শনিবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জরুরি যৌথসভায় কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক। আজ রোববার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিটি থানা ওয়ার্ডসহ সারা দেশে প্রতিটি থানা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী অর্থাৎ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মাঠে থাকবেন দলটির নেতাকর্মীরা।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জরুরি যৌথসভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিষ্কার বলতে চাই- বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস আবার শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী চুপ করে থাকতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করব। নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব। অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধ করব।
তিনি বলেন, এটাই তারা (বিএনপি) করতে চেয়েছিল গতকাল (শুক্রবার)। কিন্তু আমাদের শক্ত অবস্থানের কারণে কিছু করতে পারেনি।
এ সময় শুক্রবার যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) গণজাগরণের ঢেউ প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক জিয়া প্রতিনিয়ত আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করছে। প্রতিনিয়ত আদালত অবমাননা করছে। সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্টকে গালিগালাজ করছে। কালকে (শুক্রবার) তো তারেক এমনো বলেছে- একটা লাশ পরলে দশটা লাশ পড়বে! লাশ ছাড়া সে কথা বলে না! টাকা ছাড়া সে কথা বলে না! প্রকাশ্যে বলে- আন্দোলন করো, টাকার অভাব হবে না! তারেক কি আইনের ঊর্ধ্বে? তাদের কথা শুনলে মনে হয়, তারা আইন মানে না। আইন নিয়ে কটাক্ষ করে।’
তিনি বলেন, আজকে তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত করে চারটি বাসে আগুন দেয়। সেখানে থাকা পুলিশ ভ্যানে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে। আরও গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। মোট সাতটি বাসে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। জরুরি সভায় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ গ্রহণ করেন। সূত্র: যুগান্তর
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) এমপি বলেছেন, অত্যন্ত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং সামনের দিকে আরো অনেক খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটা আমার আশঙ্কা। যদি না হয় আমি খুশি হব। আমি আশঙ্কা করছি, দেশের মানুষ একটা আগ্নেয়গিরি জ্বালা বুকের মধ্যে নিয়ে বসে আছে। বাংলাদেশ এখন শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটছে। গোজামিল দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। বাস্তবে দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে।
জি এম কাদের শনিবার (১১ মার্চ) বিকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে জাপা চেয়ারম্যান আরো বলেন, দেশে এমন অনেক আইন করা হয়েছে, মুখ খুলে কথা বললে দেশদ্রোহী হয়ে যাবেন। এখন আর মনের কথা বলা যায় না। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে এটা দেশের বিরুদ্ধে চলে যাবে এবং দেশদ্রোহী মামলা হয়। একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে পারি—মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, দেশে এখন সবচেয়ে বেশি বৈষম্য হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ছিল জনগণের মালিকানাধীন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আজকে বর্তমান সরকারের দল আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে নিজেদের মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে। কিন্তু আমি পক্ষে-বিপক্ষে বলব না। বললে তো কালকে আবার ফাঁসিতে নিয়ে যেতে পারে। দেশের একটি শ্রেণির মানুষ সরকারি দল করে তারা বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। তারা লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে দেশের বাইরে পাচার করছে। বেশির ভাগ মানুষকে চাকরি-বাকরি ও আইনি সহায়তাসহ সবক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ফেলা হচ্ছে। তারা দরিদ্র থেকে দরিদ্র হচ্ছে।
সম্মেলনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির নতুন কমিটিতে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কবির মোহনকে সাধারণ সম্পাদক এবং সিনিয়র সহসভাপতি পদে হুমায়ুন কবির মুন্সীর নাম ঘোষণা করা হয়। এদিকে দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে দুপুরের পর থেকে জাতীয় পার্টির কুমিল্লা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে মুখরিত হয় টাউন হল মাঠ। সূত্র:ইত্তেফাক
আমার সারাবেলা
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেকটা দুর ।
বাপের বাড়ির গোত্র ঝেড়ে- মুছে
এই তো সেদিন সবে বিয়ের পিড়িতে বসা হলো...
দিন যেতে না যেতেই তিন তিনটে ছানাপোনা।
হেঁসেল আর ছানাপোনাদের স্কুল কলেজের
গন্ডি পেরোতেই পঞ্চাশটা বছর কেটে গেলো
জীবন থেকে।
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেকটা দুর...!
একাকিত্ব কাটাতে ঘরে আমদানি হলো পোষ্য..
নাম কুকি --- আমার সারাবেলার সঙ্গী !
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেকটা দুর...
সংসারে মেয়েদের আবার অবসর কি !!?
রান্না - বান্না ঘরকন্যা
সংসারে মেয়েদের অবসরে যেতে নেই !
সকালের সূর্যোদয়ে গনগনে গরম উনুন আর
রাতের হেঁসেল গুছানো.. এ আর এমন কি কাজ !
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেক দুর...!
হঠাৎই হয়তো ডাক পড়বে, ফুরাবে সব পুতুলখেলা !
চন্দন কাঠের গন্ধে না হয় গায়ে মাখবো আগুনখেলা !!
সেদিন আমি, সত্যি সত্যি ই ! অবসরে যাবো...
এপারের খেলা শেষে ওপারের নৌকায় উঠবো ।।