ঢাকা বুধবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ ফেরুয়ারী, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহাল ও পুলিশ বাহিনীর গৌরব ফিরিয়ে আনা হোক


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১১ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ১০:৫১
চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহাল ও পুলিশ বাহিনীর গৌরব ফিরিয়ে আনা হোক

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের পতন ঘটেছে। এই দীর্ঘ সময়ে স্বৈরশাসক দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। অন্যায়ভাবে প্রায় ২২০০ পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করা। যার ফলশ্রুতিতে ভিকটিম পুলিশ সদস্যরা এবং তার পরিবাররা আজ জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।

এত বৃহৎ সংখ্যক পুলিশ সদস্য কিভাবে চাকুরিচ্যুত হলেন সেই বিষয়ে অনুষ্ঠানের মুখপাত্র তৌহিদ মন্ডল বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে অন্যায়ভাবে প্রায় ২২০০ পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর নিম্নপদস্থ কর্মচারীদের মনে চাকুরি হারানোর আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এরই ফলস্বরূপ জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে পুলিশ বাহিনীর কিছু সিনিয়র দানবদের অবৈধ আদেশ পালন করে চাকুরি বাচাতে অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও গণহত্যার মতো অপরাধ করতে বাধ্য হয়।

স্বৈরাচারী সরকারের আমলে পুলিশ বাহিনীর বেশিরভাগ সিনিয়র কর্মকর্তা পুলিশ বাহিনীকে ভয়ঙ্কর দানবে পরিণত করতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে চাকুরিচ্যুত করেছে।

বিভাগীয় মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে ন্যায় সঙ্গত কোনপ্রকার প্রসিডিউর অনুসরণ করেনি। তদন্তকারী কর্মকর্তা, তদন্ত, মিথ্যা স্বাক্ষ্য গ্রহন সহ সকল কিছুতেই তাদের পক্ষের একতরফা নীতি অনুসরন করেছে। তারা এমনভাবে মামলা সৃজন করেছে যেন, আদালত থেকেও কোনভাবে বিবাদী নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে না পারে।

বিজ্ঞ আদালত হতে ০১ রায়, ০২ রায়, ০৩ রায় পাওয়ার পরেও আমাদেরকে চাকুরিতে পূণর্বহাল করেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকা স্বত্ত্বেও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ও অন্যান্য অনুমোদনহীন হাসপাতাল থেকে ডোপ টেষ্টের মাধ্যমে নিরীহ পুলিশ সদস্যদেরকে চাকুরিচ্যুত করেছে। বেশিরভাগ চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ঐদিনই ঢাকা মেডিকেল ও পিজি হাসপাতাল থেকে ডোপ টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিলেও তা গ্রহ করেনি।

ডোপ টেষ্টে যারা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়েছে বা যারা স্বৈরাচারী সরকারের লোক ছিলেন তাদেরকে চাকুরিতে বহাল রেখেছেন। আর যারা টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে চাকুরিচ্যুত করেছেন।

যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে কমেন্ট করেছেন তাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করেছেন। বিগত স্বৈরাচারী দোসরদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কিছু পুলিশ সদস্য কে চাকুরিচ্যুত করতে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দিয়েছেন।
পুলিশ বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের পরিচিত লোকের মাধ্যমে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে অসংখ্য পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করেছেন।

২০০৭ সালে সাবেক আইজিপি জনাব নূর মোহাম্মদ স্যার বিভাগীয় মামলার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শাস্তি প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারী করেন কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের দোসরার আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ছোট-খাটো অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি চাকুরিচ্যুত করেছেন।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার অব. এম সাখাওয়াত হোসেন স্যার মানবিক বিবেচনায় সকল পুলিশ সদস্যকে পূনর্বহালের আদেশ প্রদান করার পরেও স্বৈরাচারী সরকারের নিয়োজিত দোসররা তা বাস্তবায়নে বাধা প্রদান করছেন।

অনেক পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করার পর যদি বিজ্ঞ আদালতে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে চায়। তা হলে গুম খুনের হুমকি দিয়েছেন। এসবের ভয়ে অনেক পুলিশ সদস্য আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেনি। অনেক পুলিশ সদস্যকে জোর পূর্বক অথবা স্বাক্ষর জাল করে চাকরি হতে স্বেচ্ছায় অবসর বা বাধ্যতামূলক গ্রহন করতে বাধ্য করেছে।

পুলিশ প্রধান পি আর বি ৮৮৪ প্রবিধান মতে সকল চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্যকে পুনর্বহালের ব্যবস্থা গ্রহন করার ক্ষমতা থাকিলেও বিগত স্বৈরাচারী দোসরদের বাধার কারনে তাহা প্রয়োগ হচ্ছে না।

আজকে যখন গণ-অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক পালিয়ে গেছে তখন পুলিশ বাহিনীও কিন্তু তার দোসর আমাদেরকে চাকুরিতে পুনর্বহাল করার কথা নিয়েও তালবাহানা করছে। আমরা বর্তমান সরকারের বিনীত আবেদন জানাচ্ছি | আমাদেরকে সকল সুযোগ-সুবিধা সহ চাকুরিতে পুনর্বহাল করা হোক এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে স্বৈরাচারী দোসরদের অপসারণ করা হোক।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গৌরব ফিরিয়ে আনুন এবং আমাদেরকে পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ দিন - এই হল ভিকটিম পুলিশ সদস্যদের আকল আবেদন।

তারা আরো বলেন, সরকার যদি ১৫২২ জনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে থাকে তাহলে এর আদেশ লিখিত এবং প্রজ্ঞাপন আকারে আমরা চাই। ভিকটিম পুলিশ সদস্যরা এবং তার পরিবারের সদস্যরা গত দুদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দারিদ্র্যের কষাঘাতে মৃত্যু যেন না হয়!


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৩
দারিদ্র্যের কষাঘাতে মৃত্যু যেন না হয়

ফাইল ছবি

কান্নাভেজা চোখে বসেছিল তখন সবাই। হ্যাঁ করোনা আছে। তাই বলে পেটের ক্ষুধা যে লক ডাউন মেনে চলতে পারেনা। রাজধানী ঢাকা শহরের কামরাঙ্গীর চর এলাকায় সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রম যারা করে তাদের মধ্যে রিকশাওয়ালাদের কথা না বললেই নয়। কেউ কেউ তো আবার সারাদিন রিক্সা চালানোর পরে রাতে যোগ দেয় ভিন্ন  কিছু শ্রমজীবীদের সাথে। গ্রামে বড় পরিবারের ঘানি টানতে টানতে হাড়-পাঁজর এক করা পরিশ্রম তাদের। 

সপ্তাহ জুড়ে লকডাউনে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন যেমন থেমে থাকেনি, প্রয়োজন অপ্রয়োজনে অনেকেরই বাইরে যাওয়া ও থেমে থাকেনি। কিন্তু আর যাই হোক তিন বেলা খাবারের নিশ্চয়তা তো ছিল। যখন পেটের দায়ে করোনা মহামারীর এত বাজে অবস্থা কে তুচ্ছ করেই ঘর থেকে বের হতে হলো অমান্য করতে হলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা, তখন তা অবশ্যই ছোট কোনো বিষয় নয়!

ঘরে স্ত্রী সন্তান যখন ক্ষুধায় কাতর তখন কাজ না করে কি করে বসে থাকা যায় ঘরে? এমন আরও অনেক অভিব্যক্তি নিয়েই রোজের টাকা আনতে বের হতে হয় ঘর থেকে। পুলিশি তৎপরতা এবং জরিমানার ভয় তো আছেই। কিন্তু পেট তো তা মানে না।

অন্তত তিন, চারটে ক্ষেপ চাই। একশ টাকা রিকাশার জমা, একশ টাকা থাকার খরচ আর একশ টাকা কিছু খাবারের জন্য হলেও।

পড়াশোনা না থাকায় বাচ্চা কাচ্চাদের মাস শেষে পাঁচশ টাকার চিন্তা টা না হয় নাই-বা করলাম। সামনে ঈদ বাড়িতে বাবা-মায়ের জন্য কিছুতো পাঠাতে হবে। গত বছরে না বাড়িতেই ছিলাম সবাই দেখেছে কাজ নাই, টাকা নাই, তবু  ঈদ চলে গেছে।কিন্তু এবার আশায় আছে সবাই।

একথা ভাবতেই কান্না করছিলেন তারা। অপেক্ষা ছিলো সার্জন যদি একটু মায়া করে রিকশাটা ছেড়ে দেয় অন্তত আজকের খাবারের  টাকাটা জোগাড় করার সুযোগ হতো।
জরিমানা দেওয়ার পয়সা তো নেই। সে কথা বলে লাভও নেই। লাঠির বারি চারটা দিলেও চলবে। কিন্তু খাবার ছাড়া যে ঘরে যাওয়া যাবে না।

চোখের সামনেই রিকশাটা উল্টো করে রেখে বসে আছেন তারা। হ্যাঁ সব রিকশাই যে ধরছে এমন না। যারা বসে আছে তারা কপাল চাপড়ে ভাবছে কি দেখে ঘর থেকে বের হয়েছি আজ।
অপেক্ষার প্রহর যেন দীর্ঘ হয়। বেলা ৯ টা থেকে আটকে আছে। সময় যেন পার হচ্ছে না কোনোভাবেই। সেহেরীতে পান্তা ভাতের আয়োজন হলেও চলবে। রোজার মাস সারাদিন না খেয়ে চালিয়ে দিলেও সন্ধ্যায় ইফতার আয়োজন করতে না পারলে বাচ্চা গুলোর চোখের দিকে তাকানো যায় না।

গত বছরের লুঙ্গিগুলো এ বছর পরা যাছে না। নতুন শাড়ী দিতে না পারলেও অন্তত একটা বোরখা কিনে যে দিতেই হবে। বাচ্চার জন্য একটা নতুন জামা আর নামাজ পড়ার জন্য একটু আয়োজন।

এরকম হাজারো স্বপ্ন আর ভাবনাগুলো যেন চোখের সামনে মাটি চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া উপায় নাই। তবে কি দরিদ্রের ঘরে জন্ম নেওয়া পাপের ফল এটা?

এ লক ডাউন যদি ঈদ অবধি চলে কেমন করে কি হবে? এসব ভাবনা বাদ দিয়েই বার বার সার্জন এর কাছে গিয়ে চলছে আকুতি মিনতি।

অবশেষে বেলা ১২ টার ঠিক কিছু আগে যখন ছাড়া হলো যেন কান্না চোখের একটুখানি স্বস্তি এলো। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে একটুখানি পেটের চাহিদা মেটাবার চেষ্টা করার জন্য আবার নামলো রাস্তায়।

ত্রাণের অপেক্ষায় যদিও মনে কিছুটা ভরসা আসে, তবে পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কাও জাগে মনে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জমিজমা বিরোধে চাচা-ভাতিজা নিহত


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২১, ১১:১৫
জমিজমা বিরোধে চাচা-ভাতিজা নিহত

প্রতিকী ছবি

সুনামগঞ্জের ডংরিয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে চাচা-ভাতিজা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-ওই গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে আব্দুল তাহিদ (৬২) ও তার ভাতিজা রাফিদ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৪২)। গ্রামে উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে আব্দুল তাহিদের সঙ্গে রিপন মিয়ার পরিবারে বিরোধ ছিল। এই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে চাচা-ভাতিজার পরিবারের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারি ও ধাওয়া-পালটা শুরু হয়। এক পর্যায়ে গুরুতর আহত আব্দুল তাহিদ ও রিপন মিয়াকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি মুক্তাদীর আহমদ জানান, দুই পরিবারের আত্বীয়-স্বজনদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করায় গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সম্পদ নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে সংঘর্ষে চাচা-ভাতিজা নিহত হন বলে তিনি জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - অন্যান্য