ঢাকা রবিবার, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৯ মার্চ, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে


কর্নেল(অব.) আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ১১:১২
সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে

ছবি সংগৃহীত

 

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার অনেক পুরনো কৌশল। সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থকে উপেক্ষা করে। এটি ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন ঘটে, তেমনই জাতীয় জীবনেও দেখা যায়।  

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বিএনপির সাত্তার সরকার যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন জেনারেল এরশাদ সেই সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেন এবং তার শাসনামলে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তিনি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কিছু কাজ করেছিলেন, কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে উপেক্ষা করেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।  

২০০৭ সালে, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান ড. ইয়ারুদ্দিনকে সরিয়ে জেনারেল মইনউদ্দিন ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সেই সময়ের সামরিক বাহিনীর এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা তাকে বঙ্গভবনে প্রবেশে সহায়তা করেন, যিনি এখন নির্দোষ হওয়ার ভান করছেন। এটি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ ষড়যন্ত্র ছিল, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।  

ব্যক্তিগত স্বার্থে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে জেনারেল মইনউদ্দিন ইতিহাসের দ্বিতীয় মীরজাফর হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত মীরজাফরের মতোই তার পরিণতি ঘটে এবং ভারতের নির্দেশে তিনি ক্ষমতা আওয়ামী লীগের হাতে তুলে দেন।  

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মাত্র দুই মাস পর, বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন—এমন হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।  

যে জেনারেল তার অধীনস্থ অফিসারদের জীবন রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরের মতোই নিষ্ক্রিয় থাকেন। বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রে দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় শুধু ক্ষমতা হারায়নি বরং প্রায় দুই শতাব্দী ব্রিটিশ শাসনের অধীনে দাসত্ব করতে বাধ্য হয়েছে।  

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর শত বছরের সংগ্রামে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়।  

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসেও আমরা একের পর এক বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আজও সেই ষড়যন্ত্র চলছে, আমাদের স্থায়ীভাবে দুর্বল করে রাখার জন্য। তবে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব আমাদের সামনে পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। কিন্তু এখনো সেই পরিবর্তনের যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।  

বিপ্লবী নেতৃত্বকে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং ক্ষমতার জন্য অস্থির হওয়া উচিত নয়। জনগণ সবসময় তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।  

ড. ইউনুসের নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা থাকলেও, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি না হওয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় তারা হতাশ।  

এদিকে, দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আলাদা পথে এগোনোর চেষ্টা করছে, যা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। যখন জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন, তখন তাদের এই বিভক্তি শত্রুদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।  

সম্প্রতি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান 'শহীদ সেনা দিবস'-এ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সামনে রাজনৈতিক সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের বিবাদ বন্ধ না করলে এবং দায়িত্বশীল না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।  

তবে তার বক্তব্য নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, তিনি কোনো বিশেষ শক্তির ইঙ্গিতে কাজ করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, তার ও ড. ইউনুসের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।  

তবুও, আমরা এখনো তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে চাই এবং বিশ্বাস করি যে, তিনি দেশের ও জনগণের স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

 

লেখক: রাজনৈতিক কলাম লেখক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিএনপির পদযাত্রা শুরু গাবতলী থেকে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩, ১২:০৯
বিএনপির পদযাত্রা শুরু গাবতলী থেকে

ফাইল ছবি

সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে গাবতলী থেকে রায়সাহেব বাজার মোড়ের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেন।

এতে অংশ নিয়েছেন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী। পোস্টার ফেস্টুন ছেয়ে গেছে গাবতলী-মিরপুর এলাকা। এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র উদ্যোগে  গাবতলী থেকে পদযাত্রাটি  মিরপুর-১, ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, কাওরান বাজার, এফডিসি হয়ে মগবাজার প্রবেশ করবে। মগবাজার এলাকায় যুক্ত হবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। পরে দলটির নেতাকর্মীরা পদযাত্রা নিয়ে মালিবাগ, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, শাপলা চত্বরের দিকে যাবে। ইত্তেফাক মোড়, দয়াগঞ্জ হয়ে বিকাল ৪টায় রায়সাহেব বাজার মোড়ে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ দেশের সকল মহানগর ও জেলা পর্যায়েও পদযাত্রা শুরু করেছে  বিএনপি। সরজমিনে দেখা যায়, পদযাত্রায় অংশ নিতে সকাল ৮টা থেকে গাবতলী এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। এই এলাকায় নেতাকর্মীদের পদচারণায় লোকারণ্য হয়ে উঠে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা পদযাত্রায় যোগদান করেন।

ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মীর পদযাত্রায় যোগ দেন। এ সময় তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন। এ ছাড়া নেতাকর্মীরা মাথায় বিভিন্ন রঙের ক্যাপ এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।

ওদিকে পদযাত্রাকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে কঠোর অবস্থান রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। সাদা পোশাকেও  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

পদযাত্রায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. মঈন খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবেদিন ফারুক, আমিনুল হক, মীর সরফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুল কাদের ভূ্ইয়া জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত আছেন। সূত্র: যুগান্তর

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিএনপির রোডমার্চ শুরু ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে


স্বাস্থ্যডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৩, ০১:০২
বিএনপির রোডমার্চ শুরু ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে

ফাইল ছবি

সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবি আদায়ে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করেছে বিএনপি।

রোববার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে উদ্বোধনী সমাবেশের পর রোডমার্চ শুরু হয়।

ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জে ১১৪ কিলোমিটার পথে ময়মনসিংহের চুরখাই বাজার, সম্ভুগঞ্জ চায়না মোড়,  ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ উত্তরসহ কয়েকটি স্থানে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। পরে কিশোরগঞ্জের লতিফাবাদ চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন ময়দানে সমাপনী সমাবেশের মাধ্যমে রোডমার্চ শেষ হবে।

রোডমার্চে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান। উদ্বোধনী সমাবেশে তারা বক্তব্য প্রদান করেন। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - রাজনীতি