দেশের শিল্প খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৪৮ ব্যক্তিকে ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে (সিআইপি-শিল্প) নির্বাচিত করেছে সরকার। ২০১৭ সালের জন্য মনোনীত এসব সিআইপিরা এক বছরের জন্য পরিচয়পত্র পাবেন, যা দিয়ে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ২০ নভেম্বর রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সিআইপি সম্মাননা দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের ৬ জনসহ আটটি ক্যাটাগরিতে ৪২ জন সিআইপি সম্মাননা পাবেন। ২০১৭ সালের জন্য মনোনীত এসব সিআইপি এক বছরের জন্য পরিচয়পত্র পাবেন, যা দিয়ে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন।
জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদ (এনসিআইডি) ক্যাটাগরিতে সিআইপি (শিল্প) নির্বাচিত হয়েছেন ৬ জন, বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন) খাতে সিআইপি হয়েছেন ১৫ জন, বৃহৎ শিল্প (সেবা) খাতের ৫ জন, মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) খাতে ৯ জন, মাঝারি শিল্প (সেবা) খাতের ৩ জন, ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন) খাতের ৫ জন, ক্ষুদ্র শিল্প (সেবা) খাতের ১ জন, মাইক্রো শিল্প খাতে ২ জন এবং কুটির শিল্প খাতে ২ জন সিআইপি (শিল্প) নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচিত সিআইপিরা কার্ড পাওয়ার পর থেকে এক বছরের জন্য ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের অগ্রাধিকার পাবেন। সহজে ভিসা পাওয়ার জন্য তাদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা এবং সচিবালয়ে প্রবেশের পাস পাবেন তারা।
এছাড়া, সরকারি হাসপাতালে স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসা সেবা গ্রহণে অগ্রাধিকার পাবেন। সরকার শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কোনো কমিটিতে সিআইপিদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
বিদেশে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠকের সুযোগ পাবেন সরকারি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে।
৮৫ বছরের বয়োবৃদ্ধা ১৫ সন্তানের জননী জোহরা বিবি ৩৬ বছর যাবৎ ভাত না খেয়েই বেঁচে আছেন। সাতক্ষীরা জেলা শহরতলী কুখরালী গ্রামের ওই বৃদ্ধা এখনো দিব্যি সুস্থ রয়েছেন। ভাত না খাওয়ার বিষয়ে জোহারা বিবি বলেন, ‘আমার আব্বা মান্দার মোড়ল ভারতের বশিরহাট থানার মেজ দারোগা ছিল।
সাকচুড়া আমাদের গ্রামের নাম। ছোট বেলায় আব্বা আমারে মোড়ল পরিবারে বিয়ে দেয়। আমার বয়স যখন তের বছর তখন আমার বড় ছেলের জন্ম হয়। বড় ছেলের বয়স এখন ৭১ বছর। আল্লাহ আমার ১৫ জন সন্তান দিয়েছে। আমার দুই জন ছেলে ও তিন জন মেয়ে মারা গেছে। আল্লাহর রহমতে ১০ জন সন্তান জীবিত আছে, সাত জন ছেলে ও তিন জন মেয়ে।’
জোহারা বিবি আরো বলেন, ‘আমার ছোট ছেলের জন্মের দুই তিন বছর পর আমার পেটে অনেক ব্যথা যন্ত্রণা হত। ছেলেরা বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পেট কাটতে হবে জানায়। কিন্তু আমি তো পেট কাটবো না। পেটের যন্ত্রণায় আমার খাওয়া কমে যায়। তখন আমি শাকসবজি, তরিতরকারি আর মুড়ি খেতাম। এর পর থেকে আমার পেটের যন্ত্রণা ধীরে ধীরে কমে যায়।’
‘এরপর থেকে আমি আর কখনো ভাত খায়নি। এখন সকালে বিস্কুট আর চা, দুপুরে মুড়ি ভিজিয়ে তরিতরকারি দিয়ে খায়, কখন কখন অল্প মাছ ও মাংস খাই, আর রাতে বিস্কুট আর চা খাই। আমি চশমা ছাড়া কোরআন শরিফ পড়তে পারি, তবে চশমা পড়লে ভাল হয়। শরিল (শরীর) আর আগের মত নেই, আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে, বয়স হচ্ছে তো’- বলেও উল্লেখ করেন জোহারা বিবি।
এ বিষয়ে জোহরা বিবির বড় ছেলে নুর ইসলাম মোড়ল জানান, মার ছোট বেলা থেকে পেটে একটু ব্যথা যন্ত্রণা ছিল। ১৯৮৩-৮৪ সালের দিকে পেটের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেলে আমরা মাকে ডাক্তারের কাছে নিলে ডাক্তার জানায় টিউমার হয়েছে অপারেশন করতে হবে। কিন্তু মা অপারেশন করবে না। ডাক্তারের ওষুধ খায় আর মা ভাত খাওয়া বাদ দেয় এতে মার পেটের যন্ত্রণা ধীরে ধীরে কমে যায়।
নুর ইসলাম মোড়লে বলেন, ‘১৯৮৫ সালের পর থেকে মা আর ভাত খায়নি। মা ভাত না খাওয়ায় প্রথমে আমরা অনেক চিন্তিত ছিলাম কিন্তু মা সুস্থ থাকায় আমাদের চিন্তা দূর হয়। তারপর থেকে মা যা খেতে চায় তা খাওয়ানোর চেষ্টা করি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি মা সুস্থ থেকে বাকী জীবন পার করতে পারে।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং তা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই পৌরসভাগুলো হলো— যশোর ও ঠাকুরগাঁও সদর এবং মাদারীপুরের কালকিনি ও চাঁপাইনাবগঞ্জের শিবগঞ্জ। এই চার পৌরসভার দুটি সাধারণ ও বাকি দুটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হচ্ছে।
গত বছর করোনা সংক্রমণের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।
আজ যশোর সদর পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দের পর বিএনপি প্রার্থী মারুফুল ইসলাম সরে দাঁড়ালেও ব্যালটে ধানের শীষের প্রতীক থাকছে। ফলে মেয়র পদে তিন প্রার্থী লড়ছেন। তবে অনেকটা ফাঁকা মাঠেই গোল দেওয়ার অবস্থা নৌকার প্রার্থী হায়দার গণি খান পলাশের।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে মাঠে আছেন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রতীকের মোহাম্মদ আলী। এখানে ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে। ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার ঘিরে সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। এর পরের নির্বাচনগুলোর বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
সোমবার করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। এর পর পরই সিইসির নেতৃত্বে কমিশনের এক অনির্ধারিত বৈঠক হয়।
দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছানোয় ১৮ দফা নির্দেশনা নিয়ে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, আজকের ভোট স্থগিত নিয়েও আলোচনা হয়। তবে ব্যালট পেপার ছাপাসহ অন্য সব কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ হওয়ায় এবং নির্বাচনের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত বছর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরবর্তী ৯০ দিনে করেছে ইসি। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নভেম্বর থেকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু হয়।
১১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন, প্রথম ধাপের ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এবং ষষ্ঠ ধাপের ১১টি পৌরসভাসহ আরও কয়েকটি নির্বাচন স্থগিত হতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার কমিশনসভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।