আজ সাংবদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, হেনস্তাকারীদের গ্রেপ্তার ও কালো আইন বাতিলের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে গণফোরামের মুখপাত্র সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীসহ অন্যান্য বক্তারা বক্তব্য রাখেন।
জননেতা সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট মহসীন রশিদ, এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মেজর (অবঃ) আসাদুজ্জামান বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, লতিফুল বারী হামিম, রওশন ইয়াজদানি, মোকলেসুর রহমান বাবুল, এডভোকেট মাহবুবুর রহমান, যুব নেতা মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ছাত্রনেতা সানজীদ রহমান শুভ, কামাল উদ্দিন সুমন।
জননেতা সুব্রত চৌধুরী বলেন, রোজিনা ইসলাম একজন সনামধন্য পেশাদার সাংবাদিক। তাকে হেনস্তা ও কারাবন্ধী করার মধ্য দিয়ে সরকার সাংবাদিক ও প্রতিবাদী মুখ বন্ধ করার চক্রান্ত করছে। জবাবদীহিহীন আমলা নির্ভর এ সরকারের স্বাস্থ্য, আইসিটি, অর্থ, শিক্ষা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়সহ সকল জায়গায় লাগামহীন দুর্নীতির চিত্র সংবাদপত্র ও গনমাধ্যমে ভেসে উঠছে। দুর্নীতির তদন্ত হয় না। দেশের সম্পদ লুন্ঠন ও ভাগাভাগি হচ্ছে। অনতিবিলম্বে দুর্নীতিবাজ আমলা ও তার সহযোগী রাজনিতীবিদ আশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।
এডভোকেট মহসিন রশিদ বলেন, বিচার ব্যাবস্থাকে কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। রোজিনার জামিন না দিয়ে তাকে জেলখানায় হেনস্তা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। মন্ত্রিরা বলে বেড়াচ্ছেন রোজিনা সুষ্ঠু বিচার পাবে। কিন্তু আমরা শুনেছি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাংবাদিক রোজিনাকে থানা ও জেল হাজতে চিহ্নিত দাগী কুখ্যাত আসামীদের সাথে রেখে তার সাথে অমাননিবক আচরণ করা হচ্ছে। বিচারককে প্রভাবিত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার কন্ঠরোধ করার চক্রান্ত চলছে। রোজিনার মুক্তির দাবীতে সাংবাদিকদের সর্বাত্বক আন্দোলনের প্রতি আমরা সমর্থন জানাই। এ ঐক্য ভাঙ্গার নানারকম চক্রান্ত চলছে। সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি। করোনাকালে লক্ষ কোটি টাকা প্রনোদনা দেওয়া হলেও সাংবাদিকদের নামমাত্র দশ কোটি টাকা প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। যা হাজার হাজার সাংবাদিকদের সাথে তামাশা করার সামিল।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু মারা গেছেন।
শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন।
তিনি জানান, ‘চিকিৎসকরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছেন। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছে না এখনও তার মরদেহ এখন হাসপাতালেই রাখা আছে। জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈঠকে বসবেন। এরপর তারা জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা বাবুল দুই দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
মায়ামির হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে জোড়া গোলের পাশাপাশি করলেন এক অ্যাসিস্টও। এতে করে লিগস কাপে প্রতিপক্ষ আটলান্টা ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিয়েছে ইন্টার মায়ামি। সেই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল তারা।
বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। মায়ামির হয়ে জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি ও রবার্ট টেলর। ম্যাচের শেষ দিকে মায়ামির ক্রিস্টফার ম্যাকভি লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ৮৪ মিনিটের সময় আটলান্টা একটি পেনাল্টি পেলেও সেখান থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টাইন থিয়াগো আলমাদা।
ম্যাচে জোড়া গোলের সুবাদে ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার মেসি ক্যারিয়ারে ৭০০-এর বেশি পেনাল্টি ছাড়া গোল করলেন। তার ক্যারিয়ারে গোল সংখ্যা এখন ৮১০টি। ইন্টার মায়ামির হয়ে ৩টি, পিএসজির হয়ে ৩২, আর্জেন্টিনার হয়ে ১০৩ ও বার্সেলোনার হয়ে ৬৭২টি গোল।
অভিষেক ম্যাচে ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে বদলি হয়ে মাঠে নামেন মেসি। তবে আটলান্টার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে মেসির কাঁধে ক্লাবের অধিনায়কত্ব তুলে দেন কোচ টাটা মার্টিনো।
এতে করে দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুর একাদশেই ছিলেন মেসি। শুরু একাদশে ছিলেন আগের ম্যাচে বদলি নামা অভিজ্ঞ সার্জিও বুসকেটসও।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই ইন্টার মায়ামিকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। মাঝমাঠ থেকে বুসকেটসের বাড়ানো বল ধরে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন মেসি। এটি ছিল মায়ামির হয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোল। গোল পেয়ে খেলার ধার আরও বেড়ে যায় মায়ামির। মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে আটলান্টার রক্ষণকে। যার ফল ম্যাচের ২২ মিনিটে ধরা দেয়। মাঝমাঠ থেকে বল টেনে বাঁ দিক দিয়ে ফাঁকায় থাকা রবার্ট টেলরকে পাস দেন মেসি। টেলর প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকে ব্যাকপাসে মেসিকে দিলে সেখান থেকে দলের লিড দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক মেসি। সূত্র: যুগান্তর