ঢাকায় ২৭ জুলাই মহাসমাবেশ করার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বিএনপি। নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই মহাসমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে আজ সোমবার চিঠি দেয় বিএনপি। নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান—যেকোনো একটি স্থানে দলটি মহাসমাবেশ করতে চায় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপির সমাবেশের আবেদনের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ।
ইতিপূর্বে ১২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ১৮ ও ১৯ জুলাই গাবতলী থেকে রায় সাহেব বাজার ও আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করেছে দলটি।
এছাড়া ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করেছে বিএনপি। সূত্র: প্রথম আলো
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আজ ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ধারা জারি করা হয়েছে। গতকাল সংঘর্ষের ঘটনায় রাত থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মীর জাহিদুল হক।
এদিকে সকাল থেকে বসুরহাট বাজার সংলগ্ন এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাজারে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাব-পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর। এর আগেও গত ২২ ফেব্রুয়ারি বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ধারা জারি করা হয়েছিল দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীর কারণে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের গোলাগুলিতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ঘোষণা করার কারণে আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশংকায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দলীয় নেতা নূরে আলম ও আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে বিএনপির যে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে তা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চাল-ডাল-তেলসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভোলায় আমাদের ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আমরা সারাদেশের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছি। এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সারাদেশের জনগণের মধ্যে একটি অভূতপূর্ব সারা সৃষ্টি করেছে। ভয়াবহ, কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী, অত্যাচারী, নির্যাতনকারী সরকারের দুঃশাসনের ফলে সমগ্র দেশের মানুষ যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তারই প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমে এসেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে মানুষ বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হচ্ছে এই সরকারের বিরুদ্ধে। এতে সম্পূর্ণভাবে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী চরিত্র আরও একবার উদ্ভাসিত হয়েছে। আমি সব সময় বলি, আওয়ামী লীগের বডি ক্যামিস্ট্রির মধ্যেই সন্ত্রাস আছে। রাজনৈতিকভাবে তারা দেউলিয়া হয়ে বলপ্রয়োগ ছাড়া তাদের টিকে থাকার আর কোনো শক্তি নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে প্রতিবাদ কর্মসূচি সেটা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। যেসব থানা উপজেলায় কর্মসূচি হয়নি সেগুলোতে হবে। এরমধ্যে আগামী ৩০ আগস্ট সারাদেশে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে সারাদেশে আন্তর্জাতিক দিবস পালন করবো। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে পালন করবো।
অন্যদিকে ১ সেপ্টেম্বর আমাদের (বিএনপির) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সারাদেশে পালিত হবে। এ উপলক্ষে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আলোচনা সভা হবে। ১০ সেপ্টেম্বরের পরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন