জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সারাদেশে গোয়েন্দা নিয়োগের মাধ্যমে দেশের সবাইকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে দেশ জেলখানায় পরিণত হচ্ছে। দেশে শান্তি নিয়ে আসতে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার।
তিনি বলেন, দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। চলছে এক ধরনের বৈষম্য। প্রশাসন শাসক গোষ্ঠীর লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বৈষম্য তৈরি করে দেশকে শাসন এবং শোষণ করছে শাসক শ্রেণি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে দলটির এক বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আজ মানুষ শাসক শ্রেণির দাসে পরিণত হয়েছে। মানুষের রাজনৈতিক কোন অধিকার নেই।
সারাদেশে এখন দুর্নীতি চলছে অভিযোগ করে জিএম কাদের বলেন, দুর্নীতি এখন রন্ধ্রে রন্ধ্রে। গ্রাম-গঞ্জ আজ মাদকে সয়লাব। সরকার দেশের অর্থনীতি নষ্ট করেছে। ক্ষমতাসীন সরকার ইতিহাস বিকৃত করেছে। সেই সঙ্গে সংস্কৃতি নস্যাৎ করেছে। সরকারের লোকজন লাভের জন্য পরিবেশ নষ্ট করছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ চারজনের জামিন আবেদনের শুনানি হবে আজ।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্য দুজন হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে পুলিশ রাজধানীর বাসা থেকে আটক করে। পরদিন আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ওইদিন নয়াপল্টন কার্যালয় দলটির সিনিয়র কয়েকজ নেতাসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়।
পরদিন ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে উত্তরার বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং শাহজাহানপুরের বাসা থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। ডিবি গত শুক্রবার দুপুরে তাদের গ্রেফতার দেখায়। সূত্র: ইত্তেফাক
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সেনাদের প্রত্যাহার শুরুর পর হামলা বাড়িয়েছে স্বশস্ত্র সংগঠন তালেবান। এমন পরিস্থিতিতে আজ শনিবার (১৭ জুলাই) তালেবান ও আফগানিস্তান সরকারের প্রতিনিধিরা কাতারের রাজধানীর দোহায় বৈঠকে বসছেন।
জানা যায়, বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যে কাতার গেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, সরকারের সাবেক প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। এছাড়া আফগানিস্তান সরকারের ওই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন নাজিয়া আনওয়ারি। প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
নাজিয়া আনওয়ারি জানান, কাতারে দুই পক্ষের আলোচনা হবে। আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করাই মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি, খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে এর মধ্য দিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি আসবে। দুই পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে।