আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান এক বক্তব্যে বলেছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. একে আবদুল মোমেন দলের কেউ নন। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট আওয়ামী লীগের ২ ইউনিটে সম্মানিত সদস্য এবং উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।
জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বর্তমানে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি।’
এরপর রাজনৈতিক অঙ্গনে- এমনকি খোদ আওয়ামী লীগে এ বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন- ‘ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। যিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এ কথা বলেছেন, তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। এটা আমাদের সরকার বা দলের বক্তব্য নয়।’
এ বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুর রহমান শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে এক আলোচনা সভায় বলেন- ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেউ নন। সুতরাং তার বক্তব্যে দলের বিব্রত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সুচিকিৎসা খালেদা জিয়ার নাগরিক অধিকার মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। সুচিকিৎসা তার ( খালেদা জিয়া ) নাগরিক অধিকার, মৌলিক অধিকার।
আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কৃষকদল আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, যে ব্যক্তির সুস্থতা কামনায় আজ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে সেই মহান ব্যক্তিটি আমাদের ছাত্র জীবন থেকে প্রেরণা যুগিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করতে হয়, দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে কীভাবে দেশকে পরিচালনা করতে হয়, সে অদম্য দৃষ্টান্ত তিনি দেখিয়েছেন। তার নাম দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। অসুস্থ থাকার পরও দেশের মানুষের প্রতি যার প্রতিশ্রুতি অঙ্গীকার থেকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে কৃষকদলের সহ-সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম-সম্পাদক টি এস আইয়ুব, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাত খুলনায় সোনালী ব্যাংকে।
খুলনা সোনালী ব্যাংকে করপোরেট শাখার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ৩ জনের নামে দুদকে’র মামলা দায়ের হয়েছে। স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সালাউদ্দিন ও ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদারসহ তিনজনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মো. শাওন মিয়া খুলনার উপ-পরিচালক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মো. সালাউদ্দিন স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খুলনা সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখা হতে প্লেজ ১৭ কোটি এবং হাইপো দেড় কোটি টাকাসহ মোট ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। জামানত ছিল গোডাউনে রক্ষিত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি এই ঋণের বিপরীতে। ব্যাংকের পক্ষ হতে গোডাউনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও সাপোর্টিং স্টাফ আব্দুর রহিম বাবু (গ্রেড : ২) ছিলেন। স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. সালাউদ্দিন ব্যাংকের গোডাউন কিপারের যোগসাজসে ২০১৭ সালের ১৫জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। গভীর রাতে গোডাউন খুলে চিংড়ি পাচারকালে ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) পুলিশের সহায়তায় গোপনে চিংড়ি বিক্রির প্রমাণ পান। এতে তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দুদকের এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে মো. আব্দুর রহিম বাবু ব্যাংকের সিবিএ নেতা হওয়াই তখনকার ডিজিএমকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাপনা না নেয়ার জন্য হুমকি দেন। ব্যাংকের ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ সিবিএ নেতাদের চাপে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘটনার তদন্ত শুরু করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়াই স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মো. সালাউদ্দিন, ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার এবং ব্যাংকের স্টাফ আব্দুর রহিম বাবুসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার ডিজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম মামলার কথা স্বীকার করে জানান, গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার সাময়িক বরখাস্ত আছেন। এছাড়া মামলার কপি পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২০ কোটি টাকার মামলা দায়ের করা হয়েছে ঋণ খেলাপির। খুলনা দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমানও মামলা সত্যতা স্বীকার করেছেন।