সিনোফার্মের আরো ৩০ লাখ টিকা পৌঁছেছে


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১, ০৪:০০
দেশে পৃথক ফ্লাইটে সিনোফার্মের আরো ৩০ লাখ টিকা পৌঁছেছে

সংগৃহীত ছবি

চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে কেনা ৩০ লাখ করোনাভাইরাসের টিকা ঢাকায় এসেছে। বাংলাদেশ বিমানের তিনটি পৃথক ফ্লাইটে এই টিকা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ও আজ শুক্রবার ভোরে ঢাকায় আসে। বাংলাদেশ বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তিনটি পৃথক ফ্লাইটে মোট ৩০ লাখ সিনোফার্মের টিকা ঢাকায় এসেছে। টিকা নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকায় আসে গতকাল রাত সোয়া ১০টার দিকে। দ্বিতীয় ফ্লাইটটি আসে গতকাল দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে। আর তৃতীয় ফ্লাইটটি আসে আজ ভোররাতে।

তাহেরা খন্দকার জানান, বিমানের ফ্লাইটগুলো ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমানের পক্ষ থেকে সব ধরনের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সুবিধা প্রদান করা হয়।

গতকাল বাংলাদেশ বিমানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আনতে ২৯ জুলাই বিমানের অত্যাধুনিক তিনটি ড্রিমলাইনার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এগুলোর মধ্যে ছিল একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ও দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব টিকা দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুরক্ষানীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনা মহামারীকালে সাশ্রয়ী খরচে টিকা, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করছে বিমান।

এ নিয়ে তিনটি চালানে বাংলাদেশকে মোট ৭০ লাখ টিকা পাঠাল চীনের সিনোফার্ম। প্রথম দুই চালানের প্রতিটিতে ২০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা বেইজিং থেকে ঢাকায় আসে। চলতি জুলাইয়ের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে চারটি ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে এসব টিকা নিয়ে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকা সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীন। কেনার বাইরে বাংলাদেশকে দুই দফায় উপহার হিসেবে চীন সিনোফার্মের ১১ লাখ টিকা দিয়েছে। 

চীন গত মে মাসে সিনোফার্মের তৈরি ৫ লাখ উপহারের টিকা প্রথম বাংলাদেশে পাঠায়। চীনের দ্বিতীয় দফা উপহারের ছয় লাখ সিনোফার্মের টিকা দেশে আসে জুনে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - জাতীয়