চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে আগামী ১২ বা ১৩ মার্চ। তবে রমজান শুরুর সময় ১২ মার্চ ধরে ঢাকার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৪৪৫ হিজরির রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের এ সময়সূচি চূড়ান্ত করে।
সময়সূচি অনুযায়ী, ১২ মার্চ প্রথম রমজানে ঢাকায় সেহরির শেষ সময় ভোররাত ৪টা ৫১ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬টা ১০ মিনিট।
সময়সূচিতে বলা হয়েছে, ১ রমজান চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। সেহরির সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকে তিন মিনিট আগে ধরা হয়েছে এবং ফজরের ওয়াক্ত শুরু সুবহে সাদিকের তিন মিনিট পরে রাখা হয়েছে। সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলকভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ৯ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সেহরি ও ইফতার করবেন বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানা গেছে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগ ও জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে। সূত্র: যুগান্তর
আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অন্যতম দিক হলো তার প্রতিটি আদেশ-নির্দেশের ওপর বিশ্বাস করা যে, মহান আল্লাহ সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি মহাশক্তির অধিকারী। তাঁর ওপর কেউ বিজয়ী হতে পারে না। আকাশ ও পৃথিবীর সব কিছু তাঁর অধীন। তাই নিজের প্রয়োজন পূরণের জন্য, বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষের তাঁর কাছে যাওয়ার বিকল্প নেই। তিনি মহান আল্লাহ, পরম করুণাময়। তাঁর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা করলে তিনি খুশি হন।
যেকোনো বান্দা তাঁকে ডাকলে তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দেন। আর যারা তাঁর কাছে দোয়া করেন না, তিনি তাদের ওপর রাগান্বিত হন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের রব (আল্লাহ) বলেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ, তারা অবশ্যই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা : মুমিন, আয়াত : ৬০)
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো জিনিস নেই। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮২৯)
এ জন্য পবিত্র রমজান মাসে প্রতিটি মুমিনের উচিত মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে বর্তমানে যেহেতু গোটা বিশ্বকে বিপদাপদ ঘিরে রেখেছে, তাই এখন দোয়ার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। বিশেষ করে ইফতারের সময় অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত, কারণ মহান আল্লাহ ইফতারের সময় বান্দার দোয়া কবুল করেন।
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. রোজাদার যখন ইফতার করে, ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, ৩. মজলুমের দোয়া। মজলুম ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং এ জন্য আসমানের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব, যদিও তা কিছুকাল পরে হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৯৮)
এবং এই মাসের প্রতিটি রাতেও আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজ অনুগ্রহে অসংখ্য বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ...আর একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, হে কল্যাণের প্রত্যাশী, অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের প্রার্থী, থেমে যাও। আর আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৮৭৯৪)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রমজান এলেই আল্লাহর রাসুল (সা.) সাহাবাদের বলতেন, ‘তোমাদের কাছে এই মাস সমাগত হয়েছে, তাতে এমন একটি রাত রয়েছে, যা এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে প্রকৃতপক্ষে সব কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত। একমাত্র দুর্ভাগাই এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৪৪)
তাই রমজানের প্রতিটি রাতে বেশি বেশি দোয়া-ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করা যেতে পারে। এবং সব প্রয়োজন, সমস্যার কথাগুলো মহান আল্লাহর কাছে বলা যেতে পারে। তা ছাড়া রমজানের প্রতিটি মুহূর্তই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রমজানের পরিপূর্ণ বরকত অর্জনের জন্য সুযোগ পেলেই মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, দোয়া ইবাদতের মূল। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭১)
মহান আল্লাহ সবাইকে পবিত্র রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়ায় মশগুল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
---মাইমুনা আক্তার/সূত্র:বিডিপ্রতিদিন
শুক্রবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপ লাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। প্রথমে কারিগরি ত্রুটির কথা জানালেও সোমবার রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে ইউরোপের শেয়ার বাজারে। তাছাড়া গত ২০ বছরের মধ্যে ডলারের বিপরীতে ইউরোর সবচেয়ে বড় দরপতন হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, গ্যাসের দাম প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া তেলের দামও বেড়েই চলেছে।
সোমবার রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন তেল উৎপাদনকারী সংগঠন ওপেক ঘোষণা দেয় তারা অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের পরিমাণ কমিয়ে দেবে। দাম বাড়ানোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
জার্মানি ও ফ্রান্স দুই দেশেই শেয়ারের দরপতন হয়েছিল, পরবর্তীতে কিছুটা বেড়ে যায়।
রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ইউরোপিয়ান মুদ্রা ইউরোর রেকর্ড দরপতন হয়। সোমবার ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম ০.৯৯ এ নেমে আসে। ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসের পর যা সর্বনিম্ন। পাশাপাশি পাউন্ডেও দরপতন দেখা গেছে। সূত্র: আল জাজিরা, এপি, বিডি প্রতিদিন